GK: কুকুর-মানুষ তো গেছে, মহাকাশে আর কোন কোন প্রাণী গেছে জানেন? ৯৯ শতাংশ মানুষই জানেন না সঠিক উত্তরটি

Last Updated:
General Knowledge Story: সুনীতারা ঘরে ফিরেছেন, কিন্তু জানেন কি মানুষের আগে মহাকাশের পথ দেখিয়েছিল বাঁদর, কুকুর, ইঁদুরের মতো প্রাণীরা!
1/12
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন। ৯ মাস মহাকাশে আটকে থাকার পর পৃথিবীতে পা রেখেই আপাতত নিভৃতবাসে থাকবেন সুনীতারা৷
আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর অবশেষে পৃথিবীতে ফিরেছেন। ৯ মাস মহাকাশে আটকে থাকার পর পৃথিবীতে পা রেখেই আপাতত নিভৃতবাসে থাকবেন সুনীতারা৷
advertisement
2/12
চাঁদে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখেন নিল আর্মস্ট্রং, মহাকাশের এই ইতিহাস কম বেশি প্রত্যেকেরই জানা। তবে অনেকেই জানেন না মহাকাশে মানুষের আগে পরীক্ষামূলক ভাবে পাঠানো হয়েছে একাধিক প্রাণীকে। কয়েকটি দেশ মহাকাশে মানুষের আগে অন্য প্রাণী পাঠিয়েছে। চলুন এমন কয়েকটি প্রাণী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
চাঁদে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখেন নিল আর্মস্ট্রং, মহাকাশের এই ইতিহাস কম বেশি প্রত্যেকেরই জানা। তবে অনেকেই জানেন না মহাকাশে মানুষের আগে পরীক্ষামূলক ভাবে পাঠানো হয়েছে একাধিক প্রাণীকে। কয়েকটি দেশ মহাকাশে মানুষের আগে অন্য প্রাণী পাঠিয়েছে। চলুন এমন কয়েকটি প্রাণী সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
advertisement
3/12
বাঁদর: অ্যালবার্ট আই। ১৯৪৮ সালে ভি২ রকেটে মহাকাশে পাঠানো হয় এই বাঁদরকে। প্রথমবার। তবে মিশন সফল হয়নি। এরপর অনেক বাঁদরই মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই প্রতিবারই ব্যর্থতার মুখ দেখেছে নাসা। অবশেষে ১৯৫৯ সালে মিস বাকার ও অ্যাবেল নামের দুই বাঁদর সফল হয়। সুস্থ শরীরে মহাকাশ থেকে ফিরে আসে।
বাঁদর: অ্যালবার্ট আই। ১৯৪৮ সালে ভি২ রকেটে মহাকাশে পাঠানো হয় এই বাঁদরকে। প্রথমবার। তবে মিশন সফল হয়নি। এরপর অনেক বাঁদরই মহাকাশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই প্রতিবারই ব্যর্থতার মুখ দেখেছে নাসা। অবশেষে ১৯৫৯ সালে মিস বাকার ও অ্যাবেল নামের দুই বাঁদর সফল হয়। সুস্থ শরীরে মহাকাশ থেকে ফিরে আসে।
advertisement
4/12
কুকুর: মহাকাশ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষায় সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতিয়ার ছিল কুকুর। লাইকা-এর কথা কে না জানে। ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক ২-তে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল লাইকাকে। কিন্তু সফল হয়নি। অবশেষে ১৯৬০ সালে বেলকা ও স্ত্রেলকা নিরাপদে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে ফিরে আসে। তাদের থেকেই জানা যায় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উপর মহাকাশে কী প্রভাব পড়তে পারে।
