

মধ্যপ্রদেশের মান্দাসৌরের গল্প এমন এক মানুষের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ৷ যিনি বহু অচেনা মানুষের পিন্ডদান করেন ৷ হয়ত ভাললাগা থেকেই এই মহান প্রয়াস তাঁর ৷ এখানেই শেষ হয় লাওয়ারিশ মরদেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তিনিই ৷ এমন সমস্ত মানুষ আছেন যাঁরা আত্মীয় পরিজনের পিন্ডদান করতে হরিদ্বার যেতে না পারেন ৷


হিন্দুশাস্ত্র মতে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পরে অস্থি বিসর্জন ও পিন্ডদান হরিদ্বারের গঙ্গায় করতে হয় ৷ এই নীতি মানলে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এমনই বিশ্বাস রয়েছে ৷ পরিচয়হীন মৃতদেহ শেষকৃত্য করে থাকেন ৷ সুনীল বনসল নামে এক ব্যক্তি এমনই কাজ করে চলেছেন বহু সময় ধরে ৷


মান্দাসৌরের সমাজ সেবক সুনীল বনসল বিগত ২২ বছর ধরে শেষকৃত্য করে আসছেন এমন মানুষদের যাঁদের কোনও চেনা জানা বা আত্মীয় পরিজন নেই এমন মানুষের সৎকার করে থাকেন ৷ ২২ বছর ধরে ১২০০ জন পিন্ডদান করেছেন ৷


সুনীল বনসল শুধুই পিন্ডদান করেন এমন নয়, শেষকৃত্য সম্পন্ন করে অস্থি সঞ্চয় করে পূজার্চনা করে থাকেন ৷ পরে গঙ্গায় সেই অস্থি বিসর্জন করেন ৷


সুনীল বনসল ২২ বছর আগে সুনীল বনসল একাই করতেন, আজও করেন ৷ কিন্তু অস্থি নিয়ে যখন হরিদ্বারের পথে রওনা হন তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন থাকেন ৷ সুনীল বনসলের কাজে তাঁর পরিবার পূর্ণ সহযোগ করে, তবে এখনও বেশ কিছু বন্ধুবান্ধবও সহযোগিতা করেন ৷