Mehul Choksi News: এই মানুষটিই সামনে আনেন মেহুল চোকসির সব দুর্নীতি! দেশের ১৩ হাজার কোটি টাকা লুঠ! কে এই ব্যক্তি জানেন? পরিচয় শুনে কিন্তু চমকে উঠবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Mehul Choksi News: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জালিয়াতি কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত এই মেহুল চোকসি। জানা যায়, বেলজিয়ামের এক শহরে বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে ছিলেন মেহুল।
নয়াদিল্লি: অবশেষে গ্রেফতার মেহুল চোকসি ৷ বেলজিয়ামে গ্রেফতার করা হল পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের আর্থিক তছরুপ মামলায় অভিযুক্ত মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi)। সূত্রের খবর, ভারতের অনুরোধেই বেলজিয়াম সরকার এই পদক্ষেপ করেছে। ভারতের তরফে তাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হলে, বেলজিয়াম পদক্ষেপ করে। তারপরই গ্রেফতার মেহুল চোকসি।
advertisement
advertisement
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে মেহুল চোকসির বিরুদ্ধে। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারেনি। সিবিআই এবং ইডি, উভয় সংস্থাই চোকসিকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছে। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অ্যান্টিগা ও বারবুডায় বেশ অনেক দিন ছিলেন চোকসি। সেখানকার নাগরিকত্বও রয়েছে তার।
advertisement
কিন্তু শেষরক্ষা হল না মেহুল চোকসির। গ্রেফতার হতে হল তাকে। আর চোকসির এই গ্রেফতারির খবরে বেজায় খুশি বেঙ্গালুরুর উদ্যোগপতি হরিপ্রসাদ এসভি। ঠিক ৯ বছর আগে তিনিই প্রকাশ্যে এনেছিলেন মেহুল চোকসির বিপুল দুর্নীতির কথা। পিএনবি থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা যে তিনি সরিয়ে ফেলছেন, সে বিষয়ে প্রথম সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এই হরিপ্রসাদ।
advertisement
advertisement
চোকসির গ্রেফতারির খবর সামনে আসতেই হরিপ্রসাদ এসভি বলেন, মেহুল চোকসি ভারত থেকে যে টাকা লুঠ করেছেন, তা ফেরত দিতে হবে এবং যাদের সঙ্গে চোকসি প্রতারণা করেছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদিও হরিপ্রসাদের আশঙ্কা, চোকসি আইনের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করবেন। শুধুমাত্র তাকে ফিরিয়ে আনাই যথেষ্ট নয়, শেষ পর্যন্ত তিনি ভারত থেকে যে টাকা লুঠ করেছেন, তা ফেরত দিতে হবে এবং মানুষকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।"
advertisement
সেই কেলেঙ্কারি সম্পর্কে আরও কথা বলতে গিয়ে হরিপ্রসাদ বলেন, "কমপক্ষে ১০০ জন মানুষকে প্রতারিত হয়েছে মেহুল চোকসি। এবং আমি তাদের মধ্যে একজন।" তাঁর সংযোজন, "যখন এই ঘটনাগুলি ঘটেছিল, আমি বিভিন্ন সংস্থায় অভিযোগ করেছিলাম, প্রচুর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও, তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমি জানি না, কিন্তু বেশিরভাগ লোক এ নিয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছে।"
advertisement
advertisement
২০১৬ সালে তিনি চিঠি লেখেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে (পিএমও)। একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকেও। চিঠিতে হরিপ্রসাদ জানান, তাঁর সঙ্গে ১০ কোটি টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। কিন্তু এরপরই আরও দুর্নীতির খোঁজ পান তিনি। গীতাঞ্জলি জেম্সের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার। অথচ, ব্যাঙ্ক থেকে তিনি ঋণ নিয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার। তা নিয়ে শোরগোল পড়তেই পিএনবি কর্তৃপক্ষ চোকসির বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর শুরু হয় তদন্ত। ফাঁস হয় বিশাল দুর্নীতি।