Indian Railways: পরিবার নিয়ে স্টেশনে পৌঁছন অনুভব, ট্রেন এলেও জানতেই পারলেন না! স্টেশন মাস্টারের কাজে স্তম্ভিত যাত্রীরা, যা ঘটেছে কল্পনাতীত...

Last Updated:
Indian Railways: মুরাদনগরের অনুভব প্রজাপতি ছত্তিশগড় এক্সপ্রেসে ঝাঁসি যাওয়ার জন্য তিনি ও তাঁর পরিবার টিকিট বুক করেছিলেন। ছত্তিশগড় এক্সপ্রেস নিঃশব্দে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যায়। তাঁদের দাবি, ট্রেন সম্পর্কে কোনও ঘোষণাও তাঁরা শোনেননি। এরপর তিনি মামলা করেন।
1/8
*গাজিয়াবাদ জেলা গ্রাহক ফোরাম রেল স্টেশনগুলিতে তথ্যের অভাবে যাত্রীদের যে অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়, সে সম্পর্কে একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। এই রায়ে স্টেশনগুলিতে ট্রেন সম্পর্কিত স্পষ্ট ধারনা, সময়মতো তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থতা, পরিষেবার ঘাটতি হিসাবে বিবেচিত হবে। রেল পরিষেবার দায়িত্বের দিক থেকে এই সিদ্ধান্তকে একটি মাইলফলক হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে।
*গাজিয়াবাদ জেলা গ্রাহক ফোরাম রেল স্টেশনগুলিতে তথ্যের অভাবে যাত্রীদের যে অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়, সে সম্পর্কে একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। এই রায়ে স্টেশনগুলিতে ট্রেন সম্পর্কিত স্পষ্ট ধারনা, সময়মতো তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থতা, পরিষেবার ঘাটতি হিসাবে বিবেচিত হবে। রেল পরিষেবার দায়িত্বের দিক থেকে এই সিদ্ধান্তকে একটি মাইলফলক হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে।
advertisement
2/8
*মামলাটি মূলত মুরাদনগরের অনুভব প্রজাপতি নামে এক যাত্রীকে নিয়ে। ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ছত্তিশগড় এক্সপ্রেসে ঝাঁসি যাওয়ার জন্য তিনি ও তাঁর পরিবার টিকিট বুক করেছিলেন। ট্রেনটি গাজিয়াবাদ স্টেশন থেকে বিকেল ৩ঃ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। তারা আগেই স্টেশনে পৌঁছে প্রথম শ্রেণির ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা।
*মামলাটি মূলত মুরাদনগরের অনুভব প্রজাপতি নামে এক যাত্রীকে নিয়ে। ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ছত্তিশগড় এক্সপ্রেসে ঝাঁসি যাওয়ার জন্য তিনি ও তাঁর পরিবার টিকিট বুক করেছিলেন। ট্রেনটি গাজিয়াবাদ স্টেশন থেকে বিকেল ৩ঃ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। তারা আগেই স্টেশনে পৌঁছে প্রথম শ্রেণির ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা।
advertisement
3/8
*স্টেশনে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ট্রেন ৪০ মিনিট দেরিতে চলবে। এমনটাই বিশ্বাস করে বিকেল ৩ঃ২৫ মিনিটে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যান ওই যাত্রীর পরিবার। সেখানে অযোধ্যা এক্সপ্রেস দেখা গেলেও ছত্তিশগড় এক্সপ্রেস সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না। তারা স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও অফিস বন্ধ থাকায় কোনও তথ্য পাননি।
*স্টেশনে ঘোষণা করা হচ্ছিল, ট্রেন ৪০ মিনিট দেরিতে চলবে। এমনটাই বিশ্বাস করে বিকেল ৩ঃ২৫ মিনিটে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যান ওই যাত্রীর পরিবার। সেখানে অযোধ্যা এক্সপ্রেস দেখা গেলেও ছত্তিশগড় এক্সপ্রেস সম্পর্কে কোনও তথ্য ছিল না। তারা স্টেশন মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও অফিস বন্ধ থাকায় কোনও তথ্য পাননি।
advertisement
4/8
*অনুভব প্রজাপতি ভোর ৫ঃ২১ মিনিটে রেল কর্তৃপক্ষকে টুইট করলেও কোনও সাড়া মেলেনি। পরে তিনি জানতে পারেন সকাল ছ'টা নাগাদ তাঁরা যখন অন্যত্র অপেক্ষা করছিলেন, তখন জানা ছত্তিশগড় এক্সপ্রেস নিঃশব্দে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যায়। তাঁদের দাবি, ট্রেন সম্পর্কে কোনও ঘোষণাও তাঁরা শোনেননি। এরপর তিনি মামলা করেন।
