'আপনি কে? কোথায় যাবেন...?' গোলাপি সালোয়ার পরা মহিলাকে থামাল GRP, পরক্ষণেই যে 'সত্যি' বেরিয়ে এল, ঘাম ছুটল রেল পুলিশের!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
- Reported by:ABIR GHOSHAL
Last Updated:
Indian Railways: দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম রেল স্টেশন। অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পৌঁছয় নির্ধারিত সময়ে। ট্রেন যাত্রীদের নামাওঠার পরে ছেড়ে যায় নিয়মমাফিক। ঠিক সেই সময় ফাঁকা প্ল্যাটফর্মেই দেখা গেল তাঁকে।
দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাব্রুম রেল স্টেশন। অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পৌঁছয় নির্ধারিত সময়ে। ট্রেন যাত্রীদের নামাওঠার পরে ছেড়ে যায় নিয়মমাফিক। ঠিক সেই সময় ফাঁকা প্ল্যাটফর্মেই দেখা গেল তাঁকে।
advertisement
সাব্রুম রেল স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা কছিল এক মহিলা। সন্দেহ হতেই এগিয়ে আসে টহলরত রেল পুলিশ। কিন্তু জিআরপি তার পরিচয়, কোথা থেকে আসছেন ইত্যাদি জানতে চাইতেই থতমত খেয়ে যায় মহিলা।
advertisement
বছর পঞ্চাশের ওই মহিলাকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে জিআরপি। জানা যায় আসল সত্যি যা শুনলে চমকে উঠবেন সবাই। জানা গিয়েছে, নেপালের একটি কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত ওই মহিলা। সূত্রের খবর, আদতে নেপালে মাদক পাচারের জন্য সাজা ভোগ করছিলেন ওই মহিলা।
advertisement
এই বিষয়ে ত্রিপুরা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, শনিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে পৌঁছনোর পর রেল স্টেশনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার পর ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়।
advertisement
পুলিশকর্মী জানান, "হিন্দিতে কথা বলা ওই মহিলা প্রথমে নিজেকে দিল্লির পুরাণী বস্তির বাসিন্দা সাহিনা পারভীন বলে পরিচয় দেন। কিন্তু কোনও বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে পারেননি তিনি। কর্মকর্তা আরও বলেন, "তল্লাশির সময়, ওই মহিলার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি যোগাযোগ নম্বরও পাওয়া গিয়েছে।"
advertisement
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে তিনি নিজেকে পাঞ্জাব প্রদেশের একজন পাকিস্তানি নাগরিক বলে দাবি করেছিলেন যিনি তিন বছর আগে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন, একজন এজেন্টের সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গ হয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার আগে।
advertisement
তিনি আরও বলেন যে তিনি দিল্লিতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন এবং বাংলাদেশ হয়ে পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে, দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের সময়, মহিলা শেষমেশ স্বীকার করেছেন যে তার পূর্বের বক্তব্যগুলি মিথ্যা ছিল।
advertisement
পুলিশের কর্মকর্তা জানান, পরে ওই মহিলা লুই নিঘাট আখতার ভানো হিসেবে তার আসল পরিচয় প্রকাশ করেন, যিনি আসলে পাকিস্তানের শেখুপুরা জেলার চক নং ৩৭১, ইয়ংগানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও মো. গোলাফ ফারাজ নামক এক ব্যক্তির স্ত্রী।
advertisement
পুলিশ সূত্র আরও জানিয়েছে যে ভানো প্রায় ১২ বছর আগে মাদক পাচারের কাজে জড়িত হওয়ার জন্য পাকিস্তানি পাসপোর্ট ব্যবহার করে নেপাল ভ্রমণ করেছিলেন। ২০১৪ সালে, নেপাল পুলিশ তাকে এক কেজি ব্রাউন সুগার রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করে এবং ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। গত মাস পর্যন্ত তিনি কাঠমান্ডু কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি নেপালে অস্থিরতার মধ্যে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে নেপালে।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে, অবৈধ পথে ভারতে প্রবেশ করেন ওই মহিলা। এজেন্টদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে, তিনি পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার জন্য ত্রিপুরা বা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।
advertisement
তবে পশ্চিমবঙ্গে কোনও ক্রসিং রুট খুঁজে না পেয়েই সম্ভবত ভানো ট্রেনে ত্রিপুরা ভ্রমণ করেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করার জন্যই সাব্রুমে পৌঁছেছিলেন এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
advertisement