Operation Sindoor: বাহাওয়ালপুর,মুরিদকে থেকে কোটলি- জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল পাকিস্তানের এই অঞ্চলগুলি, ভারতীয় সেনার আঘাতে তছনছ সন্ত্রাসীদের আখড়া

Last Updated:
কিন্তু হামলার জন্য কেন এই নির্দিষ্ট জায়গা গুলিকে বেছে নেওয়া হল?
1/10
‘সিঁদুর’ নামটি শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থানই নয়, বরং জাতীয় গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও কাজ করছে। এছাড়া, ‘সিঁদুর’ শব্দটি সিন্ধু নদীর সঙ্গেও সাংস্কৃতিকভাবে সম্পৃক্ত। সিন্ধু নদী ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস ও সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। Photo: AP
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। মধ্যরাতে পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাক সরকারের বিবৃতিতে আট জনের মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে। পাক সরকার জানিয়েছে তাঁরা সকলেই সাধারণ নাগরিক।(Photo- AP)
advertisement
2/10
পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এবার আঘাত হানল ভারতীয় বাহিনী। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাব দিল ভারত ৷ মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং PoK-র বিভিন্ন জায়গা টার্গেট করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারতীয় সেনা ৷ যার নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) ৷ কিন্তু কেন এই অভিযানের নাম ‘সিঁদুর’ রাখা হল? এর পিছনের কারণ ও তাৎপর্য নিয়েই এই প্রতিবেদন ৷ Photo: AP
কিন্তু তা মানতে নারাজ ভারত। ভারতের বক্তব্য, পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হয়েছিল। বহু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারত এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। যার অন্যতম নিশানা ছিল বাহাওয়ালপুর শহর। এখানে ভারতের হামলার কথা স্বীকার করেছে পাকিস্তানও। Photo: AP
advertisement
3/10
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গিদের হামলার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের মাটিতে কেবল একটি বা দুটি নয়, ৯টি জঙ্গি আস্তানায় দ্রুত আক্রমণ চালায়। এর ফলে সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে৷ সেখানকার হাসপাতালগুলিতে আহত জঙ্গিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷  রাস্তায় শুধু অ্যাম্বুলেন্স। আর ভারত যে শুধু মুখের কথায় বাঘ মারছে তা নয় বরং একাধিক আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ভারতের আক্রমণের দাবিতে সত্যি প্রমাণ করছে৷ এই সংস্থাগুলি পাকিস্তানের পরিস্থিতির ছবি তুলে ধরছে।
তবে তাদের দাবি, বাহাওয়ালপুরে ভারতের হামলায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ৩১ জন। কিন্তু হামলার জন্য কেন এই নির্দিষ্ট জায়গা গুলিকে বেছে নেওয়া হল?
advertisement
4/10
হিমাংশির সিঁদুরের হিসাব জঙ্গিদের রক্ত দিয়ে পূর্ণ হয়েছে। তাই এই অপারেশনের অপারেশন সিঁদুর রাখা হয়েছে। ভারত এমন আক্রমণ করবে, পাকিস্তান স্বপ্নেও ভাবেনি। ভারত বুধবার মক ড্রিলের প্রস্তুতি ছিল। পাকিস্তান ভেবেছিল মক ড্রিলের আগে ভারত আক্রমণ করবে না। কিন্তু মক ড্রিলের আড়ালে ভারত পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের লাশ ফেলে দিয়েছে।
লাহোর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে বাহাওয়ালপুর শহর পাকিস্তানের অন্যতম বড় শহর। একে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করা হয়। ভারতের বুকে বিভিন্ন জঙ্গিহানা ঘটানো জইশ-ই-মহম্মদের প্রতিষ্ঠাতা মাসুদ আজহারের হাতে গড়া সদর দফতরও রয়েছে ‘জামিয়া মসজিদ শুভান আল্লাহ’ ক্যাম্পাসে। একে উসমান-ও-আলি ক্যাম্পাস বলেও অনেকে চেনেন। ১৮ একর জমি জুড়ে এই ক্যাম্পাস বিস্তৃত। এখানে জইশ জঙ্গিদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
advertisement
5/10
জৈশ-এ-মহম্মদের প্রধান সন্ত্রাসবাদী নেতা মাসুদ আজহার। প্রোগ্রামের স্থান হবে রাওয়ালকোট যা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির  জন্য প্রধান লঞ্চিং প্যাড। হামাস নেতাদের পোস্টার এখানে লাগানো হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরে ক্রমাগত সামরিক চাপের পর JeM অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছে, যার কারণে এখন তাদের শক্তিবৃদ্ধির জন্য হামাসের সাহায্য নিতে হচ্ছে। POK এর সাবির শহিদ স্টেডিয়ামে ‘কাশ্মীর সলিডারিটি অ্যান্ড আল আকসা ফ্লাড’ কনফারেন্সের নামে ৫ ফেব্রুয়ারি একটি মিটিং করা হচ্ছে।
