ব্যাঙ্ক অফিসারের সতর্কতায় বাঁচল PWD-র ১১১ কোটি টাকা ! চেক ক্লিয়ার হলেই সর্বনাশ হয়ে যেত

Last Updated:
মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার জওহর এলাকায় এসবিআইয়ের একটি শাখার একজন কর্মকর্তা পিডব্লিউডি-কে সম্ভাব্য জালিয়াতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে ১১১ কোটি টাকারও বেশি টাকা তোলা থেকে রক্ষা করেছেন।
1/5
আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা আজকাল বেড়েছে দ্রুত হারে। সাধারণত এই সব জালিয়াতির ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা সরাসরি সামনে আসে না, অ্যাকাউন্টে বা কোনও লিঙ্ক মারফত টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে শিকারকে সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে। এবার যদিও তা করা হয়েছে শারীরিক উপস্থিতিতে, তাও আবার ব্যাঙ্কে গিয়ে। আর সেখান থেকেই ছড়িয়েছে সন্দেহও। জানা গিয়েছে যে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে চলেছিল মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার জওহর এলাকায়। ওই এলাকায় অবস্থিত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখার একজন কর্মকর্তা পিডব্লিউডি-কে সম্ভাব্য জালিয়াতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে ১১১ কোটি টাকারও বেশি টাকা তোলা থেকে রক্ষা করেছেন। (Representative Image)
আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা আজকাল বেড়েছে দ্রুত হারে। সাধারণত এই সব জালিয়াতির ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা সরাসরি সামনে আসে না, অ্যাকাউন্টে বা কোনও লিঙ্ক মারফত টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে শিকারকে সর্বস্বান্ত করে ছাড়ে। এবার যদিও তা করা হয়েছে শারীরিক উপস্থিতিতে, তাও আবার ব্যাঙ্কে গিয়ে। আর সেখান থেকেই ছড়িয়েছে সন্দেহও। জানা গিয়েছে যে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে চলেছিল মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার জওহর এলাকায়। ওই এলাকায় অবস্থিত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখার একজন কর্মকর্তা পিডব্লিউডি-কে সম্ভাব্য জালিয়াতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে ১১১ কোটি টাকারও বেশি টাকা তোলা থেকে রক্ষা করেছেন। (Representative Image)
advertisement
2/5
আসলে, একজন স্থানীয় ঠিকাদার একটি ডিমান্ড ড্রাফট তৈরির জন্য এই চেকটি ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছিলেন, ওই চেকে মিলিয়ন এবং বিলিয়ন জাতীয় শব্দ লেখা ছিল, যা ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় খুবই অস্বাভাবিক, কেউই চেকে এভাবে টাকার পরিমাণ লেখেন না, বিশেষ করে কোনও প্রতিষ্ঠান তো লিখবেই না। ৭ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখের এই চেকটি জওহর শাখায় জমা দেওয়া হয়েছিল। (Representative/AI Image)
আসলে, একজন স্থানীয় ঠিকাদার একটি ডিমান্ড ড্রাফট তৈরির জন্য এই চেকটি ব্যাঙ্কে জমা দিয়েছিলেন, ওই চেকে মিলিয়ন এবং বিলিয়ন জাতীয় শব্দ লেখা ছিল, যা ভারতীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় খুবই অস্বাভাবিক, কেউই চেকে এভাবে টাকার পরিমাণ লেখেন না, বিশেষ করে কোনও প্রতিষ্ঠান তো লিখবেই না। ৭ নভেম্বর, ২০২৫ তারিখের এই চেকটি জওহর শাখায় জমা দেওয়া হয়েছিল। (Representative/AI Image)
advertisement
3/5
এতে ওভি কনস্ট্রাকশনস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার ডিডি জারি করার অনুরোধ করা হয়েছিল। এই টাকা পিডব্লিউডি অ্যাকাউন্ট থেকে তোলার কথা ছিল যেখানে সরকারি টেন্ডারের জন্য ঠিকাদারদের দ্বারা জমা করা টাকা রাখা হয়। (Representative Image)
এতে ওভি কনস্ট্রাকশনস নামে একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১১১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার ডিডি জারি করার অনুরোধ করা হয়েছিল। এই টাকা পিডব্লিউডি অ্যাকাউন্ট থেকে তোলার কথা ছিল যেখানে সরকারি টেন্ডারের জন্য ঠিকাদারদের দ্বারা জমা করা টাকা রাখা হয়।(Representative Image)
advertisement
4/5
কীভাবে জালিয়াতি ধরা পড়ল? চেকটি দেখেই এক ব্যাঙ্ক কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। তিনি একটুও দেরি না করে পিডব্লিউডি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আরও তদন্তের পর জানা যায় যে এটি একটি জাল চেক। পরবর্তীতে পুলিশ জওহর নগর পঞ্চায়েতের ঠিকাদার ও সভাপতি নীলেশ ওরফে পিঙ্কা পাড়ওয়ালে এবং পিডব্লিউডির একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী যদনেশ আম্বিরেকে গ্রেফতার করে। (Representative Image)
কীভাবে জালিয়াতি ধরা পড়ল? চেকটি দেখেই এক ব্যাঙ্ক কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। তিনি একটুও দেরি না করে পিডব্লিউডি বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আরও তদন্তের পর জানা যায় যে এটি একটি জাল চেক। পরবর্তীতে পুলিশ জওহর নগর পঞ্চায়েতের ঠিকাদার ও সভাপতি নীলেশ ওরফে পিঙ্কা পাড়ওয়ালে এবং পিডব্লিউডির একজন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী যদনেশ আম্বিরেকে গ্রেফতার করে।(Representative Image)
advertisement
5/5
পুলিশ তদন্তে নেমেছে: পুলিশ জানিয়েছে যে চেকটি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে পিডব্লিউডি কর্মকর্তারা সাধারণত এত বড় অঙ্কের অর্থ স্থানান্তর করতে ব্যক্তিগতভাবে ব্যাঙ্কে আসেন। এটি সন্দেহকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুসারে, পালঘরের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট যতীশ দেশমুখ বলেছেন যে পিডব্লিউডি তাদের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে, যিনি সম্ভবত ঠিকাদারকে অভ্যন্তরীণ তথ্য দিয়েছিলেন। এই মামলায় আরও কেউ জড়িত ছিল কি না তাও পুলিশ তদন্ত করছে। উভয় অভিযুক্তকে পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। (Representative Image)
পুলিশ তদন্তে নেমেছে: পুলিশ জানিয়েছে যে চেকটি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছিল, যেখানে পিডব্লিউডি কর্মকর্তারা সাধারণত এত বড় অঙ্কের অর্থ স্থানান্তর করতে ব্যক্তিগতভাবে ব্যাঙ্কে আসেন। এটি সন্দেহকে আরও বাড়িয়ে তুলেছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুসারে, পালঘরের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট যতীশ দেশমুখ বলেছেন যে পিডব্লিউডি তাদের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে, যিনি সম্ভবত ঠিকাদারকে অভ্যন্তরীণ তথ্য দিয়েছিলেন। এই মামলায় আরও কেউ জড়িত ছিল কি না তাও পুলিশ তদন্ত করছে। উভয় অভিযুক্তকে পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। (Representative Image)
advertisement
advertisement
advertisement