সূর্য উঠতেই জঙ্গল থেকে বেরোল ৯জন! 'তোমরা কারা?' BSF প্রশ্ন করতেই চমক! কী বললেন তাঁরা?

Last Updated:
India-Bangladesh Relation: বিএসএফ ত্রিপুরায় একটি বাংলাদেশি হিন্দু পরিবারের নয়জন সদস্যকে আটক করে। তারা বনাঞ্চলের মধ্যে তারের ফাঁক দিয়ে ভারত সীমান্তে প্রবেশ করেছিল। এখন এই পরিবারটি ভারত সরকারের কাছে নাগরিকত্বের আবেদন জানাচ্ছে। এমন একটি বড় পরিবার সীমান্ত পেরিয়ে আসতে দেখে বিএসএফ দলও একটু সময়ের জন্য চমকে গিয়েছিল।
1/9
সারারাত ধরে জঙ্গল ভেঙে দৌড়েছেন তাঁরা। সূর্যের আলো ফুটতেই চলে এসেছেন সীমান্তের কাছে। সেখানেই বিএসএফ জওয়ানদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল ওই দলকে। কারা তাঁরা? উত্তরে যা বললেন মানুষগুলো, গায়ে কাঁটা দেবে।
সারারাত ধরে জঙ্গল ভেঙে দৌড়েছেন তাঁরা। সূর্যের আলো ফুটতেই চলে এসেছেন সীমান্তের কাছে। সেখানেই বিএসএফ জওয়ানদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল ওই দলকে। কারা তাঁরা? উত্তরে যা বললেন মানুষগুলো, গায়ে কাঁটা দেবে।
advertisement
2/9
ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি বর্তমানে চর্চিত বিষয়। বাংলাদেশে পরিস্থিতি ভাল, মুহম্মদ ইউনূস এমন দাবি করলেও শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর সেখানে হিন্দুদের অবস্থার সত্যতা নিজেই তুলে ধরছেন তাঁরা, যাঁরা প্রতিবেশী দেশ থেকে পালিয়ে এসে ভারতে আসছেন।
ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি বর্তমানে চর্চিত বিষয়। বাংলাদেশে পরিস্থিতি ভাল, মুহম্মদ ইউনূস এমন দাবি করলেও শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পর সেখানে হিন্দুদের অবস্থার সত্যতা নিজেই তুলে ধরছেন তাঁরা, যাঁরা প্রতিবেশী দেশ থেকে পালিয়ে এসে ভারতে আসছেন।
advertisement
3/9
বর্তমানে, এই পরিবারের সব সদস্যকেই একটি ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এই পরিবার জানায়, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ অনুযায়ী। যদি তাঁরা দেশে ফিরে যান, তবে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে জানান।
বর্তমানে, এই পরিবারের সব সদস্যকেই একটি ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এই পরিবার জানায়, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া উচিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ অনুযায়ী। যদি তাঁরা দেশে ফিরে যান, তবে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে জানান।
advertisement
4/9
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর আগস্ট ৫ তারিখ থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-হিন্দু আন্দোলন শুরু হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই পরিবারটি বলছে যে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর আগস্ট ৫ তারিখ থেকে বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-হিন্দু আন্দোলন শুরু হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই পরিবারটি বলছে যে, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচারের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা নিজেদের জীবন বাঁচানোর জন্য ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
advertisement
5/9
আটক হওয়া এক বাংলাদেশি, শঙ্কর চন্দ্র সরকার, বলেছেন যে, "আমরা ভারত এসেছি কারণ বাংলাদেশে অত্যাচারের কারণে সেখানে আমাদের জীবন চলা অসম্ভব। আমি কিশোরগঞ্জ জেলার ধনপুরে ড্রাইভারের কাজ করতাম। মানুষ আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের মহিলারা সেখানে নিরাপদ নয়। আমি যদি জেলে যেতে হয়, তবুও ভারত থেকে ফিরে যাব না।"
