IN PICS: স্মৃতিচারণে জননেতা ও কবি অটলবিহারী বাজপেয়ী

কবিতা হারাল কবিকে। ভারতীয় রাজনীতি হারাল ভীষ্মকে। বিজেপি হারাল তাদের একসময়ের বিকাশ পুরুষকে।

মৃত‍্যুর বয়স কত? কয়েক মুহূর্তও নয়...জীবনের যাত্রা, ক্ষণিকের নয়, জীবন-মৃত‍্যুকে তিনি এভাবেই দেখতেন।

তাঁর জীবনের শুরুর দিনটাই ছিল বড় দিন। মধ‍্যপ্রদেশের গোয়ালিয়ে, ২৫ ডিসেম্বর, ১৯২৪ সালে ৷

বাবা কৃষ্ণবিহারী বাজপেয়ী ছিলেন স্কুলশিক্ষক এবং কবি ৷ সেই থেকেই বোধহয় জীবনে কবিতা।

১৫ বছর বয়সে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘে যোগ দেন। সেখানে প্রশিক্ষণ নেন ১৯৪০ থেকে ৪৪ সাল পর্যন্ত৷ সাতচল্লিশে আরএসএসের প্রচারক হন তিনি

সংঘে ক্রমেই তাঁর উপর দায়িত্ব বাড়তে থাকে। বিস্তারক হিসেবে পাঠানো হয় উত্তরপ্রদেশে।

দীনদয়াল উপাধ‍্যায়ের সংবাদপত্র রাষ্ট্রধর্ম, হিন্দিতে আরএসএসের মুখপত্র পাঞ্চজন‍্যের পাশাপাশি একাধিক দৈনিকের জন‍্য কলম ধরেন তিনি

ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন আরএসএসের শীর্ষ নেতা। সেখান থেকে শ‍্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ‍্যায়ের ভারতীয় জনসংঘে।

১৯৫৭ সালে প্রথমবারের জন‍্য সংসদে পা দেন তিনি

উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন তারপর বারবার

লোকসভায় ১০ বার নির্বাচিত হন আর রাজ‍্যসভায় ২ বার

নজর কেড়েছিলেন অবশ‍্য শুরুতেই। সুযোগ পেয়েই সেই তরুণ সাংসদ তখন ঝড় তুলতেন। একের পর এক প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিতেন নেহরু সরকারের দিকে।

তাঁর বক্তৃতা, শব্দচয়ন, বক্তব‍্যের গভীরতা, হিন্দি ভাষায় দখল- এ সবই নজর কেড়েছিল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর। ১৯৫৭-এ তাঁর বক্তৃতা শুনে জওহরলাল নেহরু বলেছিলেন, এই যুবক এক দিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন।

প্রায় ৪০ বছর পর নেহরুর ভবিষৎবাণী মিলে গিয়েছিল। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হন অটলবিহারী বাজপেয়ী।

প্রধানমন্ত্রীর পদে বসে গুজরাতের তৎকালীন মুখ‍্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও রেয়াত করেননি অটলবিহারী বাজপেয়ী।