ভাই-বোনকে অপহরণ, খুন! রাঙ্গা-বিল্লার কুখ্যাত হ*ত্যা*কা*ণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছিল নয়াদিল্লিকে
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
১৯৭৮ সালের ২৬ অগাস্ট, শনিবার সপ্তাহান্তে প্রবল বৃষ্টি মাথায় করে অল ইন্ডিয়া রেডিওয়োর 'যুব বাণী' কেন্দ্রে একটি শো করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ভাই-বোন। এরপরে যা ঘটেছিল সেই ভয়ঙ্কর ঘটনায় শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মদনমোহন চোপড়ার কন্যা এবং পুত্র ছিল গীতা এবং সঞ্জয়। দিল্লির ধৌল কুয়ান এলাকায় নৌবাহিনীদের সরকারি বাসভবনে পরিবার নিয়েই থাকতেন মদনমোহন।১৯৭৮ সালের সেই অভিশপ্ত ২৬ অগাস্ট রেডিও-তে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল ভাই-বোনের। অনুষ্ঠান শেষে রাত ৯টা নাগাদ তাঁদের আনতে যাওয়ার কথা ছিল মদনমোহনের।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
একদিকে যখন রাঙ্গা-বিল্লা গা ঢাকা দিয়েছে তখন নিজেদের সন্তানদের খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন সঞ্জয়-গীতার বাবা মা। শনিবার রাত ৮টায় ছেলেমেয়ের অনুষ্ঠান শুনবেন বলে রেডিও চালিয়েছিলেন গীতার বাবা। কিন্তু, অনুষ্ঠান শুনতে না পেয়ে পৌনে ৯টা নাগাদ স্কুটারে চেপে রেডিও অফিসে যান গীতার বাবা। কিন্তু, সেখানে গিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। তিনি জানতে পারেন গীতা-সঞ্জয় রেডিও স্টেশনে কখনও আসেই নি।
advertisement
রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে তাঁদের বাবা, মা, এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নামে পুলিশ। এর ঠিক পরের দিন দিল্লি সংলগ্ন একটি জঙ্গল থেকে গীতা এবং সঞ্জয়ের কোপানো পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয়। দেহ চিহ্নিতকরণের জন্য খবর দেওয়া হয় সঞ্জয় এবং গীতার বাবা-মাকে। এই ঘটনা সামনে আসতে সেই সময় শোরগোল পড়ে যায় রাজধানীর বুকে।
advertisement
এর কয়েক সপ্তাহ পরেই আকস্মিকভাবে গ্রেফতার হয় রাঙ্গা-বিল্লা। ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হয় দুই অপরাধী। কালকা মেলে করে পালিয়ে বেরাচ্ছিল দুই অপরাধী। তাঁরা যে কামরায় উঠেছিল তা সেনা জওয়ানদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। সেই সময় রাঙ্গা এবং বিল্লাকে নিজেদের পরিচয়পত্র দেখাতে বলেন জওয়ানরা। এই নিয়েই বচসা বাঁধে তাঁদের মধ্যে। একজন তাঁদের চিনতে পেরে যান। গ্রেফতার হয় দুইজন।
advertisement
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মুক্তিপণের জন্যই সঞ্জয় এবং গীতাকে অপহরণ করেছিল রাঙ্গা এবং বিল্লা। কিন্তু, যখন তাঁরা জানতে পারে তাঁদের তেমন অর্থ-সম্পদ নেই তখন তাঁদের হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় দুইজন। তদন্তে বিল্লা বয়ানে জানায়, খুনের আগে গীতাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পরে অবশ্য বয়ান বদল করে তাঁরা। ফরেনসিক তদন্তেও ধর্ষণের তেমন জোরালো কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।