Susmita Deb: মনোনয়ন জমা দিলেন সুস্মিতা দেব, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় পা?

রাজ্যসভার নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেবকে (Susmita Deb)। এদিন তিনি বিকেল সাড়ে ৩'টে নাগাদ মনোনয়ন জমা দেন।

মনোনয়ন জমা পর্বে উচ্ছ্বসিত ছিলেন সুস্মিতা  (Susmita Deb)। তিনি জানিয়েছেন, "এটা ভেবেই দারুণ লাগছে যে আমি অসমের বাসিন্দা, আর আমাকে দিল্লিতে সাংসদ করে পাঠাচ্ছেন বাংলার বিধায়করা। দিদি (CM Mamata Banerjee)-অভিষেক সহ গোটা তৃণমূল পরিবার আমাকে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। আমি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।"

এদিন মনোনয়ন পর্ব পেশে সুস্মিতার (Susmita Deb)সঙ্গী ছিলেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। অসমের (Assam) শিলচরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা সদ্য় তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তাঁকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) দিল্লিতে পাঠিয়ে বিশেষ দায়িত্ব দিতে চাইছেন।

এদিনও সুস্মিতা  (Susmita Deb)স্পষ্ট করেছেন ত্রিপুরাই পাখির চোখ। তাঁর কথায়, "ত্রিপুরায় আমার লড়াই। প্রথম নজর আমাদের ত্রিপুরাই। বিপ্লব দেবের সরকার ও পুলিশকে এক্সপোজ করতে চাই। কেন বারবার বাধা দিচ্ছে তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি৷"

রাজ্যে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিশ্চিন্ত করার পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবার দলকে দেশের অন্য়ান্য় প্রান্তেও ছড়িয়ে দিতে চাইছেন। তাতে সাড়া দিয়ে জাতীয় স্তরের বহু নেতা-নেত্রীই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

কেন্দ্রে বিজোপি বিরোধী প্রধান মুখ হিসেবে তৃণমূল নেত্রীই এগিয়ে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁর নেতৃত্বে রাজনীতি করতেই অসমের জনপ্রিয় নেত্রী সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁকেই উত্তর পূর্বে অসম ও ত্রিপুরায় সংগঠন বিস্তারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার রাজ্যসভার সাংসদ করে দলে তাঁর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

এদিকে সোমবার সকালেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন রাজ্য়সভার নির্বাচনে তাঁরা কোনও প্রার্থী দিচ্ছেন না। ফলে ওই আসনে তৃণমূল প্রার্থী সুস্মিতা দেব কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিততে চলেছেন।

যদি অন্য় কোনও রাজনৈতিক দল ওই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করে তবে আর ভোটাভুটি হবে না এমনটাই জানা যাচ্ছে। আগামী ৪ অক্টোবর মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে ভোট হওয়ার কথা।

সংখ্য়া তত্ত্বের বিচারে ওই আসনে তৃণমূলের প্রার্থীই জিতে যাবেন। তাই শক্তির নিরিখে রাজ্যসভার ভোটে জেতা সম্ভব নয় বুঝেই প্রার্থী দিচ্ছে না গেরুয়া শিবির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিনই ট্যুইট করে জানিয়ে দেন, রাজ্যসভার ভোটে প্রার্থী দিচ্ছে না বিজেপি।