এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি এলাকা মুম্বইয়ের ধারাভিতে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল করোনা সংক্রমণ! নিত্যদিন হু হু করে বাড়ছিল আক্রান্তের সংখ্যা! কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে! সৌজন্যে ‘-কন্টেইনমেন্ট স্ট্র্যাটেজি। খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO-ও প্রশংসায় পঞ্চমুখ! সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাস করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ধারাভি মডেলের প্রশংসা করে বলেন, ‘মুম্বইয়ের মতো ঘনবসতি এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলার ক্ষেত্রে এটি একটি নজির।’
ধারাভিতে বসবাস করেন প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ। সেখানে একবার ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়ালে পরিণাম যে কী ভয়ঙ্কর হতে পারে, তা ভেবেই আঁতকে উঠেছিল প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষজন। জুন মাসের গোড়াতে ধরাভিতে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কাও ছড়িয়েছিল! কিন্তু কামাল করল 'ধারাভি মডেল'', সংক্রমণের হার আপাতত অনেকটাই কম। জেনেভায় একটি ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে টেডজরোস বলেন, '' গোটা বিশ্বে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে যা থেকে এটা প্রমাণিত, করোনা সংক্রমণ যতই ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ুক না কেন, সঠিক পদক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।''
আড়াই বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে রয়েছে এসিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভি। জুন মাসের গোড়ায় ধারাভি বস্তিতে ক্রমাগত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে তৎপর হয় ওঠে মহারাষ্ট্র সরকার ও বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি)। করোনা চেন ভাঙতে টেস্টিং, ট্র্যাকিং, আইসোলেশন অ্যান্ড ট্রিটিং নীতি অনুসরণ করা হয়। বাড়ি বাড়ি মোবাইল ভ্যান পাঠিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করে বিএমসি। হু-এর দাবি, এই নীতিতে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে।