Indian Railways: কোনটা 'আপ' ট্রেন আর কোনটাই বা 'ডাউন'! ট্রেনের আপ-ডাউন কীভাবে ঠিক হয় জানেন?
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
- Reported by:ABIR GHOSHAL
Last Updated:
Indian Railways Knowledge Story: আপ-ডাউন ট্রেন আমরা বুঝব কী করে? আপ মানে উপরের দিকে আর ডাউন মানে নীচের দিকে-- এটাই তো বোঝায়?
রেলে আপ এবং ডাউন: রেলস্টেশনে নিশ্চয়ই শুনেছেন, ১ ( বা ২) নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি আপ অমুক ট্রেন আসতে চলেছে৷ বা কখনও ঘোষণা করা হয়, অমুক নম্বর প্ল্যাটফর্মে তমুক ডাউন ট্রেন আসছে৷ আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের এই আপ অথবা ডাউন ট্রেনের মানে গুলিয়ে যায়৷ তাই অনেকেই ভুল দিকের ট্রেনে সওয়ার হয়ে পড়েন৷ চলে যান সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে৷ ভুল যখন ভাঙে তখন ফের হয়রানি৷
advertisement
advertisement
এখন ধরুন হাওড়া থেকে কোনও ট্রেন ব্যান্ডেল যাওয়ার জন্য ছেড়েছে৷ তখন সেই ট্রেনটি তার হোম স্টেশন থেকে ডেস্টিনেশনে যাচ্ছে৷ তাই সেই ট্রেনটিকে তখন ‘ডাউন হাওড়া-ব্যান্ডেল লোকাল’ বলা হবে৷ অন্যদিকে, ধরুন, সেই ট্রেনটিই যখন ব্যান্ডেল থেকে হাওড়া ফিরবে, অর্থাৎ, তার ডেস্টিনেশন থেকে হোমস্টেশনে ব্যাক করবে, তখন ট্রেনটি হয়ে যাবে আপ ট্রেন৷ অর্থাৎ, ‘আপ ব্যান্ডেল-হাওড়া লোকাল’৷
advertisement
advertisement
advertisement
১৯৫১ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত্বকরণের আগে ভারতীয় রেল বিয়াল্লিশটি রেল ব্যবস্থায় বিভাজিত ছিল। সেই সময় সেই রেল ব্যবস্থাগুলির অধিকাংশই ছিল কিছু কোম্পানির অধীনস্ত। তাই সেই কোম্পানির ইচ্ছানুযায়ী অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিভাগীয় প্রধান কার্যালয়ের দিকে যে ট্রেনগুলি চলত সেগুলিকে ডাউন ট্রেন এবং বিভাগীয় প্রধান কার্যালয় থেকে গন্তব্য শুরু করা ট্রেনগুলিকে আপ ট্রেন বলা হত।
advertisement
advertisement
১৯৫১ সালে সংযুক্তিকরণের পর, আপ-ডাউনের এই প্রচলিত ধারণা কিছুটা রয়ে যায় এবং নতুন রুটগুলিতে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা বা অক্ষাংশগত ধারণার দ্বারা আপ-ডাউন ট্রেন নির্দেশিত হয়। সূচনা স্টেশন বা প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে ট্রেন যদি ক্রমশ সমুদ্রপৃষ্ঠের দিকে বা অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার দিকে গতিশীল হয়, তবে বলা হয় ট্রেনটি ডাউন ট্রেন।
advertisement
আবার ট্রেন যদি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হয় তবে, সেক্ষেত্রে ট্রেনটিকে আপ ট্রেন বলা হয়। যেমন– শিয়ালদহ স্টেশন থেকে কৃষ্ণনগর যাওয়ার ট্রেন হল আপ ট্রেন, উল্টোদিকে কৃষ্ণনগর থেকে শিয়ালদহ আসার ট্রেন হল ডাউন ট্রেন। আবার, শিয়ালদহ থেকে ক্যানিং যাওয়ার ট্রেন হল ডাউন ট্রেন এবং ক্যানিং থেকে শিয়ালদহ আসার ট্রেন হল আপ ট্রেন।
advertisement
একই ভাবে, হাওড়া বা শিয়ালদহ থেকে দিল্লি যাওয়ার ট্রেন আপ ট্রেন এবং দিল্লি থেকে হাওড়া বা শিয়ালদহ ফেরার ট্রেন ডাউন ট্রেন। অনেক ক্ষেত্রে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় একই উচ্চতায় অবস্থিত (অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন উচ্চতার ক্ষেত্রেও) দুটি স্টেশনের মাঝে আপ-ডাউন নির্ণয় অক্ষাংশের ভিত্তিতে করা হয়। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে এইসব নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যায় এবং বহুপূর্বে প্রতিষ্ঠিত পরম্পরা অনুযায়ী আপ-ডাউন নির্ধারিত হয়। (তথ্য-- আবীর ঘোষাল)