ব্রহ্মোস ছাড়া ইজরায়েল জিততে পারবে না! ভারতের ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য কেন এত মরিয়া নেতানিয়াহু?

Last Updated:
ইজরায়েল নাতাঞ্জ-সহ একাধিক পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালালেও, ইরানের ফোরডো নিউক্লিয়ার এনরিচমেন্ট সেন্টার এখনও অক্ষত। এই কেন্দ্রটি পাহাড়ের নীচে প্রায় ৫০০ মিটার গভীরে অবস্থিত, যেখানে ইজরায়েলের অস্ত্র কার্যত নিষ্ক্রিয়।
1/11
ইজরায়েল “অপারেশন রাইজিং লায়ন” চালিয়ে ইরানের অভ্যন্তরে একাধিক সামরিক অফিসার ও পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েলের ভবিষ্যৎ অভিযানে ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের মতো শক্তিশালী ও নির্ভুল অস্ত্রের প্রয়োজন হতে পারে।
ইজরায়েল “অপারেশন রাইজিং লায়ন” চালিয়ে ইরানের অভ্যন্তরে একাধিক সামরিক অফিসার ও পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করেছে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েলের ভবিষ্যৎ অভিযানে ভারতের শ্মরনাপন্ন হওয়া ছাড়া পথ নেই।  
advertisement
2/11
বর্তমানে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তুঙ্গে পৌঁছেছে। ইজরায়েল ইরানের নাতাঞ্জ-সহ বিভিন্ন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। এই অভিযানে তারা ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক অফিসার ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে।
বর্তমানে ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তুঙ্গে পৌঁছেছে। ইজরায়েল ইরানের নাতাঞ্জ-সহ বিভিন্ন পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। এই অভিযানে তারা ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের সামরিক অফিসার ও পরমাণু বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে।
advertisement
3/11
 পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরানও হামলা চালিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইজরায়েলের অস্ত্রাগারে থাকা বর্তমান অস্ত্রসম্ভার দিয়ে ইরানের “ফোরডো” নিউক্লিয়ার এনরিচমেন্ট সেন্টার ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কারণ এই কেন্দ্রটি একটি পাহাড়ের নিচে ৫০০ মিটার গভীরে অবস্থিত এবং প্রচলিত বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র সেখানে পৌঁছাতে অক্ষম।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরানও হামলা চালিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইজরায়েলের অস্ত্রাগারে থাকা বর্তমান অস্ত্রসম্ভার দিয়ে ইরানের “ফোরডো” নিউক্লিয়ার এনরিচমেন্ট সেন্টার ধ্বংস করা সম্ভব নয়। কারণ এই কেন্দ্রটি একটি পাহাড়ের নিচে ৫০০ মিটার গভীরে অবস্থিত এবং প্রচলিত বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র সেখানে পৌঁছাতে অক্ষম।
advertisement
4/11
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, ইজরায়েল হয়তো ভারতের ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের দিকে ঝুঁকতে পারে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র তার দ্রুতগামী গতি, নিখুঁত লক্ষ্যবস্তু ভেদ করার ক্ষমতা এবং ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ প্রযুক্তির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
এই পরিস্থিতিতে অনেকেই মনে করছেন, ইজরায়েল হয়তো ভারতের ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের দিকে ঝুঁকতে পারে। ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র তার দ্রুতগামী গতি, নিখুঁত লক্ষ্যবস্তু ভেদ করার ক্ষমতা এবং ‘ফায়ার অ্যান্ড ফরগেট’ প্রযুক্তির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
advertisement
5/11
এটি ভূমি, জল, আকাশ ও সাবমেরিন—সব জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করা যায় এবং প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ১০০০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে।
ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের মতো শক্তিশালী ও নির্ভুল অস্ত্রের প্রয়োজন হতে পারে। এটি ভূমি, জল, আকাশ ও সাবমেরিন—সব জায়গা থেকে উৎক্ষেপণ করা যায় এবং প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ১০০০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে।
advertisement
6/11
