Pahalgam Terror attack: নাম জিজ্ঞেস করে একে একে খুন করছিল জঙ্গিরা, পহেলগাঁও হামলার পিছনে টিআরএফ! কারা এরা? এদের নেপথ্যেই বা কারা?

Last Updated:
২০১৯ সালে গঠিত টিআরএফ অতীতেও সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত। কী ভাবে তৈরি হল এই দল? এঁরা কারা?
1/8
জম্মু-কাশ্মীরে সেনার গাড়িতে হামলা নয়, দুর্ঘটনাজনিত গুলিবর্ষণ! গুলি চালাল কে? এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য
বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে ভূস্বর্গ। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও পর্যন্ত ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারেই বলে মনে করা হচ্ছে। এই হামলার পরেই শিরোনামে উঠে এসেছে এক জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম 'দ্য রেসিডেন্ট ফ্রন্ট।'
advertisement
2/8
এই রাজ্যগুলিতে বৃষ্টির সতর্কতা: আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে রবিবার তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে পরিষ্কার নিম্নচাপ এলাকায় পরিণত হয়েছে। এটি ৩.১ কিলোমিটার এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত সঞ্চালন তৈরি করেছে। ঘূর্ণাবর্তটি পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তরের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছনোর সম্ভাবনা রয়েছে।
পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে তাঁরা। 'টিআরএফ' নামে পরিচিত এই সংগঠন হামলার দায় নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে কাশ্মীরে অবৈধভাবে বসতি গড়তে চাইলে উপত্যকায় এই ধরনের হামলা চলতেই থাকবে। ২০১৯ সালে গঠিত টিআরএফ অতীতেও সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত। কী ভাবে তৈরি হল এই দল? এঁরা কারা?
advertisement
3/8
: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার কমান্ড ছিল পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের নিজের হাতে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এই হামলায় প্রায় ৬ জন সন্ত্রাসবাদী জড়িত ছিল। তাদের মধ্যে দুজন বিদেশি জঙ্গিও রয়েছে। এই জঙ্গিদের কাছে AK-47-র মতো রাইফেল ছিল। দক্ষিণ কাশ্মীরের কোকেরনাগ-পুলওয়ামা এবং শোপিয়ান এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সকালের মধ্যে, সন্ত্রাসবাদীদের সকালের মধ্যেই খুঁজে নিকেশ করে দেওয়ার অ্যাজেন্ডা নিয়ে উপত্যকায় চিরুণি তল্লাশি চালাচ্ছে বাহিনী৷ Photo- Representative 
দ্য রেসিডেন্ট ফ্রন্ট কী?টিআরএফের উত্থান হয় ২০১৯ সালে। তখন সবে সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই লশকরের ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। মূল লক্ষ্য ছিল, কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্য সাধনের জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মে পুনর্বিন্যাস আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের।
advertisement
4/8
TRAI প্রধান জানিয়েছেন যে গত ১ মাস ধরে এটি নিয়ে কাজ চলছে। ভারতীয় নেটওয়ার্কগুলিকে এবং ইউজারদের সুরক্ষিত করতে তারা ক্রমাগত নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তিনি মনে করি যে নেটওয়ার্ক মেরামত করতে আরও একটু সময় প্রয়োজন। এটি করা হলে ৩১ ডিসেম্বরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হতে পারে। অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। এমতাবস্থায় এটি কিছু সময়ের জন্য বাড়ানো যেতে পারে।
গোড়ায় অবশ্য এই গোষ্ঠীর উপস্থিতি ছিল শুধুই অনলাইনে। পরে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে তারা। প্রতিষ্ঠার মাস ছয়েকের মধ্যেই অনলাইন থেকে বাস্তবে রূপ পায় টিআরএফ। উপস্থিতি জানান দিতে লশকর, জৈশ-ই-মহম্মদ-সহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে এই সংগঠনে সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত আড়ে-বহরে বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল কেন্দ্র। জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা।
advertisement
5/8
 টিআরএফ কী ভাবে কাজ করে?<br />এই সংগঠনে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীদের প্রথমে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে হামলার পিছনেও পাক জঙ্গিদের হাত আছে বলে খবর। এরপর তাঁরা ফিরে আসে দেশে। জানা যায় ঘটনাটি ঘটানোর আগে টিআরএফ সন্ত্রাসীরা তাঁদের বাড়িতেই ছিল। সিগন্যাল পাওয়ার পরই অপারেশনে বেরোয় তাঁরা। শুরু করে আক্রমণ। হামলার পর, পিছনে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বলেই খবর।
টিআরএফ কী ভাবে কাজ করে?এই সংগঠনে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীদের প্রথমে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে হামলার পিছনেও পাক জঙ্গিদের হাত আছে বলে খবর। এরপর তাঁরা ফিরে আসে দেশে। জানা যায় ঘটনাটি ঘটানোর আগে টিআরএফ সন্ত্রাসীরা তাঁদের বাড়িতেই ছিল। সিগন্যাল পাওয়ার পরই অপারেশনে বেরোয় তাঁরা। শুরু করে আক্রমণ। হামলার পর, পিছনে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বলেই খবর।
advertisement
6/8
 টিআরএফ সন্ত্রাসীরা প্রায়ই হিন্দু, পর্যটক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিআরএফ সন্ত্রাসবাদীরা দ্রুত খ্যাতি অর্জনের জন্য এই কৌশল অবলম্বন করে।
টিআরএফ সন্ত্রাসীরা প্রায়ই হিন্দু, পর্যটক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিআরএফ সন্ত্রাসবাদীরা দ্রুত খ্যাতি অর্জনের জন্য এই কৌশল অবলম্বন করে।
advertisement
7/8
অনেক এলাকায় অভিযান চলছে। গোয়েন্দা সংস্থার একজন শীর্ষ কর্মকর্তার মতে, এই মামলায় জড়িত জঙ্গিদের খোঁজে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পাওয়া গেছে, যার ভিত্তিতে দক্ষিণ কাশ্মীরের বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। এই অভিযানে কোকার নাগ, পুলওয়ামা এবং সোপিয়ান জেলাতেও খোঁজ চলছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই মামলায় দোষীদের ধরে ফেলতে পারবে৷
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে সঙ্গেই জইশ-ই-মহম্মদ যুক্ত ছিল বলে খবর সূত্রে। এই দিন হামলায় ৫-১০ জঙ্গি যুক্ত থাকতে পারে। গোয়েন্দা সূত্রেও খবর এই টিআরএফ আসলে লস্কর-ই-তইবার একটি শাখা সংগঠন।
advertisement
8/8
কী ঘটল পাকিস্তানে?
কারণ, এই জঙ্গিগোষ্ঠীর পিছনে হাত রয়েছে মুম্বইয়ের ২৬/১১ সন্ত্রাসের চক্রী হাফিজ মহম্মদ সঈদ, জাকিউর রহমান লকভিদের। এরা মূলত আরও একটি ‘ছায়া সংগঠন’ গড়ে কাশ্মীরে নাশকতার ধারা বজায় রাখতে সক্রিয় হয়। আর সেই সূত্রেই গড়ে উঠেছিল তেহরিক লবাইক ইয়া মুসলিম (টিএলএম), ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) -এর মতো জঙ্গিগোষ্ঠী। যে টিআরএফ সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বৈসরন উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পর্যটক। রাতে নৃশংস হত্যালীলার দায় স্বীকার বিবৃতিও দিয়েছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীটি।
advertisement
advertisement
advertisement