Sonam Raghuvanshi Latest News: সোনমের আরও বড় কেচ্ছা! 'মিথ্যে বলছে, আরও কেউ...', হাতে জ্বলন্ত প্রমাণ? এবারে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজার ভাই সচিনের
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Sonam Raghuvanshi News: ইনদওরে সোনমের আত্মগোপনের কাহিনী তদন্তে নতুন মোড় এনেছে। রাজার ভাই সচিন রঘুবংশী এই ষড়যন্ত্রে আরও কারও জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
*মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন হন ইনদওরের রাজা রঘুবংশী। নিখোঁজ ছিল স্ত্রী সোনম, বেশ কয়েকদিন পরে গ্রেফতার হয় সে। সোনমকে গ্রেফতারের পর থেকেই প্রতিদিনই নতুন নতুন চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে। তাকে জেরায় উঠে আসে বাকি চার অভিযুক্ত রাজ কুশওয়াহা, বিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত ও আনন্দ কুর্মির নাম, মেঘালয় পুলিশ গ্রেফতার করে তাদের। এদিন সোনমের বিরুদ্ধে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে, বড় এক মিথ্যা ফাঁস হয়েছে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*ইনদওরে সোনমের আত্মগোপনের কাহিনী তদন্তে নতুন মোড় এনেছে। রাজার ভাই সচিন রঘুবংশী এই ষড়যন্ত্রে আরও কারও জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের নার্কো টেস্ট করা হোক, তাতেই সামনে আসবে আসল সত্যি। মেঘালয় পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) শিলংয়ের সদর থানায় সোনম ও অন্যান্য অভিযুক্তদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের আলাদা সেলে রাখা হয়েছে, সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে তাঁদের প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নজর রাখা হচ্ছে। তাদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*চিকিৎসকদের পরামর্শে সোনমকে সাধারণ ঘরোয়া খাবার যেমন খিচুড়ি, সেদ্ধ সবজি এবং ফল দেওয়া হচ্ছে। অন্য অভিযুক্তদের খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতে খাবার দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা উত্তর-পূর্ব ভারতের অধিকাংশ সম্প্রদায়ের খাদ্যাভ্যাসের থেকে আলাদা ধরনের খাবার খায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
advertisement
*এদিকে, ১৪ দিন ধরে ইনদওরে লুকিয়ে ছিলেন সোনম। এই মামলার তদন্তে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, রাজাকে খুনের পর ২৬ মে শিলং থেকে ইনদওরে পৌঁছন সোনম। তিনি ইনদওরের দেওয়াস নাকার কাছে হীরা বাগ কলোনির একটি নতুন বাড়িতে জি ১ ফ্ল্যাটে ১৪ দিন লুকিয়ে ছিলেন। অভিযুক্ত বিশাল চৌহান ৩০ মে বাড়ির মালিক শীলম জেমসের কাছ থেকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। শিলোম বলেন, বিশাল অন্য এক সহযোগীর সঙ্গে এসেছিল। চুক্তির মাধ্যমে ঘর ভাড়া নেন। ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৭ হাজার টাকা। বিশাল ৫১,০০০ টাকা অগ্রিম দিয়েছিলেন, যার মধ্যে এক মাসের ভাড়া এবং দু'মাসের অ্যাডভান্স ছিল। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*সোনম এমন বাড়ি বেছেছিলেন যেখানে কোনও সিসি ক্যামেরা ছিল না। সোনমের জন্য অনলাইনে প্রায় ৭ হাজার টাকার জিনিস অর্ডার দেন রাজ কুশওয়াহা। ইনদওরে থাকাকালীন সোনম পুলিশের প্রতিটি কার্যকলাপের উপর নজর রাখতেন। আশ্চর্যজনকভাবে লাসুদিয়া থানা এলাকায় থাকা সত্ত্বেও ইনদওরের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ৭-৮ জুন রাতে সোনম ইনদওর থেকে ট্যাক্সিতে করে বারাণসী পৌঁছন, তারপর বাসে করে গাজিপু, যেখানে ৯ জুন রাতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ সূত্রে খবর, সোনম তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ পরিকল্পিত ছিল। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*রাজার ভাই সচিন রঘুবংশী এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, 'রাজ বলছে সোনম মাস্টারমাইন্ড। সোনম বলছে রাজ। দু'জনেই একে অপরকে দোষারোপ করে পুলিশ, প্রশাসন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে বিভ্রান্ত করছে। আমরা মনে করি, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত। পুলিশের উচিত নার্কো টেস্ট করা, যাতে সত্যিটা বেরিয়ে আসে কে আসল মাস্টারমাইন্ড এবং কতজন এই ঘটনায় জড়িত তা বোঝা যাবে। আমরা চাই অপরাধীরা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাক, যাতে তারা বুঝতে পারে যে তারা কত বড় অপরাধ করেছে। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*সোনমের পরিবার হাওয়ালা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন সচিন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সোনমের পরিবার এত সম্পদ কোথা থেকে পেল? পরিবার এবং রঘুবংশী সম্প্রদায় মেঘালয় পুলিশের প্রাথমিক গাফিলতির জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং ইন্দোরের সাংসদ শঙ্কর লালওয়ানিও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন। সংগৃহীত ছবি।
advertisement
*মেঘালয় পুলিশ চার অভিযুক্ত রাজ কুশওয়াহা, বিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত এবং আনন্দ কুর্মিকে আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশ অপরাধের দৃশ্যটি পুনরায় তৈরি করতে এবং অভিযুক্তদের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তদন্তে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি, রক্তমাখা কাপড়, মোবাইল ও আঙুলের ছাপের মতো প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের বাকি যোগসূত্রও তদন্তে উঠে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাজার ভাই। সংগৃহীত ছবি।