যদিও ব্রহ্মোস মূলত প্রচলিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য ডিজাইন করা, তথাপি তার পরবর্তী প্রজন্মের সংস্করণ “BrahMos-NG” আরও হালকা ও গতিশীল এবং ভবিষ্যতে এতে বাংকার-ভেদকারী ক্ষমতা যোগ করা গেলে ইরানের ফোরডোর মতো গভীর পারমাণবিক ঘাঁটি ভেদ করাও সম্ভব হতে পারে।
‘যদিও ব্রহ্মোস মূলত প্রচলিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য ডিজাইন করা, তথাপি তার পরবর্তী প্রজন্মের সংস্করণ “BrahMos-NG” আরও হালকা ও গতিশীল এবং ভবিষ্যতে এতে বাংকার-ভেদকারী ক্ষমতা যোগ করা গেলে ইরানের ফোরডোর মতো গভীর পারমাণবিক ঘাঁটি ভেদ করাও সম্ভব হতে পারে।
advertisement
7/11
ইজরায়েলের জন্য এটি শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ নয়, বরং কূটনৈতিক জটিলতাও বটে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে GBU-57A/B MOP (Massive Ordnance Penetrator) বাংকার-বাস্টার বোমা চাইতে পারে ইজরায়েল, তবে আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের অনিশ্চিত অবস্থান এবং ইরান পরমাণু চুক্তি (JCPOA)-এর প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।
ইজরায়েলের জন্য এটি শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ নয়, বরং কূটনৈতিক জটিলতাও বটে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে GBU-57A/B MOP (Massive Ordnance Penetrator) বাংকার-বাস্টার বোমা চাইতে পারে ইজরায়েল, তবে আমেরিকার ট্রাম্প প্রশাসনের অনিশ্চিত অবস্থান এবং ইরান পরমাণু চুক্তি (JCPOA)-এর প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এই প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।
advertisement
8/11
ইরান ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে, তাদের ফোরডো কেন্দ্র সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কোনও বাইরের আক্রমণ সেই কেন্দ্রের ক্ষতি করতে পারবে না। তবে ইজরায়েলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে তারা যে কিছুটা চিন্তিত, তা স্পষ্ট।
ইরান ইতিমধ্যেই দাবি করেছে যে, তাদের ফোরডো কেন্দ্র সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কোনও বাইরের আক্রমণ সেই কেন্দ্রের ক্ষতি করতে পারবে না। তবে ইজরায়েলের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে তারা যে কিছুটা চিন্তিত, তা স্পষ্ট।
advertisement
9/11
যদি ইজরায়েল ভারতের ব্রহ্মোসের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তা হলে ইরান নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে—যার ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়বে।
যদি ইজরায়েল ভারতের ব্রহ্মোসের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তা হলে ইরান নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করবে—যার ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা আরও বাড়বে।
advertisement
10/11
এই পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ হল—একদিকে ইজরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখা, অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে থাকা শক্তিশালী বাণিজ্যিক ও জ্বালানি সম্পর্ককে ব্যাহত না করা। উপরন্তু, রাশিয়া ও চীনের প্রতিক্রিয়া—যারা ইরানের বড় মিত্র—তাও ভারতের অবস্থান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য চ্যালেঞ্জ হল—একদিকে ইজরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখা, অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে থাকা শক্তিশালী বাণিজ্যিক ও জ্বালানি সম্পর্ককে ব্যাহত না করা। উপরন্তু, রাশিয়া ও চীনের প্রতিক্রিয়া—যারা ইরানের বড় মিত্র—তাও ভারতের অবস্থান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
advertisement
11/11
সংক্ষেপে, ইজরায়েলের ফোরডোর মতো গভীর ঘাঁটিকে নিশানা করার জন্য ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভবিষ্যতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে—যা শুধু প্রতিরক্ষা নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও ভারতের ওজন বাড়িয়ে দেবে।
সংক্ষেপে, ইজরায়েলের ফোরডোর মতো গভীর ঘাঁটিকে নিশানা করার জন্য ভারতের ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ভবিষ্যতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে—যা শুধু প্রতিরক্ষা নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও ভারতের ওজন বাড়িয়ে দেবে।
advertisement
advertisement
advertisement