

ফের দেশে করোনার দাপাদাপি বাড়ছে। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিতে পারছে না কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তার অন্যতম প্রধান কারণ, মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি। ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হলেন ২৫ হাজার ৮৩৩ জন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ সংক্রমণে একদিনে দেখা গিয়েছিল আক্রান্ত হচ্ছেন ২৪ হাজার জন, বৃহস্পতিবারের তথ্য সেই রেকর্ড পার করে গিয়েছে। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের।


মহারাষ্ট্রের অবস্থা সব থেকে উদ্বেগজনক। মহারাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩,৯৬,৩৪০ জন। এর মধ্যে ৫৩,১৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যেও করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১,৭৫,৫৬৫ জন। শুধুমাত্র গতকালই ১২,৭৬৪ জনকে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে মোট ১,৬৬,৩৫৩ টি করোনার অ্যাকটিভ কেস রয়েছে।


মহারাষ্ট্রের করোনার ভাইরাসের সবচেয়ে আক্রান্ত জেলা নাগপুর। বৃহস্পতিবার এখানে ৩,৭৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একই সঙ্গে ১,২৭৭ জন সুস্থ হয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। নাগপুরে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮২,৫৫২ আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,৫৪,৪১০ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪,৫২৮ জনের। নাগপুরে ২১ মার্চ অবধি পুরোপুরি লকডাউন জারি থাকছে। মহারাষ্ট্রে প্রতিদিন কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার ফলে সারা দেশেই এখন করোনা নিয়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।


গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে কোভিড ধরা পড়েছে ২ হাজার ৮৭৭ জনের। তবে মুম্বইকে ছাপিয়ে গিয়েছে পুণে (৪,৯৬৫) এবং নাগপুরে (৩,৯৭৬)। তিন শহরের ক্ষেত্রেই এটা দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড। উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে সংক্রমণের হারও। এই মুহূর্তে রাজ্যে ২০শতাংশ মানুষের কোভিড পজিটিভ আসছে।এখন প্রাথমিক লক্ষ্য, এটাকে ৫ শতাংশের নীচে নিয়ে যাওয়া।


মহরাষ্ট্রের পাশাপাশি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলছে পঞ্জাব ও কেরলে। এছাড়া দিল্লি, হরিয়ানা, গুজরাত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশেও নতুন সংক্রমণ হয়েছে। কর্ণাটকেও লাগাতার বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা ইতিমধ্যে রাজ্যবাসীকে করোনাবিধি মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যবাসী সহায়তা না করলে প্রশাসন লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন।