Viral News: ৫৫ বছর বয়সে ১৭ তম সন্তানের জন্ম দিলেন মহিলা, ঠাকুমার কোলে একরত্তিকে দেখে খুশি নাতি-নাতনিরা
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষার পরে ডাক্তার যখন বললেন, তিনি সন্তানসম্ভবা, তখন খানিক লজ্জা পেয়েছিলেন রেখা। চিকিৎসকে মিথ্যাও বলেন। জানান, এই নিয়ে চতুর্থ বার মা হচ্ছেন। রেখা সন্তান প্রসবের পরে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা জানতে পেরেছেন আগে ১৬ বার সন্তান প্রসব করেছেন তিনি
তাঁর বয়স ৫৫ বছর! নাতি-নাতনি নিয়ে ভরা সংসার! এরমধ্যেই বদল হল রুটিন! আচমকাই শুরু পেটব্যাথা! হাসপাতালে যেতেই 'সুখবর' পেলে ৫৫ বছর বয়সী রেখা কালবেলিয়া! গোটা পরিবারের চোখ কপালে! খোদ রেখাও খানিক ইতস্তত! মা হবেন তিনি। ডাক্তার পরীক্ষা করে জানিয়ে দিলেন, তিনি গর্ভবর্তী! সবথেকে বড় চমক তার পর এল! রেখা কালবেলিয়া এই ১৭ তম বার মা হলেন। এর আগে তিনি ১৬ সন্তানেরর জন্ম দিয়েছেন।
advertisement
বেশি বয়সে মা হওয়ার ঘটনা বিরল নয়। পঞ্চাশ পেড়িয়ে যাওবার পরও বহু মহিলা মা হয়েছেন! কিন্তু এই বয়সে মা হয়ে রেখা নিজেও খানিক ইতস্তত! তিনি তীব্র পেটব্যধা নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষার পরে ডাক্তার যখন বললেন, তিনি সন্তানসম্ভবা, তখন খানিক লজ্জা পেয়েছিলেন রেখা। চিকিৎসকে মিথ্যাও বলেন। জানান, এই নিয়ে চতুর্থ বার মা হচ্ছেন। রেখা সন্তান প্রসবের পরে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা জানতে পেরেছেন আগে ১৬ বার সন্তান প্রসব করেছেন তিনি।
advertisement
advertisement
রাজস্থানের উদয়পুর জেলার ঝাদোল ব্লকের লিলাবাস গ্রামের বাসিন্দা রেখা। স্বামী কাভেরা। তাঁদের মোট ১৭ টি সন্তান। যদিও জন্মের কিছু সময় পর তাঁর ৫ সন্তানের মৃত্যু হয়। বর্তমানে তাঁর ১২ সন্তান জীবিত। সাত ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। রেখার স্বামী জানান, তাঁদের ছেলেমেয়ে যাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই ২-৩ টে করে ছেলেপুলে। কাজেই রেখা একাধিকবার ঠাকুমা-দিদিমা হয়েছেন! এবার তিনি তাঁর কনিষ্ঠ সন্তানের জন্ম দিলেন। রেখার সবথেকে ছোট সন্তান মেয়ে।
advertisement
রেখা দরিদ্র পরিবারের। স্বামী কাভরা রাম কলবেলিয়া পেশায় স্কার্প ডিলার। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তিন প্রজন্ম এক ছাদের তলায় থাকি। আমাদের দুই ছেলে এবং তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তাদের প্রত্যেকের দু’টি-তিনটি করে ছেলেমেয়ে।’’ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের এটাই সমস্যা। আসলে শিক্ষার অভাব। গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই নিরক্ষর। স্বাস্থ্যকর্মীরা চেষ্টা করছি। এই বয়সে মা হওয়া যে কতটা ঝুঁকির, তা বোঝানোর কাজ করতে হবে।’’