Ahmedabad Air India AI171 Crash Report: ‘তুমি কেন বন্ধ করে দিলে...? আমি করিনি...’ দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ককপিটে পাইলটদের কথোপকথন প্রকাশ, ঠিক কী ঘটেছিল?
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
AAIB Report on Air India AI171 Crash: এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেই বিমানের ককপিটের কথোপকথন অবশেষে প্রকাশ্যে এল। দুই পাইলটের মধ্যে জ্বালানি (ফুয়েল) নিয়ে কথা হয়েছিল। ১৫ পাতার সেই রিপোর্টেই রয়েছে দুই পাইলটের শেষ মুহূর্তের কথোপকথন।
advertisement
প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করল এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)। ১৫ পাতার এই রিপোর্টে প্রথমবারের মতো সরকারি ভাবে জানানো হল কী ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক মুহূর্তে। গত ১২ জুন বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪১ জনের মধ্যে ২৪০ জনের মৃত্যু হয়, সেই সঙ্গে মারা যান দুর্ঘটনাস্থলে থাকা আরও ১৯ জন।
advertisement
advertisement
বিমানটি যেখানে ভেঙে পড়েছিল, সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল দু’টি ব্ল্যাকবক্স। তার মধ্যে একটি ছিল ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। দুর্ঘটনার মুহূর্তে ককপিটে পাইলটদের মধ্যে কী কথা হচ্ছে, তাই এই যন্ত্রে রেকর্ড হয়। তার তথ্য উদ্ধার করে জানা গিয়েছে, বিমান ওড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে দু’টি ইঞ্জিনই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তদন্ত-রিপোর্ট অনুযায়ী, ইঞ্জিন-১ এবং ইঞ্জিন-২ রানওয়ে ছাড়ার পরেই বন্ধ হয়ে যায়। বিমানটি যখন রানওয়ে থেকে ওড়ে, ঠিক সেই সময়ে দু’টি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইঞ্জিনে জ্বালানিই পৌঁছোচ্ছিল না ! এমনটাই রয়েছে রিপোর্টে ৷
advertisement
ফুয়েলের সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাটঅফ’-এ চলে এসেছিল। এই সময়ে এক পাইলট অন্য পাইলটকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘‘কেন তুমি বন্ধ (জ্বালানি) করে দিলে?’’ অন্য জন উত্তর দেন, ‘‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’’ ফুয়েল কাট অফ হওয়ার জন্য দ্বিতীয় ইঞ্জিনও একই সঙ্গে বন্ধ হয়। ২ নম্বর ইঞ্জিন পুনরায় চালু হলেও তার গতি কমতেই থাকে, এবং তাতে পুনরায় জ্বালানি সরবরাহ করেও তা সঠিক অবস্থায় ফেরানো যায়নি। ইঞ্জিন পুনরায় চালুর চেষ্টা যে হয়েছিল তারও ইঙ্গিত মিলেছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফুয়েল সুইচ ফের ‘Run’ অবস্থায় আনা হয় এবং EGT বেড়ে যায়—যা ইঙ্গিত দেয় পুনরায় ইঞ্জিন চালুর চেষ্টা হয়েছিল।
advertisement