Pahalgam Terror Attack: একটা হানার পরও দমছে না, কাশ্মীরে জঙ্গিদের আরও ২ টার্গেট, ISI র‍্যাডারে ছিল যে মিশন তার সিগন্যাল পেল ইন্ডিয়ান আর্মি, তারপর....

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পহেলগাঁও হিন্দুদের গণহত্যার পর ভারতের তীব্র হুশিয়ারির পর পাকস্তান এখন অনেকটাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে৷ পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদক্ষেপের জবাব দেওয়ার জন্য সেখানে সৈন্য সমাবেশ বাড়ানো হচ্ছে।

ইতিমধ্যে, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে পাকিস্তানি জঙ্গিদের একটি বড় ষড়যন্ত্রের খবর সামনে এসেছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর নিরাপত্তা বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সৈন্যদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জঙ্গিরা রেলওয়ে পরিকাঠামো, কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং উপত্যকায় কর্মরত কাশ্মীরি নন এমন ব্যক্তিদের উপর আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, এই তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় ছিল।

২২শে এপ্রিল পাহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলার পর এই গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে, যেখানে জঙ্গিরা ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে হত্যা করেছিল। তিনি বলেন, গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে যে সন্ত্রাসীরা আগামী দিনে স্থানীয় নন এমন ব্যক্তি, কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং নিরাপত্তা কর্মীদের উপর আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে।

কর্মকর্তারা আরও বলেছেন যে রেলওয়ে পরিকাঠামো এখনও একটি সংবেদনশীল লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে কারণ উপত্যকার অনেক রেল কর্মী কাশ্মীরী নন। তিনি বলেন, রেলওয়ে নিরাপত্তা কর্মীদের (যারা প্রায়শই স্থানীয় বাজারে তাদের ব্যারাক থেকে বেরিয়ে আসেন) বাইরে যাওয়া এড়াতে বলা হয়েছে কারণ এটি তাদের জন্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই কর্মীদের তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই শ্রীনগর ও গান্দেরবাল জেলায় কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা করছে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে তৎপর হয়ে ওঠে। জঙিদের রেল প্রকল্পের ক্ষতি করার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করার জন্য স্থানীয় পুলিশ এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির সাথে সমন্বয় করে আরপিএফকে প্রয়োজনীয় সকল সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পহেলগাম জঙ্গি হামলার পর, উপত্যকা এবং জম্মু অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো ধরণের সন্ত্রাসী ঘটনা রোধ করার জন্য প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে।