Husband Caught Wife with Lover in Bed: স্ত্রী-এর সঙ্গে বিছানায় আপত্তিকর অবস্থায় প্রেমিক! স্বামী দরজা খুলতেই অবাক, তারপর যা হল...

বিহারের পূর্ণিয়াতে প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল এক যুবক। ওই মহিলা দুই সন্তানের মা। তিনি তার স্বামীকে ঠকিয়ে প্রেমিককে বাড়িতে ডেকেছিলেন।

দু’জনে বেডরুমে ঘনিষ্ঠ ছিলেন, এমন সময় হঠাৎ হাজির হয়ে যান মহিলার স্বামী। ঘরের দরজা খুলতেই যা দেখলেন, তিনি স্তব্ধ হয়ে যান। চিৎকার শুনে পাড়া-প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান এবং প্রেমিককে ধরে মারধর করতে থাকেন।

কী ঘটেছিল: মহিলা তার প্রেমিককে ফোন করে রাতে বাড়িতে আসতে বলেন, কারণ তার স্বামী নাকি সেদিন রাতে খেতে যাবেন। প্রেমিকও রাতের অন্ধকারে প্রেমিকার বাড়িতে চলে যান। দু’জন বেডরুমে ঘনিষ্ঠ হচ্ছিলেন। এমন সময় স্বামী হঠাৎ ঘরে ঢুকে পড়েন। তিনি দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন।

স্বামীর প্রতিক্রিয়া: স্ত্রীর এমন অবস্থায় প্রেমিকের সঙ্গে দেখে স্বামী রাগে-ক্ষোভে চিৎকার করে ওঠেন। চিৎকার শুনে আশেপাশের মানুষজন ঘরে চলে আসেন। সবাই মিলে প্রেমিক যুবককে ধরে ফেলেন।

প্রেমিক মোহাম্মদ কুরবানকে গাছে বেঁধে রাখা হয় এবং সবাই মিলে মারধর করেন। পুলিশ প্রথমে গেলে গ্রামের লোকজন বাধা দেয়। পরে আরও পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।

কারা ছিলেন তারা: মহিলার নাম সোনি দেবী। তিনি বিবাহিত এবং তাঁর স্বামীর নাম রাজেশ ঋষি। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ের বিয়েও সামনে। তবুও তিন বছর ধরে মহিলার সঙ্গে কুরবান নামের যুবকের সম্পর্ক চলছিল।

সম্পর্কের শুরু: তাদের প্রথম দেখা হয় বাজারে। তারপর ধীরে ধীরে প্রেমে পড়েন দু’জন। সোনি দেবী ওই যুবকের সঙ্গে গোপনে দেখা করতেন। কিন্তু এবার সেই গোপন সম্পর্কের পরিণতি খুবই খারাপ হলো।

ছলনার ফাঁদে স্বামী: মহিলা ফোনে প্রেমিককে বলেন যে স্বামী রাতে মাঠে ঘুমাবেন। সেই বিশ্বাসে প্রেমিক আসে, কিন্তু হঠাৎই স্বামী বাড়ি ফিরে আসেন, আর তখনই সব ফাঁস হয়ে যায়।

পুলিশের ভূমিকা: প্রেমিককে বাঁচাতে পুলিশ দু’বার আসে, কিন্তু গ্রামের লোকেরা বাধা দেয়। শেষমেশ বেশি সংখ্যক পুলিশ এসে যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, গোপন সম্পর্ক এক সময় সমাজ ও পরিবারে বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রতারণার ফল কখনও ভালো হয় না।