অভিযানই সার, শিলিগুড়ি শহর জুড়ে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধ, কিন্তু কোথায় কী?
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
পাহাড় পারলেও সমতল নয় কেন? কবে হুঁশ ফিরবে শহরের?
#শিলিগুড়ি: পরিবেশ দূষণের হাত থেকে শহরকে বাঁচাতে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে শিলিগুড়িতে। ২০০৪-০৫ সালের ঘোষণা। এরই মধ্যে পুরসভার ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু আজও সেই "রোগ" সারেনি শহরে। প্রশাসনিক উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন শহরবাসী থেকে পরিবেশপ্রেমীরা। কঠোর হাতে প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে আজ "প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ শূণ্য" শহরে দাঁড়াতে পারতো শিলিগুড়ি। বাঁচতো শহরের প্রকৃতি।
advertisement
প্রথমে দার্জিলিং পাহাড়ে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ, প্লাস্টিকের চায়ের কাপ সহ অন্য সামগ্রী ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরবর্তীতে পাহাড়ের পাদদেশ শিলিগুড়িতেও একই নিষেধাজ্ঞা জারি করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। গ্রিন ট্রাইবুনালও একই নির্দেশ বহাল রাখে। সেই নির্দেশকে ধরেই শহরে মাঝেমধ্যেই চলে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে চলে অভিযান। আটক করা হয় টনের পর টন ক্যারিব্যাগ। ধরপাকড় করা হয় বিক্রেতাদের। চলে জরিমানাও।
advertisement
তারপর আবার শীত ঘুম! পুরসভার প্রয়াত মেয়র বিকাশ ঘোষের জমানায় শুরু হয় এই অভিযান। পরবর্তীতে গঙ্গোত্রী দত্ত, অশোক ভট্টাচার্যের আমলেও চলে বেশ কয়েকবার অভিযান। পথে নামে পরিবেশপ্রেমী সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। হাতে হাত মিলিয়ে সচেতনতার প্রচারে পথে নামেন তিন প্রাক্তন বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য, গৌতম দেব, শঙ্কর মালাকারেরা। বিভিন্ন বাজারে চলে অভিযান। স্কুল, কলেজে সচেতনতা প্রচার। আবার যে কে সেই! কিছুতেই কমছে না এর ব্যবহার।
advertisement
সম্প্রতি প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেবের নেতৃত্বে চলে অভিযান। সিল করা হল গোডাউনও। কিন্তু সমস্যা সেই তিমিরেই। এক বাজারে অভিযান তো অন্য বাজারে দেদারে ব্যবহার চলছে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের। প্রশাসনিক উদাসীনতাকেই দায়ি করেছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁর দাবি, সংবাদমাধ্যমে মুখ দেখাতেই এই ধরনের অভিযান। পরিবেশপ্রেমী অনিমেষ বসুর দাবি, প্রশাসনকে কড়া হাতে নামতে হবে। নইলে সমূহ বিপদ। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, প্রশাসনিক ধারাবাহিকতার অভাবেই বাড়ছে এর ব্যবহার। পুর প্রশাসক গৌতম দেব বলেন, ধারাবাহিক অভিযান চলবে। আমরা তো সবে দায়িত্বে এসছি। সর্বত্র সচেতনতার প্রচার করে এর ব্যবহার বন্ধ করা হবে।অথচ বিকল্প কাপড়ের ব্যাগ, কাগজের ঠোঙা রয়েছে। পাহাড়ে সচেতন বাসিন্দারা। বিকল্প ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু সচেতনতার অভাব সমতলে। কবে হুঁশ ফিরবে শিলিগুড়ির? Input- Partha Sarkar