আটক হওয়া এক বাংলাদেশি, শঙ্কর চন্দ্র সরকার, বলেছেন যে, "আমরা ভারত এসেছি কারণ বাংলাদেশে অত্যাচারের কারণে সেখানে আমাদের জীবন চলা অসম্ভব। আমি কিশোরগঞ্জ জেলার ধনপুরে ড্রাইভারের কাজ করতাম। মানুষ আমাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল। আমাদের মহিলারা সেখানে নিরাপদ নয়। আমি যদি জেলে যেতে হয়, তবুও ভারত থেকে ফিরে যাব না।"
advertisement
6/9
তাঁরা কীভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়েছেন? বললেন, "আমাদের অন্ধকার এবং বনের সাহায্য নিতে হয়েছিল এবং রাতভর হাঁটতে হয়েছিল। আমরা শুক্রবার যাত্রা শুরু করে শনিবার ত্রিপুরায় পৌঁছেছিলাম।" আরও জানান, তাঁরা কমলপুর থেকে আম্বাসা রেলস্টেশনে পৌঁছেছিলেন এবং সিলচর, আসামের ট্রেন ধরার পরিকল্পনা করেছিলেন।
তাঁরা কীভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়েছেন? বললেন, "আমাদের অন্ধকার এবং বনের সাহায্য নিতে হয়েছিল এবং রাতভর হাঁটতে হয়েছিল। আমরা শুক্রবার যাত্রা শুরু করে শনিবার ত্রিপুরায় পৌঁছেছিলাম।" আরও জানান, তাঁরা কমলপুর থেকে আম্বাসা রেলস্টেশনে পৌঁছেছিলেন এবং সিলচর, আসামের ট্রেন ধরার পরিকল্পনা করেছিলেন।
advertisement
7/9
আটক পরিবারের দাবি, "আমরা ফিরে যাব না। আমরা বাংলাদেশে যাব না। আমরা যা কিছু বিক্রি করতে পেরেছিলাম, তা বিক্রি করেছি। সেখানে আমাদের ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না, আমাদের মারধর করা হয়, বাংলাদেশে আমরা নিরাপদ না"।
আটক পরিবারের দাবি, "আমরা ফিরে যাব না। আমরা বাংলাদেশে যাব না। আমরা যা কিছু বিক্রি করতে পেরেছিলাম, তা বিক্রি করেছি। সেখানে আমাদের ন্যায় বিচার পাওয়া যায় না, আমাদের মারধর করা হয়, বাংলাদেশে আমরা নিরাপদ না"।
advertisement
8/9
তিনি আরও দাবি করেন যে, বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার কারণে হাজার হাজার হিন্দু ভারত পালানোর কথা ভাবছেন, কিন্তু অনেক কারণে অনেকেই সাহস করতে পারছে না। সরকার বলেন, "আপনার বাড়ি এবং সম্পত্তি ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাওয়া কোনো ছোট বিষয় নয়। আমার বাবা বনের মধ্যে দিয়ে এসেছেন। তিনি বৃদ্ধ, তিনি মারা যেতে পারতেন।"
তিনি আরও দাবি করেন যে, বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতার কারণে হাজার হাজার হিন্দু ভারত পালানোর কথা ভাবছেন, কিন্তু অনেক কারণে অনেকেই সাহস করতে পারছে না। সরকার বলেন, "আপনার বাড়ি এবং সম্পত্তি ছেড়ে অন্য দেশে চলে যাওয়া কোনো ছোট বিষয় নয়। আমার বাবা বনের মধ্যে দিয়ে এসেছেন। তিনি বৃদ্ধ, তিনি মারা যেতে পারতেন।"
advertisement
9/9
এদিকে, সরকারী রেলওয়ে পুলিশ আম্বাসা স্টেশনের ইনচার্জ পিন্টু দাস জানান যে, গ্রুপটি শীঘ্রই স্থানীয় আদালতে তোলা হবে। এক সূত্র জানিয়েছে যে, হাসিনা সরকারের পতনের পর গত চার মাসে ত্রিপুরার বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০০ এরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক এবং ৬৩ রোহিঙ্গা আটক হয়েছে।
এদিকে, সরকারী রেলওয়ে পুলিশ আম্বাসা স্টেশনের ইনচার্জ পিন্টু দাস জানান যে, গ্রুপটি শীঘ্রই স্থানীয় আদালতে তোলা হবে। এক সূত্র জানিয়েছে যে, হাসিনা সরকারের পতনের পর গত চার মাসে ত্রিপুরার বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০০ এরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক এবং ৬৩ রোহিঙ্গা আটক হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement