এখনও পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে কেরলে মোট ৮০ শিশু নতুন রোগ টমেটো জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এটিকে সাধারণত হাত, পা ও মুখের রোগ বলেও চিহ্নিত করা হয়। এই রহস্যজনক রোগের উপসর্গ অনেকটা চিকুনগুনিয়ার মতো। ইতিমধ্যে কোয়েম্বাটোরের এই নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়া তামিলনাড়ু ও কেরল, উভয় রাজ্যেই বিশেষ নজরদারি দল তৈরি করা হয়েছে। সতর্ক হয়েছে কর্নাটকও।
এটি কি ছোঁয়াচে?
অন্য অনেক জ্বরের মতোই এটিও ছোঁয়াছে। করোনার মতোই এই রোগের সংক্রমণ থেকে বাচ্চারে রক্ষা করতে শিশুকে আইসোলেশনে রাখা দরকার হয়ে পড়ে। এ ছাড়া চুলকুনি দেখা দিলে বাচ্চকে তা থেকে বিরত রাখা একান্তই দরকার। বিশ্রাম, পরিচ্ছন্নতা, বজায় রাখা দরকার। বার বার আক্রান্তের বিছানা ধোয়া, জামাকাপড় ধোয়া প্রয়োজন। নিয়মিত স্যানিটাইজ করাও একান্ত প্রয়োজন।
কতদূর চিকিৎসা সম্ভব?
এটি একটি স্ব-নিয়ন্ত্রিত জ্বর। অর্থাৎ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি সেরে যায়, তবে খেয়াল রাখতে হয় এই সময়ে জ্বর যেন ছড়িয়ে না পড়ে। এটি স্যালাইভা, মিউকাস, মল-মূত্রের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সব চেয়ে বড় কথা, এই রোগে আক্রান্তের শরীরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখা একান্ত দরকার।