কুকুর: মহাকাশ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষায় সোভিয়েত ইউনিয়নের হাতিয়ার ছিল কুকুর। লাইকা-এর কথা কে না জানে। ১৯৫৭ সালে স্পুটনিক ২-তে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল লাইকাকে। কিন্তু সফল হয়নি। অবশেষে ১৯৬০ সালে বেলকা ও স্ত্রেলকা নিরাপদে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে ফিরে আসে। তাদের থেকেই জানা যায় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের উপর মহাকাশে কী প্রভাব পড়তে পারে।
advertisement
5/12
ইঁদুর: ১৯৫০-এর দশক থেকে মহাকাশে ইঁদুর পাঠানো হচ্ছে। এই ছোট প্রাণীগুলো বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করে, মাইক্রোগ্রাভিটি শরীরের পেশী ও হাড়ের উপর কী প্রভাব ফেলে। নাসা এখনও গবেষণার জন্য ইঁদুরকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়ে থাকে।
ইঁদুর: ১৯৫০-এর দশক থেকে মহাকাশে ইঁদুর পাঠানো হচ্ছে। এই ছোট প্রাণীগুলো বিজ্ঞানীদের বুঝতে সাহায্য করে, মাইক্রোগ্রাভিটি শরীরের পেশী ও হাড়ের উপর কী প্রভাব ফেলে। নাসা এখনও গবেষণার জন্য ইঁদুরকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়ে থাকে।
advertisement
6/12
গিনিপিগ: ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কোরাবল-স্পুটনিক ৪ মিশনের মহাকাশে গিনিপিগ পাঠায়। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল স্তন্যপায়ী প্রাণীরা মহাকাশের পরিবেশে কীভাবে টিকে থাকে, তা জানা। এই গিনিপিগগুলো নিরাপদে ফিরে আসে এবং মহাকাশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।
গিনিপিগ: ১৯৬১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন কোরাবল-স্পুটনিক ৪ মিশনের মহাকাশে গিনিপিগ পাঠায়। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল স্তন্যপায়ী প্রাণীরা মহাকাশের পরিবেশে কীভাবে টিকে থাকে, তা জানা। এই গিনিপিগগুলো নিরাপদে ফিরে আসে এবং মহাকাশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।
advertisement
7/12
খরগোশ: ১৯৫৯ সালে সোভিয়েত মহাকাশ অভিযানে লিটল মার্থা নামের এক খরগোশকে পাঠানো হয়। দুটি কুকুরের সঙ্গে সে মহাকাশ ভ্রমণ করে এবং নিরাপদে ফিরে আসে। গবেষণায় দেখা যায়, মহাকাশে হৃদযন্ত্র ও শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর কী প্রভাব ফেলে।
খরগোশ: ১৯৫৯ সালে সোভিয়েত মহাকাশ অভিযানে লিটল মার্থা নামের এক খরগোশকে পাঠানো হয়। দুটি কুকুরের সঙ্গে সে মহাকাশ ভ্রমণ করে এবং নিরাপদে ফিরে আসে। গবেষণায় দেখা যায়, মহাকাশে হৃদযন্ত্র ও শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর কী প্রভাব ফেলে।
advertisement
8/12
ব্যাঙ: ১৯৭০ সালে নাসার অরবিটিং ফ্রগ ওটোলিথ মিশনের অংশ হিসেবে দুটি ব্যাঙ মহাকাশে পাঠানো হয়। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল মাইক্রোগ্রাভিটি ব্যাঙের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষমতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে, তা বোঝা। এই গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ভারসাম্য ও স্নায়ু ব্যবস্থার কার্যকারিতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান।
