Viral News: ফুলশয্যার রাতে যত্ন করে 'হালুয়া' বানালেন কনে...! খেয়েই ঘুম নেমে এল গোটা পরিবারের চোখে

Last Updated:
Viral News: ঘটনা চমকে দিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। আজব ঘটনার খবর সোশ্যাল মিডিয়াতেও সাড়া ফেলে দিয়েছে। ট্যুইটার ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে এই খবর।
1/10
উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বিয়ের রাতে আসা আপাত সুন্দরী সুশীল নববধূই বদলে যান রাতারাতি। আর এই ঘটনায় চমকে দিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। আজব ঘটনার খবর সোশ্যাল মিডিয়াতেও সাড়া ফেলে দিয়েছে। ট্যুইটার ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে এই খবর।
উত্তরপ্রদেশের মুজাফফরনগর জেলায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। বিয়ের রাতে আসা আপাত সুন্দরী সুশীল নববধূই বদলে যান রাতারাতি। আর এই ঘটনায় চমকে দিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। আজব ঘটনার খবর সোশ্যাল মিডিয়াতেও সাড়া ফেলে দিয়েছে। ট্যুইটার ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে এই খবর।
advertisement
2/10
আসলে মধুচন্দ্রিমার প্রথম রাতেই শ্বশুর বাড়িতে ডাকাতি করে পালিয়ে যায় এক নববধূ। আশ্চর্যের বিষয় হল, চুরির ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘটনার পরদিন শ্বশুরবাড়ির লোকজন গভীর ঘুম থেকে জেগে দেখে ঘরের সব জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। বাড়ির নতুন বধূ নিখোঁজ।
আসলে মধুচন্দ্রিমার প্রথম রাতেই শ্বশুর বাড়িতে ডাকাতি করে পালিয়ে যায় এক নববধূ। আশ্চর্যের বিষয় হল, চুরির ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা গভীর ঘুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। ঘটনার পরদিন শ্বশুরবাড়ির লোকজন গভীর ঘুম থেকে জেগে দেখে ঘরের সব জিনিসপত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। বাড়ির নতুন বধূ নিখোঁজ।
advertisement
3/10
ঘটনাটি মুজাফফরনগরের শিখেদা থানা এলাকার নাগলা মুবারিকের। গ্রামের কৃষক নীরজ কুমারের বিয়ে হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি রুদ্রপুর তহসিল সিতারগঞ্জের বাসিন্দা রেখা নামের এক মেয়ের সঙ্গে। হরিদ্বারের বাসিন্দা সঞ্জয় ও অমিত নামে দুই ব্যক্তি এই সম্পূর্ণ বিয়েটি সাজিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিয়ে হয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে।
ঘটনাটি মুজাফফরনগরের শিখেদা থানা এলাকার নাগলা মুবারিকের। গ্রামের কৃষক নীরজ কুমারের বিয়ে হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি রুদ্রপুর তহসিল সিতারগঞ্জের বাসিন্দা রেখা নামের এক মেয়ের সঙ্গে। হরিদ্বারের বাসিন্দা সঞ্জয় ও অমিত নামে দুই ব্যক্তি এই সম্পূর্ণ বিয়েটি সাজিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিয়ে হয়েছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে।
advertisement
4/10
এরপর ২৫ জানুয়ারি নীরজ তার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামে ফিরে গেলেও শ্বশুরবাড়িতে এসে এই নববিবাহিত কনে নিয়ম-আচারের কথা বলে বাড়িতে হালুয়া তৈরি করে শ্বশুরবাড়ির সকল সদস্যকে খুশি মনে খাওয়ান। এরপরেই সকলে ঘুমে ঢুলে পড়ে।
এরপর ২৫ জানুয়ারি নীরজ তার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামে ফিরে গেলেও শ্বশুরবাড়িতে এসে এই নববিবাহিত কনে নিয়ম-আচারের কথা বলে বাড়িতে হালুয়া তৈরি করে শ্বশুরবাড়ির সকল সদস্যকে খুশি মনে খাওয়ান। এরপরেই সকলে ঘুমে ঢুলে পড়ে।
advertisement
5/10
বর নীরজ এবং তার ভাই পারবিন্দর পুলিশে অভিযোগ দেওয়ার সময় বলেছেন যে তারা ২৪ জানুয়ারি বিয়ে করতে হরিদ্বারে গিয়েছিলেন। এর পর সঞ্জয় আর অমিত বলে কনের দুই সঙ্গী রুদ্রপুরে নিয়ে যায় তাঁদের।
বর নীরজ এবং তার ভাই পারবিন্দর পুলিশে অভিযোগ দেওয়ার সময় বলেছেন যে তারা ২৪ জানুয়ারি বিয়ে করতে হরিদ্বারে গিয়েছিলেন। এর পর সঞ্জয় আর অমিত বলে কনের দুই সঙ্গী রুদ্রপুরে নিয়ে যায় তাঁদের।
advertisement
6/10