জইশের প্রতিষ্ঠাতা মৌলানা মাসুদ আজহার বাহাওয়ালপুরেই বাসিন্দা, এই ক্যাম্পাসেই থাকেন।২০০২ সালে সরকারি ভাবে জইশ-ই-মহম্মদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, তা কেবল খাতায় কলমে। পাকিস্তানের এই ক্যাম্পাসে বসে বিনা বাধায় কাজ করত জইশ জঙ্গিরা। ক্যাম্পাসের অদূরেই রয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ক্যান্টনমেন্টও। বেশ কয়েকটি সূত্রের দাবি, এই বাহাওয়ালপুরে একটি গোপন পরমাণু ঘাঁটি রয়েছে। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে বলেও অনেকে দাবি করেন।
advertisement
6/10
ndia Operation Sindoor Pakistan 9 Terrorist Camps Destroyed know what happened which spots of pakistan and POK destroyedউড়ল পাকিস্তানের ৯টি জায়গা! কোথায় কোথায় আক্রমণ ভারতের? দেখুন ভিডিও
মুরিদকে- লশকর-ই-তইবা বেস এবং ট্রেনিং গ্রাউন্ডলাহোর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে মুরিদকে লশকর-ই-তইবার অন্যতম ঘাঁটি বলে পরিচিত। এখানেই রয়েছে এই জঙ্গি সংগঠনের দাতব্য শাখা জামাত-উদ-দাওয়া। ২০০ একরের জমির উপর বিস্তৃত এই এলাকায় বিভিন্ন সময় জঙ্গিদের ট্রেনিং থেকে শুরু করে অস্ত্রশস্ত্র ও নানান সাহায্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
advertisement
7/10
 ২০০৮-এর মুম্বই হামলার জন্য অন্যতম কুচক্রী হাফিজ সইদ এই লশকর-ই-তইবার মূল মাথা।<br />কোটলি- বোম্বার ট্রেনিং এবং জঙ্গি লঞ্চ বেস
২০০৮-এর মুম্বই হামলার জন্য অন্যতম কুচক্রী হাফিজ সইদ এই লশকর-ই-তইবার মূল মাথা।কোটলি- বোম্বার ট্রেনিং এবং জঙ্গি লঞ্চ বেস
advertisement
8/10
 পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জঙ্গিদের বোম্বার ট্রেনিং সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করে পাকিস্তান। মূলত, আত্মঘাতী জঙ্গিহামলার পাঠ শেখানো হয় এখানে। এই জায়গা নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে বারংবার অভিযোগ জানানো হলেও নিরুত্তাপ থেকেছে পাকিস্তান।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জঙ্গিদের বোম্বার ট্রেনিং সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করে পাকিস্তান। মূলত, আত্মঘাতী জঙ্গিহামলার পাঠ শেখানো হয় এখানে। এই জায়গা নিয়ে ভারতের পক্ষ থেকে বারংবার অভিযোগ জানানো হলেও নিরুত্তাপ থেকেছে পাকিস্তান।
advertisement
9/10
 গুলপুর<br />২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বারংবার এই স্থানকে জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড হিসাবে ব্যবহার করেছে জঙ্গিরা। মূলত জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালাতেই ব্যবহার করা হত এই অঞ্চল। গত কালে মধ্যরাতের প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই অঞ্চল।
গুলপুর২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বারংবার এই স্থানকে জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড হিসাবে ব্যবহার করেছে জঙ্গিরা। মূলত জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা চালাতেই ব্যবহার করা হত এই অঞ্চল। গত কালে মধ্যরাতের প্রত্যাঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই অঞ্চল।
advertisement
10/10
‘সিঁদুর’ শব্দটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে গভীর তাৎপর্য বহন করে। হিন্দু ঐতিহ্যে সিঁদুর বিবাহিত নারীর সৌভাগ্য ও সম্মানের প্রতীক। এটি রক্তের সঙ্গেও যুক্ত, যা সাহস, ত্যাগ এবং প্রতিশ্রুতির প্রতিনিধিত্ব করে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামকরণের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকদের নিরাপত্তা রক্ষার প্রতি তাদের অটল প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। Photo: AP
সারজাল এবং বারনালা- অনুপ্রবেশের রুটআন্তর্জাতিক সীমান্তের একদম কাছে এই অঞ্চল। সারজাল এবং বারানালা অনুপ্রবেশের রুট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। গতকাল ধ্বংস করা হয়েছে তাও।
advertisement
advertisement
advertisement