ভারত কেন আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দিল? মোদি সরকারের মাস্টারস্ট্রোক ঘাম ঝরাবে পাক-কূটনৈতিকদের, কীভাবে রইল বিশদ তথ্য
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Wagah Attari Border Block Impact: রক্ত ঝরেছে অকল্পনীয়। ভূস্বর্গ ধারণ করেছে এক লহমায় ভয়ঙ্কর রূপ। তবে, এই দেশ চুপ করে বসে থাকেনি। প্রতিকারে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। তারই মধ্যে অন্যতম আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া।
Wagah Attari Border Block Impact: রক্ত ঝরেছে অকল্পনীয়। ভূস্বর্গ ধারণ করেছে এক লহমায় ভয়ঙ্কর রূপ। তবে, এই দেশ চুপ করে বসে থাকেনি। প্রতিকারে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। তারই মধ্যে অন্যতম আটারি ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া। অনেকে ভাবতেই পারেন যে পাক সন্ত্রাসবাদীদের ঠেকানোর জন্যই তা করা হল, তবে, ব্যাপারটা শুধু সেটুকুতেই সীমাবদ্ধ নয়- আদতে কিন্তু এর ফল হতে চলেছে সুদূরপ্রসারী।
advertisement
পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সঙ্গত ভাবেই কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিএস) বৈঠকের পর গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তথ্য দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের সচিব। এই সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি হল আটারি-ওয়াঘা সীমান্তে চেকপোস্ট বন্ধ করে দেওয়া। এই চেকপোস্টটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য, ভ্রমণ এবং সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের একটি প্রধান পথ ছিল। অতএব, বুঝতে অসুবিধা নেই যে এই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে চলেছে নানা দিকে। মোদি সরকারের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের জন্য দুর্দিন ডেকে আনতে চলেছে। বলাই যায়, এটি ভারতের এক বড় মাস্টারস্ট্রোক। পাকিস্তান কীভাবে ক্ষতির মুখে এসে দাঁড়াতে পারে, তা দেখে নেওয়া যাক একে একে। (Photo: AP)
advertisement
বাণিজ্যের উপর প্রভাব: আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সড়ক বাণিজ্যের একটি প্রধান কেন্দ্র। ২০১৯ সালে ভারত পাকিস্তানের কাছ থেকে মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) মর্যাদা প্রত্যাহার এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পরেও কিছু পণ্যের (যেমন তাজা ফল, সিমেন্ট এবং টম্যাটো) এই সীমান্ত দিয়ে আমদানি ও রফতানি অব্যাহত রয়েছে। এই চেকপোস্ট বন্ধ হয়ে গেলে ভারত থেকে পাকিস্তানে টম্যাটো, চিনি, চা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির উপরে প্রভাব পড়বে, যার কারণে সেখানে এই পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
advertisement
advertisement
advertisement
মানুষ ভ্রমণ করতে পারবে না: উভয় দেশের মানুষই আটারি ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভ্রমণ করেন, বিশেষ করে শিখ তীর্থযাত্রীদের কথা বলতেই হয়, যাঁরা যারা পাকিস্তানের কর্তারপুর সাহেবের মতো গুরুদ্বারগুলিতে যান। চেকপয়েন্ট বন্ধ করে দিলে এই যাত্রা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে, সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে পরিস্থিতি স্পষ্ট করা হয়নি। ২০১৯ সালে সমঝোতা এবং থর এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক মানুষ তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য বিকল্প এবং ব্যয়বহুল রুট, যেমন বিমান সফরের উপর নির্ভর করতে বাধ্য হয়েছিল। চেকপয়েন্ট বন্ধ হওয়ার কারণে এই সমস্যা আবার বাড়তে পারে। (Photo: AP)
advertisement
advertisement