Kids Vaccination India : করোনার তৃতীয় ঢেউ | শিশুদের মধ্যে কাদের সবথেকে দ্রুত ভ্যাকসিন? জানালেন গবেষকরা...

করোনার তৃতীয় তরঙ্গ (third wave of coronavirus) শীর্ষে উঠতে চলেছে অক্টোবরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের (nidm) তরফে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে এখন থেকেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তৈরি থাকার কথা বলা হয়েছে। কোমর্বিডিটি-যুক্ত শিশুদের এবং যেসব শিশুর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে।

বিশেষ করে এই থার্ড ওয়েভে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশী। আর সেই কারণে ইতিমধ্যে হাসপাতালগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা বিশেষ করে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, ভেন্টিলেটর, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ যাবতীয় জিনিস তৈরি রাখতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যে zydus এর তৈরি cadila ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে দেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের তিনটি ডোজ দিতে হবে। এই ভ্যাকসিন ১২ বছরের উর্ধে এবং ১৮ বছরের কম বাচ্চাদের দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণা চলছে। সম্প্রতি সরকারি পরামর্শদাতা কমিটি National Immunization Technical Advisory Group বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বড়সড় বক্তব্য সামনে নিয়ে এসেছে।

পরামর্শদাতা কমিটির প্রধান এন কে আরোরা জানিয়েছেন, ১২ বছরের বেশি ওই সমস্ত বাচ্চাদের এই ভ্যাকসিন প্রথমে দেওয়া হবে যাদের কোমর্বিডিটি (comorbiditie) রয়েছে। অর্থাৎ আগে কোনও বড় রোগে আক্রান্ত হয়েছে এমন বাচ্চাদের এই ভ্যাকসিন দ্রুত দেওয়া হবে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও মারাত্মক হতে পারে তৃতীয় ঢেউ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুরা। সেই কারণেই শিশুদের চিকিৎসা সরঞ্জাম,‌ ওষুধ এবং হাসপাতালে যাবতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা মজুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে

এন কে আরোরা আরও জানিয়েছেন, খুব শীঘ্র ভারত বায়োটেকের তৈরি বাচ্চাদের ভ্যাকসিনেরও অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। আর সেই প্রক্রিয়া সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকে শুরু হয়ে যাবে বলে আশা। ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি zydus এর তৈরি cadila ভ্যাকসিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র দিয়েছে।

উল্লেখ্য, সোমবার প্রধানমন্ত্রী দফতরে চাঞ্চল্যকর একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে। রিপোর্টে কোমর্বিডিটি-যুক্ত শিশুদের এবং যেসব শিশুর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে। কমিটির বৈঠকে শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বেশি করে আলোচনা করা হয়, কেননা এখনও তাদের ভ্যাকসিন হয়নি।