প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর ভারত কী পেল? বিদেশ মন্ত্রক জানাল ভিতরের গল্প
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
India China Relations: চিনের সঙ্গে ভারতের বৈঠক কূটনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য পরিচালনায় যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
বৈদেশিক সম্পর্ক এই মুহূর্তে সামান্য হলেও নড়বড়ে। রাশিয়ার কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভাল এখন আর নেই বলাই যায়। অন্য দিকে, চিন মাসকয়েক আগেও অপারেশন সিঁদুরের সময়ে পাকিস্তানকে যুদ্ধের সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। ফলে, এবার চিনের সঙ্গে ভারতের বৈঠক কূটনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুযোগ্য পরিচালনায় যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে। (Photo: AP)
advertisement
আসলে, সীমান্তে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা ভারত-চিন সম্পর্কের সামগ্রিক উন্নয়নেরক্ষেত্রে অনেকটা বিমার মতো কাজ করে। আর সেই কারণেই সীমান্তের পরিস্থিতি কোনও না কোনওভাবে সামগ্রিক সম্পর্কের উপর প্রতিফলিত হয়। চিনের তিয়ানজিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চিনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশ মন্ত্রক এই তথ্য জানিয়েছে। (Photo: AP)
advertisement
বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং জিনপিং উভয়েই দেশের দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নের জন্য তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নিয়েছেন। ভারত এবং চিন উভয়ই স্বীকার করেছেন যে তাঁদের মূল লক্ষ্য অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন, তারা অংশীদার, প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। উভয় নেতা একমত হয়েছেন যে স্থিতিশীল এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ২.৮ বিলিয়ন মানুষের স্বার্থে পরিচালিত হবে।’’ (Photo: AP)
advertisement
তিনি বলেন, ‘‘মোদি এবং শি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁদের নিজের নিজের নীতি নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা ভবিষ্যতের কাজ পরিচালনায় সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনার সময়, রাষ্ট্রপতি শি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও উন্নত করার জন্য চারটি পরামর্শ দিয়েছেন- ১. কৌশলগত আলোচনা জোরদার করা এবং পারস্পরিক বিশ্বাসকে আরও গভীর করা, ২. বিনিময় এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা, ৩. পারস্পরিক সুবিধা এবং সাফল্য অর্জন করা, ৪. একে অপরের উদ্বেগের খেয়াল রাখা এবং সবশেষে বহুপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার করা ৷’’ (Photo: AP)
advertisement
বিক্রম মিস্রি বলেন যে দুই নেতার এই আলোচনায় সীমান্ত সমস্যাটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্পর্কের ধারাবাহিক ও মসৃণ উন্নয়নের জন্য সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। গত বছর সফলভাবে সেনা প্রত্যাহার এবং তার পরে সীমান্ত এলাকায় যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে তাতে উভয় নেতাই সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।(Photo: AP)
advertisement