Firecrackers Ban Update: দীপাবলিতে সব বাজিতে নিষেধাজ্ঞা নয়! Supreme Court-এ খারিজ হাইকোর্টের রায়...

Last Updated:
Firecrackers Ban Update: ফাটানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি। কলকাতা হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
1/8
দীপাবলিতে (Diwali 2021) সব বাজি নিষিদ্ধ নয়। ফাটানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি। কলকাতা হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ যাতে অমান্য করা না হয়, তার জন্য রাজ্যকে সতর্ক থাকতে হবে বলেই জানায় শীর্ষ আদালত। দেশের অন্যান্য অংশের মতো বাংলাতেও পরিবেশ বান্ধব বাজির ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত ৷
দীপাবলিতে (Diwali 2021) সব বাজি নিষিদ্ধ নয়। ফাটানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি। কলকাতা হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে জানাল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ যাতে অমান্য করা না হয়, তার জন্য রাজ্যকে সতর্ক থাকতে হবে বলেই জানায় শীর্ষ আদালত। দেশের অন্যান্য অংশের মতো বাংলাতেও পরিবেশ বান্ধব বাজির ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত ৷
advertisement
2/8
শর্তসাপেক্ষে বাজি (Firecracker) ফাটানোর অনুমতি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তবে জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ অক্টোবর কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) উৎসবের মরশুমে বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়, কালীপুজো, দীপাবলিতে বাজি ফাটানো যাবে না। এমনকী জগদ্ধাত্রী পুজো, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতেও বাজি ফাটানো যাবে না বলেই জানিয়ে দেয় হাই কোর্ট। বাজি ফাটালে করোনা রোগী এবং করোনাজয়ীদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে, সেই যুক্তি দেখিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট বাজি নিষিদ্ধ করে। জীবনের থেকে ব্যবসায়িক স্বার্থ বড় নয় বলেই জানান বিচারপতিরা।
শর্তসাপেক্ষে বাজি (Firecracker) ফাটানোর অনুমতি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তবে জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ অক্টোবর কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) উৎসবের মরশুমে বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। হাই কোর্টের তরফে জানানো হয়, কালীপুজো, দীপাবলিতে বাজি ফাটানো যাবে না। এমনকী জগদ্ধাত্রী পুজো, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতেও বাজি ফাটানো যাবে না বলেই জানিয়ে দেয় হাই কোর্ট। বাজি ফাটালে করোনা রোগী এবং করোনাজয়ীদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে, সেই যুক্তি দেখিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট বাজি নিষিদ্ধ করে। জীবনের থেকে ব্যবসায়িক স্বার্থ বড় নয় বলেই জানান বিচারপতিরা।
advertisement
3/8
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টকে বিষয়টিকে বাস্তব সম্মতভাবে ভাবতে হবে ৷ তার পর এই নিয়ে রায় দিতে হবে ৷ তাই আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় নথি-সহ ফের এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বলা হয়েছে ৷
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টকে বিষয়টিকে বাস্তব সম্মতভাবে ভাবতে হবে ৷ তার পর এই নিয়ে রায় দিতে হবে ৷ তাই আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় নথি-সহ ফের এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বলা হয়েছে ৷
advertisement
4/8
এদিন বাজি বিক্রেতাদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ ভাটনগর সওয়াল করেন। তিনি সওয়াল করেন, গ্রিন ট্রাইবুনাল দুটি এবং সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দিষ্ট অর্ডার থাকার পরও সারা রাজ্য জুড়ে বাজি নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে জানায়, বায়ু দূষণ সূচক মডারেট বা তার থেকে ভালো হলে পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহার করা যাবে।
এদিন বাজি বিক্রেতাদের আইনজীবী সিদ্ধার্থ ভাটনগর সওয়াল করেন। তিনি সওয়াল করেন, গ্রিন ট্রাইবুনাল দুটি এবং সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দিষ্ট অর্ডার থাকার পরও সারা রাজ্য জুড়ে বাজি নিষিদ্ধ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে জানায়, বায়ু দূষণ সূচক মডারেট বা তার থেকে ভালো হলে পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহার করা যাবে।
advertisement
5/8
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের চলা মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী গোপাল শঙ্কর নারায়ণ সওয়াল করেন, বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থা সব সময় পরিবেশবান্ধব বাজি প্রস্তুত করে না। নিষিদ্ধ বেরিয়াম রাসায়নিকের ব্যবহার করে আতশবাজি তৈরি করছে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি।দেশজুড়ে সিবিআই হানায় বেশ কয়েক কেজি বেরিয়াম রাসায়নিক উদ্ধার হয়েছে।