*অনুভব প্রজাপতি ভোর ৫ঃ২১ মিনিটে রেল কর্তৃপক্ষকে টুইট করলেও কোনও সাড়া মেলেনি। পরে তিনি জানতে পারেন সকাল ছ'টা নাগাদ তাঁরা যখন অন্যত্র অপেক্ষা করছিলেন, তখন জানা ছত্তিশগড় এক্সপ্রেস নিঃশব্দে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে চলে যায়। তাঁদের দাবি, ট্রেন সম্পর্কে কোনও ঘোষণাও তাঁরা শোনেননি। এরপর তিনি মামলা করেন।
advertisement
5/8
*কনজিউমার ফোরামের রায়ঃ গাজিয়াবাদ ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার ফোরাম বিষয়টি তদন্ত করার সময় অনুভব প্রজাপতি এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন। শুনানি চলাকালীন ভারতীয় রেল কোনও আনুষ্ঠানিক উত্তর জমা দেয়নি। যদিও তাদের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন 'ট্রেনটি তিন ঘণ্টার বেশি দেরি না করায় ক্ষতিপূরণের কোনও সুবিধা নেই', কিন্তু ফোরাম সেই আর্জি খারিজ করে দেয়।
*কনজিউমার ফোরামের রায়ঃ গাজিয়াবাদ ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার ফোরাম বিষয়টি তদন্ত করার সময় অনুভব প্রজাপতি এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন। শুনানি চলাকালীন ভারতীয় রেল কোনও আনুষ্ঠানিক উত্তর জমা দেয়নি। যদিও তাদের আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন 'ট্রেনটি তিন ঘণ্টার বেশি দেরি না করায় ক্ষতিপূরণের কোনও সুবিধা নেই', কিন্তু ফোরাম সেই আর্জি খারিজ করে দেয়।
advertisement
6/8
*ফোরামের উপসংহারে বলা হয়: 'একটি ঘোষণা করে, সেখান দিয়ে অন্য ট্রেন চালানো, বা প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান না করা, যাত্রীদের মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। একে 'সেবার ঘাটতি' হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
*ফোরামের উপসংহারে বলা হয়: 'একটি ঘোষণা করে, সেখান দিয়ে অন্য ট্রেন চালানো, বা প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদান-প্রদান না করা, যাত্রীদের মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। একে 'সেবার ঘাটতি' হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
advertisement
7/8
*ক্ষতিপূরণঃ এই প্রেক্ষিতে, ফোরাম, গাজিয়াবাদ রেলওয়ে স্টেশন, উত্তর রেলওয়ে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুভব প্রজাপতি এবং তার পরিবারকে মোট ৭,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ৪৫ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে। ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব স্টেশন সুপার, স্টেশন মাস্টার, ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার ও উত্তর রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে বহন করতে হবে।
*ক্ষতিপূরণঃ এই প্রেক্ষিতে, ফোরাম, গাজিয়াবাদ রেলওয়ে স্টেশন, উত্তর রেলওয়ে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুভব প্রজাপতি এবং তার পরিবারকে মোট ৭,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ৪৫ দিনের মধ্যে এই টাকা পরিশোধ করতে হবে। ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব স্টেশন সুপার, স্টেশন মাস্টার, ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার ও উত্তর রেলের জেনারেল ম্যানেজারকে বহন করতে হবে।
advertisement
8/8
*এই রায় একটি দুর্দান্ত বার্তা, ভারতীয় রেলকে আরও দায়িত্বশীল করার দিকে একটি ভাল পদক্ষেপ। যাত্রীদের অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তথ্যের অভাবকে বড় ধরনের ভুল হিসেবে গণ্য করে ক্রেতা সুরক্ষা আইনের অর্থবহতা প্রদর্শন করা হয়েছে।
*এই রায় একটি দুর্দান্ত বার্তা, ভারতীয় রেলকে আরও দায়িত্বশীল করার দিকে একটি ভাল পদক্ষেপ। যাত্রীদের অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তথ্যের অভাবকে বড় ধরনের ভুল হিসেবে গণ্য করে ক্রেতা সুরক্ষা আইনের অর্থবহতা প্রদর্শন করা হয়েছে।
advertisement
advertisement
advertisement