এর পর লখবিন্দর কৌর নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই মহিল তাঁদের নিয়ে যায় সেতারগঞ্জের কাছে নানক পুখতা শহরে। সেখানে মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় হয় বরের। ছেলে মেয়ের সম্পর্ক নিশ্চিত হয়। এরপর সঞ্জয়, অমিত ও ওই মহিলা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন পাত্রপক্ষের কাছ থেকে। দুজনের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ২৫ জানুয়ারি কনে-সহ বাড়িতে পৌঁছন বর।
এর পর লখবিন্দর কৌর নামে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই মহিল তাঁদের নিয়ে যায় সেতারগঞ্জের কাছে নানক পুখতা শহরে। সেখানে মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় হয় বরের। ছেলে মেয়ের সম্পর্ক নিশ্চিত হয়। এরপর সঞ্জয়, অমিত ও ওই মহিলা ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন পাত্রপক্ষের কাছ থেকে। দুজনের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ২৫ জানুয়ারি কনে-সহ বাড়িতে পৌঁছন বর।
advertisement
7/10
পারবিন্দর জানান, বাড়িতে আসার পর মেয়েটি মিষ্টি কিছু তৈরি করতে চান। বলেন এটাই পারিবারিক নিয়ম। এমন অবস্থায় বরের মা সুজি নিয়ে আসেন। তাই দিয়েই হালুয়া বানিয়ে কনে পরিবারের সবাইকে খাওয়ান। পরিবারের সবাই হালুয়া খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
পারবিন্দর জানান, বাড়িতে আসার পর মেয়েটি মিষ্টি কিছু তৈরি করতে চান। বলেন এটাই পারিবারিক নিয়ম। এমন অবস্থায় বরের মা সুজি নিয়ে আসেন। তাই দিয়েই হালুয়া বানিয়ে কনে পরিবারের সবাইকে খাওয়ান। পরিবারের সবাই হালুয়া খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
advertisement
8/10
এরপর সম্ভবত রাতেই সাগরেদদের ডেকে পাঠান কনে। অমিত আর সঞ্জয় গাড়ি নিয়ে হাজির হয়ে যায়। এরপর সবাই মিলে ঘুমন্তপুরি বাড়ি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার সোনার গয়না ও এক লাখ টাকার মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর সম্ভবত রাতেই সাগরেদদের ডেকে পাঠান কনে। অমিত আর সঞ্জয় গাড়ি নিয়ে হাজির হয়ে যায়। এরপর সবাই মিলে ঘুমন্তপুরি বাড়ি থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার সোনার গয়না ও এক লাখ টাকার মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়।
advertisement
9/10
দলটিকে ধরতে তৎপর পুলিশ। নির্যাতিত বর নীরজ জানান, প্রথমে আমরা অমিত ও সঞ্জয়কে ফোন করে ঘটনার কথা জানালে দুজনেই পাল্টা আমাদের উত্যক্ত করতে থাকে। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি আমরা ডাকাত কনে রেখা এবং বিয়ের আয়োজনকারী সঞ্জয় ও অমিতের বিরুদ্ধে ৩২৮, ৪০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা করি।
দলটিকে ধরতে তৎপর পুলিশ। নির্যাতিত বর নীরজ জানান, প্রথমে আমরা অমিত ও সঞ্জয়কে ফোন করে ঘটনার কথা জানালে দুজনেই পাল্টা আমাদের উত্যক্ত করতে থাকে। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি আমরা ডাকাত কনে রেখা এবং বিয়ের আয়োজনকারী সঞ্জয় ও অমিতের বিরুদ্ধে ৩২৮, ৪০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা করি।
advertisement
10/10
অভিযুক্তরা পুলিশের কাছে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় চাইলেও কোনও কাজ না হওয়ায় পুলিশ আমাদের নিয়ে ওদের আস্তানায় অভিযান চালাতে গেলে দেখা যায় সবাই পালিয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ বলছে, তাদের একটি গ্যাং আছে যারা মানব পাচারও করে। দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের খোঁজ চলছে। শিগগিরই বিষয়টি প্রকাশ করা হবে।
অভিযুক্তরা পুলিশের কাছে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় চাইলেও কোনও কাজ না হওয়ায় পুলিশ আমাদের নিয়ে ওদের আস্তানায় অভিযান চালাতে গেলে দেখা যায় সবাই পালিয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশ বলছে, তাদের একটি গ্যাং আছে যারা মানব পাচারও করে। দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের খোঁজ চলছে। শিগগিরই বিষয়টি প্রকাশ করা হবে।
advertisement
advertisement
advertisement