ব্যাঙ: ১৯৭০ সালে নাসার অরবিটিং ফ্রগ ওটোলিথ মিশনের অংশ হিসেবে দুটি ব্যাঙ মহাকাশে পাঠানো হয়। গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল মাইক্রোগ্রাভিটি ব্যাঙের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষমতাকে কীভাবে প্রভাবিত করে, তা বোঝা। এই গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ভারসাম্য ও স্নায়ু ব্যবস্থার কার্যকারিতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান।
advertisement
9/12
কচ্ছপ: ১৯৬৮ সালে, সোভিয়েত জোন্দ ৫ মিশনে দুটি কচ্ছপকে চাঁদের চারপাশে ভ্রমণে পাঠায়। তারা নিরাপদে ফিরে আসে, যা তাদের প্রথম প্রাণী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যারা চাঁদ ঘুরে ফিরে এসেছে। এই গবেষণায় জানা যায়, দীর্ঘ মহাকাশ ভ্রমণ এবং মহাজাগতিক বিকিরণ কীভাবে জীবের উপর প্রভাব ফেলে।
কচ্ছপ: ১৯৬৮ সালে, সোভিয়েত জোন্দ ৫ মিশনে দুটি কচ্ছপকে চাঁদের চারপাশে ভ্রমণে পাঠায়। তারা নিরাপদে ফিরে আসে, যা তাদের প্রথম প্রাণী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যারা চাঁদ ঘুরে ফিরে এসেছে। এই গবেষণায় জানা যায়, দীর্ঘ মহাকাশ ভ্রমণ এবং মহাজাগতিক বিকিরণ কীভাবে জীবের উপর প্রভাব ফেলে।
advertisement
10/12
মাছ: মাছও মহাকাশ গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১৯৭৩ সালে, স্কাইল্যাব মিশনে মুমিচোগ মাছ পাঠানো হয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে জেব্রাফিশও গবেষণার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মহাকাশে মাছের চলাফেরা, পেশির বিকাশ ও আচরণের পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছেন। (ছবিঃ নাসা)
মাছ: মাছও মহাকাশ গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১৯৭৩ সালে, স্কাইল্যাব মিশনে মুমিচোগ মাছ পাঠানো হয়েছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে জেব্রাফিশও গবেষণার জন্য পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞানীরা মহাকাশে মাছের চলাফেরা, পেশির বিকাশ ও আচরণের পরিবর্তন নিয়ে গবেষণা করছেন। (ছবিঃ নাসা)
advertisement
11/12
শিম্পাঞ্জি: হ্যাম ছিল প্রথম শিম্পাঞ্জি, যে মহাকাশ ভ্রমণ করে নিরাপদে ফিরে আসে। ১৯৬১ সালের ৩১ জানুয়ারি, মার্কারি রেডস্টোন মিশনে তাকে মহাকাশে পাঠানো হয়। হ্যামের সফল মিশনই পরবর্তী সময়ে অ্যালান শেপার্ডের প্রথম মানব মহাকাশযাত্রার পথ খুলে দেয়।
শিম্পাঞ্জি: হ্যাম ছিল প্রথম শিম্পাঞ্জি, যে মহাকাশ ভ্রমণ করে নিরাপদে ফিরে আসে। ১৯৬১ সালের ৩১ জানুয়ারি, মার্কারি রেডস্টোন মিশনে তাকে মহাকাশে পাঠানো হয়। হ্যামের সফল মিশনই পরবর্তী সময়ে অ্যালান শেপার্ডের প্রথম মানব মহাকাশযাত্রার পথ খুলে দেয়।
advertisement
12/12
বিড়াল: ১৯৬৩ সালের ১৮ অক্টোবর ফ্রান্স প্রথম বিড়ালকে মহাকাশে পাঠায়। বিড়ালটির নাম ছিল ফেলিসেট। সে সফলভাবে মহাকাশ ভ্রমণ করে ফিরে আসে। এই মিশনের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ ভ্রমণের মস্তিষ্কের উপর প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পান।
বিড়াল: ১৯৬৩ সালের ১৮ অক্টোবর ফ্রান্স প্রথম বিড়ালকে মহাকাশে পাঠায়। বিড়ালটির নাম ছিল ফেলিসেট। সে সফলভাবে মহাকাশ ভ্রমণ করে ফিরে আসে। এই মিশনের বিজ্ঞানীরা মহাকাশ ভ্রমণের মস্তিষ্কের উপর প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পান।
advertisement
advertisement
advertisement