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের চলা মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী গোপাল শঙ্কর নারায়ণ সওয়াল করেন, বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থা সব সময় পরিবেশবান্ধব বাজি প্রস্তুত করে না। নিষিদ্ধ বেরিয়াম রাসায়নিকের ব্যবহার করে আতশবাজি তৈরি করছে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি।দেশজুড়ে সিবিআই হানায় বেশ কয়েক কেজি বেরিয়াম রাসায়নিক উদ্ধার হয়েছে।
advertisement
6/8
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ যথেষ্ট সময় উপযোগী এবং বাস্তব পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ব্যালেন্স নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এদিন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এমনই সওয়াল ছিল। তারা আরও বলেন, রাজ্যে কোন স্বীকৃত পরিবেশবান্ধব বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থা নেই। রাজ্যের তরফে সিনিয়র এডভোকেট আনন্দ গ্রোভার এই সওয়াল করেন। চলতি মাসে বাজি অভিযানে রাজ্যে ৭ টি এফ আই আর এবং ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে বলেও জানানো হয়।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ যথেষ্ট সময় উপযোগী এবং বাস্তব পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ব্যালেন্স নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এদিন রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এমনই সওয়াল ছিল। তারা আরও বলেন, রাজ্যে কোন স্বীকৃত পরিবেশবান্ধব বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থা নেই। রাজ্যের তরফে সিনিয়র এডভোকেট আনন্দ গ্রোভার এই সওয়াল করেন। চলতি মাসে বাজি অভিযানে রাজ্যে ৭ টি এফ আই আর এবং ১১ জন গ্রেফতার হয়েছে বলেও জানানো হয়।
advertisement
7/8
মামলাকারীদের আইনজীবী রচিত লখমানি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের জন্য শুধুমাত্র দীপাবলি নয়। উৎসবের এই মরশুমে রয়েছে কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো কার্তিক পুজো। সেক্ষেত্রে বাজি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হলে ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হবে। এই মামলায় শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ - এই ধরনের বিতর্ক প্রথম নয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। সম্পূর্ণরূপে সমস্ত বাজি নিষিদ্ধ করা চলে না।"
মামলাকারীদের আইনজীবী রচিত লখমানি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের জন্য শুধুমাত্র দীপাবলি নয়। উৎসবের এই মরশুমে রয়েছে কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো কার্তিক পুজো। সেক্ষেত্রে বাজি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হলে ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতি হবে। এই মামলায় শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ - এই ধরনের বিতর্ক প্রথম নয়। আদালত নির্দেশ দিয়েছে। সম্পূর্ণরূপে সমস্ত বাজি নিষিদ্ধ করা চলে না।"
advertisement
8/8
একইসঙ্গে আদালত জানায়, পরিবেশ দূষণ মাত্রা ছড়াচ্ছে কিনা তা রাজ্য সরকারের দেখার বিষয়। পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহারের নামে নির্দেশের অপব্যবহার না হয় তা রাজ্যকে সুনিশ্চিত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট একইসঙ্গে বলে, "এই রায় দেওয়ার আগে হাইকোর্টের সব পক্ষের বক্তব্য ভালো করে শোনা উচিত ছিল। নিয়ন্ত্রণ রাখতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নজরদারি চালাতে হবে। রাজ্য সরকারকে নজরদারি চালানোর মেকানিজম তৈরি করতে হবে। নিষিদ্ধ বাজি ব্যবহারের তথ্য-প্রমাণ সহ এরপরেও যে কেউ কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন। রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে নিষিদ্ধ বাজি যেন আমদানি না হয়।" প্রতিবেদন: রাজীব চক্রবর্তী ও অর্ণব হাজরা 
একইসঙ্গে আদালত জানায়, পরিবেশ দূষণ মাত্রা ছড়াচ্ছে কিনা তা রাজ্য সরকারের দেখার বিষয়। পরিবেশবান্ধব বাজি ব্যবহারের নামে নির্দেশের অপব্যবহার না হয় তা রাজ্যকে সুনিশ্চিত করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট একইসঙ্গে বলে, "এই রায় দেওয়ার আগে হাইকোর্টের সব পক্ষের বক্তব্য ভালো করে শোনা উচিত ছিল। নিয়ন্ত্রণ রাখতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে নজরদারি চালাতে হবে। রাজ্য সরকারকে নজরদারি চালানোর মেকানিজম তৈরি করতে হবে। নিষিদ্ধ বাজি ব্যবহারের তথ্য-প্রমাণ সহ এরপরেও যে কেউ কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন। রাজ্য সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে নিষিদ্ধ বাজি যেন আমদানি না হয়।" প্রতিবেদন: রাজীব চক্রবর্তী ও অর্ণব হাজরা 
advertisement
advertisement
advertisement