General Knowledge: ভারতের একমাত্র নদী যা পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়; পড়েছেন ছোটবেলায় ভূগোল বইতে, নাম মনে পড়ছে?

Last Updated:
General Knowledge: ভারতের নদীগুলো পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়। নর্মদা নদী ব্যতিক্রম, সে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে মিলিত হয়। এটি দেশের একমাত্র প্রধান নদী যা পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়। ভূতাত্ত্বিক রহস্যটা কী?
1/5
ভারতের নদীগুলো পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়। নর্মদা নদী ব্যতিক্রম, সে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে মিলিত হয়। এটি দেশের একমাত্র প্রধান নদী যা পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়। ভূতাত্ত্বিক রহস্যটা কী? ভারতীয় উপদ্বীপের বেশিরভাগ অংশ পূর্ব দিকে ঢালু। এই কারণেই গোদাবরী এবং কৃষ্ণার মতো নদীগুলি পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। তবে, নর্মদা নদী পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হওয়ার প্রধান কারণ হল এটি একটি রিফ্ট ভ্যালির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ভারতের নদীগুলো পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়। নর্মদা নদী ব্যতিক্রম, সে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়ে আরব সাগরে মিলিত হয়। এটি দেশের একমাত্র প্রধান নদী যা পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হয়। ভূতাত্ত্বিক রহস্যটা কী? ভারতীয় উপদ্বীপের বেশিরভাগ অংশ পূর্ব দিকে ঢালু। এই কারণেই গোদাবরী এবং কৃষ্ণার মতো নদীগুলি পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়। তবে, নর্মদা নদী পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হওয়ার প্রধান কারণ হল এটি একটি রিফ্ট ভ্যালির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।
advertisement
2/5
বিন্ধ্য এবং সাতপুরা পর্বতমালার মধ্যবর্তী ভূমির অবনমনের কারণে এই উপত্যকাটি তৈরি হয়েছিল। হিমালয় গঠনের সময় উত্তর উপদ্বীপের বাঁকের কারণে এই ফাটলগুলি তৈরি হয়েছিল। যেহেতু এই উপত্যকাগুলি পশ্চিম দিকে ঢালু, তাই নদীর প্রবাহও সেই দিকেই চলে যায়। এই বিশেষ ভৌগোলিক কারণটি কেবল নর্মদা এবং এর সমান্তরাল তাপ্তী নদীর জন্যই প্রযোজ্য।
বিন্ধ্য এবং সাতপুরা পর্বতমালার মধ্যবর্তী ভূমির অবনমনের কারণে এই উপত্যকাটি তৈরি হয়েছিল। হিমালয় গঠনের সময় উত্তর উপদ্বীপের বাঁকের কারণে এই ফাটলগুলি তৈরি হয়েছিল। যেহেতু এই উপত্যকাগুলি পশ্চিম দিকে ঢালু, তাই নদীর প্রবাহও সেই দিকেই চলে যায়। এই বিশেষ ভৌগোলিক কারণটি কেবল নর্মদা এবং এর সমান্তরাল তাপ্তী নদীর জন্যই প্রযোজ্য।
advertisement
3/5
নর্মদা নদীর উৎপত্তি মধ্যপ্রদেশের অনুপপুর জেলার অমরকণ্টক পাহাড়ে, যা বিন্ধ্য এবং সাতপুরা পর্বতমালার সংযোগস্থলে অবস্থিত। এই পবিত্র স্থান থেকে উৎপন্ন এই নদীটি মোট ১,৩১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে প্রবাহিত হয়েছে। এটি গভীর উপত্যকা, পাথুরে অঞ্চল এবং ঘন বন অতিক্রম করে গিয়েছে। নদীটি যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তা হল মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত।
