দিনের শুরুতে বাইকে স্টার্ট দেওয়ার সময় এই ছোট্ট ভুলটা করেন বেশিরভাগ মানুষ; ১০ সেকেন্ড বাঁচানোর চক্করে দিতে হয় বড়সড় মাসুল
- Published by:Siddhartha Sarkar
- trending desk
Last Updated:
যা বাইকের ইঞ্জিন এবং ক্লাচ প্লেটের আয়ু অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। দেখে নেওয়া যাক, সকালে বাইক স্টার্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা কী কী ভুল করে থাকেন।
Bike Tips: বাইক এবং স্কুটার চালানো শেখাতে পারবেন প্রচুর মানুষ। কিন্তু অনেকেই কিছু ছোট্ট ছোট্ট বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন না। যার গভীর প্রভাব পড়ে বাইক অথবা স্কুটার চালানোর অভিজ্ঞতার উপর। আসলে বাইকের মধ্যে নানা ধরনের যন্ত্রাংশ থাকে। যদি সেগুলির কার্যকারিতা ঠিকঠাক থাকে, তাহলে তো কথাই নেই। মসৃণ ভাবে চলে বাইক।
advertisement
advertisement
বাইক স্টার্ট দেওয়ার পর মাসুল গুনতে হবে এই ভুলের: দেখা যায় যে, বেশিরভাগ মানুষ সকালে নিজেদের বাইক স্টার্ট দেন। এরপর তা গিয়ারে রেখে বেরিয়ে পড়েন। বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে সাধারণ একটা অভ্যাস দেখা যায়। কিন্তু ইঞ্জিনের আয়ু বাড়াতে গেলে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইক ছোটানো উচিত নয়। এতে ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গে এই ক্ষতির প্রভাব দেখা যায় না। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে গিয়ে এই ক্ষতির প্রভাব দেখা দিতে থাকে।
advertisement
বাইক স্টার্ট দেওয়ার পরে ১০ সেকেন্ডের জন্য এই কাজ করতে হবে: স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাইক চালিয়ে বেরিয়ে পড়া উচিত নয়। কিছুক্ষণ ধরে তা গরম হতে দিতে হবে। তবে বাইক গরম হওয়ার জন্য ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করার দরকার নেই। বরং মাত্র ১০ সেকেন্ডেই বাইক গরম হয়ে যেতে পারে। মাথায় রাখতে হবে যে, এই সময়ে বাইক তীব্র গতিতে ছোটানোর কোনও প্রয়োজন নেই। কারণ সকালে স্টার্ট দেওয়ার পরে অতিরিক্ত বাইক রেসিং যন্ত্রাংশের মধ্যে ঘর্ষণ বৃদ্ধি করে। যার জেরে বাড়ে ইঞ্জিনের ক্ষতির আশঙ্কাও। তাই বাইক স্টার্ট দেওয়ার পরে সেটিকে এর নিষ্ক্রিয় আরপিএম-এ রেখে দিতে হবে।
advertisement
বাইককে গরম করার উপকারিতা: বেশিরভাগ বাইক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন যে, কিছুক্ষণের জন্য বাইক গরম করলে ইঞ্জিনের আয়ু বৃদ্ধি হয়। আসলে অনেকক্ষণ বাইক নিষ্ক্রিয় থাকলে ইঞ্জিনের তেল ইঞ্জিনের ভিতরের একটা জায়গাতেই জমা হয়। আর এটা ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশের পিচ্ছিল ভাব কমিয়ে দেয়। এহেন অবস্থায় বাইক স্টার্ট দিয়ে তা ছোটানো হলে যন্ত্রাংশ নষ্ট হতে থাকে। অন্যদিকে যদি বাইক স্টার্ট দিয়ে কিছু সময়ের জন্য তা রেখে দেওয়া হয়, তাহলে ওই অংশের লুব্রিকেশন হয়ে যায়।
advertisement
এমনকী, ঠান্ডার মরশুমেও ইঞ্জিন কিছুক্ষণ গরম করে নিয়ে তবেই বাইক কিংবা গাড়ি চালানো উচিত। কারণ ওই সময় কম তাপমাত্রার কারণে ইঞ্জিন অয়েল ঘন হয়ে যায়।তবে গাড়ি গরম করার জন্য ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করার দরকার নেই। ইঞ্জিন চালু করার ১০ সেকেন্ড পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর বাইকের গিয়ার লো-এ রেখে কম দূরত্বে তা ঘণ্টা প্রতি ২০-৩০ কিলোমিটার গতিতে চালাতে হবে। এমনটা করার পরেই গতি বাড়ানো যেতে পারে।