কাঁটাতার আটকাতে পারেনি প্রেম, ১৯ বছরের তরুণ সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে গেলেন বাংলাদেশে! তার পরই করুণ পরিণতি!

কাঁটাতার আটকাতে পারেনি প্রেমকে… যেখানে দেশভাগ, সীমান্ত আর রাজনৈতিক লাইন টেনে দেয় ভাগ্যরেখা, সেখানে এক ১৯ বছরের তরুণ ছেলেমানুষি আবেগ নিয়ে পার করে দিল কাঁটাতারের বেড়া! প্রেমের নেশায় ভেসে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ল বহরমপুরের আরিয়ান মির্জা। (Representative Image: AI generated) 

সিনেমার গল্প নয়, বাস্তবের কাহিনি! কী হল পরিণতি? জানলে চোখে জল আসবে। ঘটনার সূত্রপাত গত ২৬ জুন। বহরমপুরের বিটি কলেজ রোড লাগোয়া বাড়ি থেকে সন্ধে ৭টা নাগাদ কাউকে কিছু না জানিয়ে বেরিয়ে যান আরিয়ান। পরিবারের কাছে জানিয়ে যান, তিনি কাজের সূত্রে অসমের গুয়াহাটি এবং পরে মেঘালয়ে যাচ্ছেন। (Representative Image: AI generated) 

মা আয়েশা মির্জা তখনও জানতেন না, ছেলের যাত্রাপথ একেবারে ভিন্ন! রবিবার রাতে বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা থানার পুলিশ আরিয়ানকে গ্রেফতার করে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে। পুলিশ সূত্রে খবর, ফেসবুকে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর-বিছনদই এলাকার এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় আরিয়ানের। (Representative Image: AI generated) 

সেখান থেকে গড়ে ওঠে সম্পর্ক, গাঢ় হয় প্রেম। শেষে প্রেমিকাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন আরিয়ান। সেই মর্মেই সীমান্ত পেরিয়ে সরাসরি উপস্থিত হন তরুণীর বাড়িতে। তবে প্রেমের পরিণতি মধুর না-ও হতে পারে, তা হয়তো আঁচ করতে পারেননি আরিয়ান। (Representative Image: AI generated) 

বাংলাদেশে তাঁর আগমন নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই গ্রামে। তরুণীর পরিবারের খবর দেওয়ার পর হাতিবান্ধা থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। এই খবর পৌঁছাতেই ছেলের ভবিষ্যত নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মা আয়েশা মির্জা। (Representative Image: AI generated) 

সোমবার রাতে ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বহরমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের দ্বারস্থ হন। তিনি জানান, “২৬ জুন ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বলে গিয়েছিল গুয়াহাটিতে যাচ্ছে, পরে জানায় মেঘালয়ে কাজ আছে। তারপর আজ সকালে বাংলাদেশের হাতিবান্ধা থানার পুলিশ ফোন করে জানায় ও সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে চলে গেছে এবং ওখানেই গ্রেফতার হয়েছে।” (Representative Image: AI generated) 

প্রেম সাহস চায় ঠিকই, কিন্তু কাঁটাতারের সীমান্ত পেরিয়ে তা আইন ভাঙার রাস্তায় নিয়ে গেলে তার মূল্যও যে চড়া—তা যেন এবার হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন বহরমপুরের আরিয়ান ও তাঁর পরিবার। (Report: Pranab Rakibul, Murshidabad) (Representative Image: AI generated)