প্লেনের টয়লেটে একসঙ্গে ঢুকে 'কুকীর্তি'! সিটেই আলাপ, এয়ারহোস্টেস ফাঁস করলেন ফ্লাইট-রহস্য!

এয়ারলাইন্স আমাদের সফরগুলিকে খুব সহজ করে তোলে। এবং এয়ারলাইন স্টাফ, সবাই মিলে এক একটি সফর মসৃণ করে তোলেন। তবে তার মধ্যেও থেকে যায় কুকীর্তির ছাপ। এবার একজন এয়ার হোস্টেস ফাঁস করলেন এয়ারলাইন্স সংক্রান্ত গোপন কথা।

২৮ বছর বয়সি এক এয়ার হোস্টেস অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে বলেছেন যে তিনি আজ পর্যন্ত এমন কোনও পাইলটের সঙ্গে দেখা করেননি যিনি তাঁর স্ত্রীকে ঠকাননি! এয়ারহোস্টেস জানান, কর্মজীবনে এ পর্যন্ত তিনি পাঁচজন পাইলটের সঙ্গে বিমানে কাজ করেছেন। দেখেছেন এমন এমন ঘটনা যা ভোলা সম্ভব না। শুনলে চমকে যাবেন সবাই।

এয়ারহোস্টেস জানান, বহুবার তিনি টয়লেটে শারীরিক সম্পর্ক করতে দেখেছেন যাত্রীদের। আসলে, বিমান ভ্রমণের সময় বিমানে শারীরিক সম্পর্ক করাকে সাধারণত 'মাইল হাই ক্লাব' বলা হয়। তিনি নিজে এই মাইল হাই ক্লাবের অংশ হননি কোনও দিনই।

এর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিমানসেবিকা বলেন, ফ্লাইটের পাইলটরা বিশ্রামের সময় যে বিছানায় ঘুমান সেটি খুবই ছোট। এখানে দুজন মানুষ থাকতে পারবে না। এ ছাড়া টয়লেটে খুব নোংরা হওয়ায় তিনি সেখানে গিয়ে এসব করার কথা ভাবতেও পারেন না।

তিনি বলেন, 'আমি এটা ভেবেই শিউরে উঠি। তবে এতে যাত্রীদের কোনও বিরক্তি নেই। আমরা প্রায়ই নারী-পুরুষকে একসঙ্গে টয়লেট থেকে বের হতে দেখি। জানি, সিটেই প্রথমবার দেখা হয়েছিল তাঁদের।'

যতক্ষণ না অন্য যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে ফ্লাইট ক্রু এতে কিছুই বলতে পারে না। বিমানসেবিকা বলেন, "আমরাও মজা করি, তবে ফ্লাইটের বাইরে। বেশিরভাগ জায়গায় থাকি যেখানে হোটেল, সুইমিং পুল, অ্যালকোহল এবং ক্যাসিনো রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে মদও খায় সবাই।"

এয়ারহোস্টেস দাবি করেছেন যে তাঁর বেশিরভাগ সহকর্মী বিবাহিত হয়েও সঙ্গীদের প্রতারণা করে চলেন। পাইলট এবং কেবিন স্টাফদের মধ্যে ব্যাপারগুলি সাধারণ। কিন্তু অনেক কর্মচারীর স্থানীয় সেবিকা বা কল গার্লদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে তিনি দুজন পাইলট এবং দুজন এয়ার হোস্টেসকে চেনেন যাঁদের সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক রয়েছে।

এয়ারহোস্টেস দাবি করেছেন যে তাঁর বেশিরভাগ সহকর্মী বিবাহিত হয়েও সঙ্গীদের প্রতারণা করে চলেন। পাইলট এবং কেবিন স্টাফদের মধ্যে ব্যাপারগুলি সাধারণ। কিন্তু অনেক কর্মচারীর স্থানীয় সেবিকা বা কল গার্লদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে তিনি দুজন পাইলট এবং দুজন এয়ার হোস্টেসকে চেনেন যাঁদের সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক রয়েছে।

বিমান চালানোর আগে পাইলটরা অ্যালকোহল পান করেন না। বিমানসেবিকার কথায়, "কখনও কখনও যখন আমাদের প্রচুর পার্টি করতে হয়, আমরা প্রথম শ্রেণি থেকে শ্যাম্পেন এবং কিছু ক্যাভিয়ার নিয়ে আসি। অ্যালকোহল সারা রাত ধরে চলে। যদি অনেক দিন থাকতে হয়, তাহলে আরও বেশি মদ খাওয়া হয়।"

তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় সফর তাঁদের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা! তরুনীর কথায়, "এই সফরে আমরা প্রায়শই পাঁচ দিনের বেতনের ছুটি পাই, তাই বেশিরভাগ কর্মচারী এই পথটি পছন্দ করেন। প্লেন চালানোর ২৪ ঘণ্টা আগে পাইলটরা অ্যালকোহল পান করা বন্ধ করে দেন।"