নর্মদা নদীর উৎপত্তি মধ্যপ্রদেশের অনুপপুর জেলার অমরকণ্টক পাহাড়ে, যা বিন্ধ্য এবং সাতপুরা পর্বতমালার সংযোগস্থলে অবস্থিত। এই পবিত্র স্থান থেকে উৎপন্ন এই নদীটি মোট ১,৩১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে প্রবাহিত হয়েছে। এটি গভীর উপত্যকা, পাথুরে অঞ্চল এবং ঘন বন অতিক্রম করে গিয়েছে। নদীটি যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে তা হল মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত।
advertisement
4/5
এটি মধ্যপ্রদেশে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে মহারাষ্ট্রের সীমানা স্পর্শ করে গুজরাতে প্রবেশ করেছে। সবশেষে এটি ভারুচের কাছে খাম্বাত উপসাগরের মধ্য দিয়ে আরব সাগরে মিলিত হয়েছে। পশ্চিম দিকে প্রবাহিত নদীগুলির মধ্যে তাপ্তি, মাহি, সবরমতী এবং লুনির মতো ছোট নদীও রয়েছে। নর্মদা কেবল এক ভূতাত্ত্বিক বিস্ময়ই নয়, এটি হিন্দুধর্মের অন্যতম পবিত্র নদীও। সম্মান এর দেবীর। পুরাণে এই নদীর উল্লেখ রয়েছে। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এতে স্নান করলে পাপ ধুয়ে যায়। নর্মদা নদীকে মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাতের জীবনরেখাও বলা হয়। এটি পানীয়, কৃষি এবং শিল্পের প্রয়োজনে জল সরবরাহ করে।
এটি মধ্যপ্রদেশে দীর্ঘ দূরত্ব অতিক্রম করে মহারাষ্ট্রের সীমানা স্পর্শ করে গুজরাতে প্রবেশ করেছে। সবশেষে এটি ভারুচের কাছে খাম্বাত উপসাগরের মধ্য দিয়ে আরব সাগরে মিলিত হয়েছে। পশ্চিম দিকে প্রবাহিত নদীগুলির মধ্যে তাপ্তি, মাহি, সবরমতী এবং লুনির মতো ছোট নদীও রয়েছে। নর্মদা কেবল এক ভূতাত্ত্বিক বিস্ময়ই নয়, এটি হিন্দুধর্মের অন্যতম পবিত্র নদীও। সম্মান এর দেবীর। পুরাণে এই নদীর উল্লেখ রয়েছে। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এতে স্নান করলে পাপ ধুয়ে যায়। নর্মদা নদীকে মধ্যপ্রদেশ ও গুজরাতের জীবনরেখাও বলা হয়। এটি পানীয়, কৃষি এবং শিল্পের প্রয়োজনে জল সরবরাহ করে।
advertisement
5/5
সর্দার সরোবর বাঁধ এবং ইন্দিরা সাগর বাঁধের মতো বড় প্রকল্পগুলি এর উপরেই নির্মিত হয়েছে। এর চারপাশের জমিতে গম, তুলা এবং আখের মতো ফসল জন্মায়। নর্মদা নদীর প্রবাহ অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যেরও জন্ম দিয়েছে। জবলপুরের কাছে ভেড়াঘাটে এই নদীটি উঁচু মার্বেল রকের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অনেক পর্যটক এখানে ধুঁয়াধর জলপ্রপাত দেখতে আসেন। এই উপত্যকাটি তার প্রাচীন জীবাশ্ম এবং সেই সময়ের মানব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত পাথরের হাতিয়ার আবিষ্কারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূতাত্ত্বিক অঞ্চল হিসেবেও স্বীকৃত।
সর্দার সরোবর বাঁধ এবং ইন্দিরা সাগর বাঁধের মতো বড় প্রকল্পগুলি এর উপরেই নির্মিত হয়েছে। এর চারপাশের জমিতে গম, তুলা এবং আখের মতো ফসল জন্মায়। নর্মদা নদীর প্রবাহ অনেক সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যেরও জন্ম দিয়েছে। জবলপুরের কাছে ভেড়াঘাটে এই নদীটি উঁচু মার্বেল রকের মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অনেক পর্যটক এখানে ধুঁয়াধর জলপ্রপাত দেখতে আসেন। এই উপত্যকাটি তার প্রাচীন জীবাশ্ম এবং সেই সময়ের মানব জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত পাথরের হাতিয়ার আবিষ্কারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূতাত্ত্বিক অঞ্চল হিসেবেও স্বীকৃত।
advertisement
advertisement
advertisement