Knowledge Story: এক মিনিট, এক ঘণ্টা, একদিন! একটানা জল না খেয়ে কতদিন বেঁচে থাকা সম্ভব? বড় প্রশ্নের সহজ উত্তর

Last Updated:
তাছাড়া, পারিপার্শ্বিক এলাকার তাপমাত্রা এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কত, তার উপরেও জল না খেয়ে বেঁচে থাকার বিষয়টি নির্ভর করে৷ কারণ, শরীরে ঘাম বেশি হলে, শরীর থেকে দ্রুত জল বেরিয়ে যায় ফলে, সেক্ষেত্রে, শরীরে বাড়তি জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে৷
1/8
জলই যে জীবন সে কথা কে না জানে? কিন্তু, জানে কি কতদিন পর্যন্ত জল না খেয়ে একটা মানুষ তাঁর জীবন ধরে রাখতে পারেন? উত্তর কিন্তু আছে৷ একেবারে বিজ্ঞানসম্মত সূত্র, ‘রুল’৷ কিন্তু, তার আগে জানুন, জল আমাদের শরীরে কেন এত প্রয়োজনীয়৷ কারও শরীরে জলের ঘাটতি শুরু হলেই বা কী কী ধরনের উপসর্গ দেখতে পাবেন আপনি?
জলই যে জীবন সে কথা কে না জানে? কিন্তু, জানে কি কতদিন পর্যন্ত জল না খেয়ে একটা মানুষ তাঁর জীবন ধরে রাখতে পারেন? উত্তর কিন্তু আছে৷ একেবারে বিজ্ঞানসম্মত সূত্র, ‘রুল’৷ কিন্তু, তার আগে জানুন, জল আমাদের শরীরে কেন এত প্রয়োজনীয়৷ কারও শরীরে জলের ঘাটতি শুরু হলেই বা কী কী ধরনের উপসর্গ দেখতে পাবেন আপনি?
advertisement
2/8
কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির শরীরের ৬০ শতাংশই জল৷ শিশুদের ক্ষেত্রে তা ৭৫ শতাংশ৷ শরীরের অগুনতি জৈবিক কার্যকলাপ সম্পন্ন করার জন্য আমাদের জল প্রয়োজন৷ যেমন, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, হজম প্রক্রিয়া, দেহের pH-এর ভারসাম্য রক্ষা, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক পদার্থ শরীরের বাইরে মূত্রের আকারে বের করে দেওয়া, এমনকি, সারা শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ- এমন আরও অসংখ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই জল৷
কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির শরীরের ৬০ শতাংশই জল৷ শিশুদের ক্ষেত্রে তা ৭৫ শতাংশ৷ শরীরের অগুনতি জৈবিক কার্যকলাপ সম্পন্ন করার জন্য আমাদের জল প্রয়োজন৷ যেমন, দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, হজম প্রক্রিয়া, দেহের pH-এর ভারসাম্য রক্ষা, শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক পদার্থ শরীরের বাইরে মূত্রের আকারে বের করে দেওয়া, এমনকি, সারা শরীরের অক্সিজেন সরবরাহ- এমন আরও অসংখ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই জল৷
advertisement
3/8
শরীরে জলের পরিমাণ কমতে শুরু করলে খুব কম সময়ের মধ্যেই তার প্রভাব টের পাওয়া যায়৷ দীর্ঘক্ষণ কোনও মানুষ যদি জল না খেয়ে থাকেন, তাহলে তীব্র তৃষ্ণা, ক্লান্তি, অর্গান ফেলিওর ও সর্বোচ্চ ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হয়৷
শরীরে জলের পরিমাণ কমতে শুরু করলে খুব কম সময়ের মধ্যেই তার প্রভাব টের পাওয়া যায়৷ দীর্ঘক্ষণ কোনও মানুষ যদি জল না খেয়ে থাকেন, তাহলে তীব্র তৃষ্ণা, ক্লান্তি, অর্গান ফেলিওর ও সর্বোচ্চ ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হয়৷
advertisement
4/8
তবে কোনও ব্যক্তি কতদিন বা কতক্ষণ জল ছাড়া টিকে থাকতে পারবেন তা অনেকগুলি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে৷ যেমন, ওই ব্যক্তির বয়স কত, উনি কতটা কায়িক পরিশ্রম করছেন, তাঁর সার্বিক স্বাস্থ্য কেমন, তাঁর উচ্চতা অনুযায়ী ওজনও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি পুরুষ না মহিলা৷
তবে কোনও ব্যক্তি কতদিন বা কতক্ষণ জল ছাড়া টিকে থাকতে পারবেন তা অনেকগুলি বিষয়ের উপরে নির্ভর করে৷ যেমন, ওই ব্যক্তির বয়স কত, উনি কতটা কায়িক পরিশ্রম করছেন, তাঁর সার্বিক স্বাস্থ্য কেমন, তাঁর উচ্চতা অনুযায়ী ওজনও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি পুরুষ না মহিলা৷
advertisement
5/8
