প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম আইটি কোম্পানি চালান তিনি। এমনকী, ভারতের সবথেকে ধনী মহিলার খেতাবও ছিনিয়ে নিয়েছেন। কথা হচ্ছে, এইচসিএল টেকনোলজিস-এর চেয়ারপার্সন রোশনি নাদার মালহোত্রার। যাঁর নিজের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৪ হাজার কোটি টাকা। অনেকেই হয়তো জানেন না যে, এক জন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতেও সমান পারদর্শী তিনি। আজ তাঁরই সাফল্যের গল্প শুনে নেওয়া যাক।
১৯৭৬ সালে রোশনির বাবা শিব নাদার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এইচসিএল। বর্তমানে এই সংস্থার দায়িত্ব রয়েছে রোশনির কাঁধেই। নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছিলেন রোশনি। মূলত কমিউনিকেশন নিয়েই পড়াশোনা। এর মধ্যে অবশ্য ছিল টিভি, রেডিও এবং ফিল্মের মতো বিষয়। তবে সংস্থার দায়িত্ব পালন করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন রোশনি। এর জন্য কেলোগ স্কুল অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ করেছেন তিনি।
নিজের সংস্থার দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি রোশনি এখন শিব নাদার ফাউন্ডেশনের এক জন ট্রাস্টিও বটে! সেই সঙ্গে বহু স্কুল-কলেজও তৈরি করেছেন তিনি। ২০২০ সালে ফোর্বস বিশ্বের ১০০ জন ক্ষমতাশালী মহিলার তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেই তালিকায় ৫৫-তম স্থানে ছিল রোশনি। আবার তিনিই প্রথম মহিলা, যিনি একটি লিস্টেড সংস্থার দায়িত্ব সামলেছেন।
শুধু আইটি সংস্থার দায়িত্ব সামলানোই নয়, টিভি শো-এর প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন রোশনি। আসলে এত বড় সংস্থার দায়িত্ব পালন করার পরেও ফিল্মের প্রতি আকর্ষণ এতটুকু কমেনি। আবার একাধারে তিনি এক জন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী হিসেবেও কাজ করেন। সেই বিষয়ের উপরেই অ্যানিম্যাল প্ল্যানেট এবং ডিসকভারির জন্য ‘দ্য ব্রিঙ্ক’ নামে একটি টিভি সিরিজ তৈরি করেছিলেন। এই সিরিজে বাদুড় নিয়ে একটি পর্ব দেখানো হয়েছিল। যা ২০২২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিল।