'এই নাও ১০ লাখ টাকা, আমি আমার 'ভালবাসা'র কাছে চললাম!' বিয়ের মণ্ডপে এসে যা করলেন বর...ভাবতেও পারছেন না!
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Wedding:বর যা বললেন তা কেউ কল্পনাও করেননি। সাত পাক ঘোরার আগেই পাত্র জানালেন, এই বিয়ে হলে তাঁর বান্ধবী মারা যাবেন। এ কারণে বিয়েটা তিনি করতে পারবেন না।
advertisement
advertisement
এরপর বিয়ের খরচ মিটিয়ে বরযাত্রী নিয়ে ফিরে আসেন বর। মাধোগঞ্জ শহরের গেস্ট হাউসে চলছিল সেই বিয়ের অনুষ্ঠান। বর যখন মণ্ডপে এলেন তখনই তাঁর বান্ধবীর কথা মনে পড়ল। বান্ধবী বরকে বলেছিলেন, অন্য কাউকে বিয়ে করলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। বর বিয়ে করতে অস্বীকার করলেন তাই। দ্বারচর ও জায়মালা অনুষ্ঠানের পর এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
advertisement
বর ও কনের পক্ষ থেকে কিছু আচার-অনুষ্ঠানও করা হয়েছিল। দ্বারচর থেকে জয়মালার অনুষ্ঠানে বরও কনের হাত ধরেন। প্রবীণরাও বর ও কনেকে শুভ গানের মাধ্যমে আশীর্বাদ করেন। মেয়ে পক্ষের লোকজনও পূর্ব নির্ধারিত যৌতুক দান করেন। বরাতিরাও ডিজে ও মিউজিকের তালে নেচেছেন। খাওয়া শেষ করে কেউ কেউ ফিরতেও শুরু করেছিলেন। এমন সময় শোরগোল!
advertisement
advertisement
advertisement
বাঙ্গারমাউ কোতোয়ালি এলাকার দুল্লাপুর বাইপাস পাওয়ার হাউসের বাসিন্দা বর দীপেন্দ্র সিং বলেন, "বিয়ে করতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই, তবে তার প্রাক্তন বান্ধবীর কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।" বন্ধুরা জানান, বান্ধবী তাঁকে ফোনে সতর্ক করেছিল যে এই পাত্রিকে বিয়ে করলে সে আত্মহত্যা করবে। এসএইচও কে কে যাদব জানিয়েছেন, বরের পক্ষের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে। মেয়ের পক্ষ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
advertisement
advertisement
বিষয়টি বাড়তে থাকে এবং মেয়ে পক্ষ বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। সন্ধ্যায় ছেলে পক্ষ থানায় নয় লাখ টাকা দিতে রাজি হয় এবং কনের জন্য আনা বাক্সে রাখা গয়না ও কাপড় ফিরিয়ে নেয়। তাঁরা চার লাখের দুটি চেক ও নগদ এক লাখ টাকা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছেছে। মেয়ের পক্ষ চলে যাওয়ার পর পুলিশ বরকে ছেড়ে দেয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে কে যাদব জানান, বর ও কনের পক্ষের লোকজন এ ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নিতে অস্বীকার করেছেন।