কোনও ব্যক্তি কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার উপরেও নির্ভর করে ওই কতদিন জল না খেয়ে থাকতে পারবেন৷ যেমন কোনও ব্যক্তি যদি ফল, সব্জি বেশি খান, তাহলে তার শরীরে জলের ঘাটতি খানিকটা হলেও পূরণ হয়৷ অন্যদিকে, কেউ যদি রুটি, শস্য এবং অন্যান্য শুকনো খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের শরীরে জলের প্রয়োজন বেশি পড়ে৷ তাছাড়া, ডায়েরিয়া এবং বমির সমস্যায় আক্রান্ত হলেও কোনও ব্যক্তির শরীরের জলের পরিমাণ দ্রুত হারে কমতে পারে৷
কোনও ব্যক্তি কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন, তার উপরেও নির্ভর করে ওই কতদিন জল না খেয়ে থাকতে পারবেন৷ যেমন কোনও ব্যক্তি যদি ফল, সব্জি বেশি খান, তাহলে তার শরীরে জলের ঘাটতি খানিকটা হলেও পূরণ হয়৷ অন্যদিকে, কেউ যদি রুটি, শস্য এবং অন্যান্য শুকনো খাবার খেয়ে থাকেন, তাঁদের শরীরে জলের প্রয়োজন বেশি পড়ে৷ তাছাড়া, ডায়েরিয়া এবং বমির সমস্যায় আক্রান্ত হলেও কোনও ব্যক্তির শরীরের জলের পরিমাণ দ্রুত হারে কমতে পারে৷
advertisement
6/8
তাছাড়া, পারিপার্শ্বিক এলাকার তাপমাত্রা এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কত, তার উপরেও জল না খেয়ে বেঁচে থাকার বিষয়টি নির্ভর করে৷ কারণ, শরীরে ঘাম বেশি হলে, শরীর থেকে দ্রুত জল বেরিয়ে যায় ফলে, সেক্ষেত্রে, শরীরে বাড়তি জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে৷
তাছাড়া, পারিপার্শ্বিক এলাকার তাপমাত্রা এবং বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কত, তার উপরেও জল না খেয়ে বেঁচে থাকার বিষয়টি নির্ভর করে৷ কারণ, শরীরে ঘাম বেশি হলে, শরীর থেকে দ্রুত জল বেরিয়ে যায় ফলে, সেক্ষেত্রে, শরীরে বাড়তি জলের ঘাটতি দেখা দিতে পারে৷
advertisement
7/8
তবে কোনও মানুষ কতদিন জল না খেয়ে থাকতে পারেন, তা নিয়ে বিজ্ঞানে একটি সার্বিক সূত্র প্রচলিত রয়েছে৷ তাকে বলা হয় ‘রুল অফ থ্রি’৷ যে নিয়ম অনুযায়ী বলা হয়, কোনও ব্যক্তি ৩ মিনিট অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারেন, তিন দিন জল ছাড়া এবং ৩ সপ্তাহ খাবার ছাড়া৷
তবে কোনও মানুষ কতদিন জল না খেয়ে থাকতে পারেন, তা নিয়ে বিজ্ঞানে একটি সার্বিক সূত্র প্রচলিত রয়েছে৷ তাকে বলা হয় ‘রুল অফ থ্রি’৷ যে নিয়ম অনুযায়ী বলা হয়, কোনও ব্যক্তি ৩ মিনিট অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারেন, তিন দিন জল ছাড়া এবং ৩ সপ্তাহ খাবার ছাড়া৷
advertisement
8/8
যদিও, এর ব্যতিক্রমও রয়েছে৷ কোনও ব্যক্তি জল না পেয়ে ২ দিনও বেঁচে থাকতে পারেননি, কেউ আবার বেঁচে থেকেছেন ১৮ দিন৷ ১৯৭৯ সালে অস্ট্রিয়ায় কোনও রকমের জল এবং খাবার ছাড়া ১৮ বছরের একটি ছেলে টানা ১৮দিন বেঁচে ছিল৷ এই ঘটনাই সর্বোচ্চ৷ তবে গড়ে এই সময় বন্ধনীটা ৫-৬ দিন৷ নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্লড পিয়ান্টাডোসির মতে, সার্বিক ভাবে ১০০ ঘণ্টাকেই এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সময়সীমা স্থির করা যায়৷ (দ্রষ্টব্য: এই তথ্যটি সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। নিউজ 18 এটির সত্যতা নিশ্চিত করে না।)
যদিও, এর ব্যতিক্রমও রয়েছে৷ কোনও ব্যক্তি জল না পেয়ে ২ দিনও বেঁচে থাকতে পারেননি, কেউ আবার বেঁচে থেকেছেন ১৮ দিন৷ ১৯৭৯ সালে অস্ট্রিয়ায় কোনও রকমের জল এবং খাবার ছাড়া ১৮ বছরের একটি ছেলে টানা ১৮দিন বেঁচে ছিল৷ এই ঘটনাই সর্বোচ্চ৷ তবে গড়ে এই সময় বন্ধনীটা ৫-৬ দিন৷ নর্থ ক্যারোলিনার ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্লড পিয়ান্টাডোসির মতে, সার্বিক ভাবে ১০০ ঘণ্টাকেই এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সময়সীমা স্থির করা যায়৷ (দ্রষ্টব্য: এই তথ্যটি সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। নিউজ 18 এটির সত্যতা নিশ্চিত করে না।)
advertisement
advertisement
advertisement