Nadia News: বাবার ছোট দোকানেই চা-বিস্কুট বিক্রি, এবার ভাইরাল কৃষ্ণনগরের ইঞ্জিনিয়ার চা ওয়ালা
- Published by:Debalina Datta
Last Updated:
২০২১ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা পাস করে বাবার সাথে চা বিক্রি করছেন কৃষ্ণনগরের রনি দাস৷ এখন দিনরাত পরিশ্রম করে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোই ইঞ্জিনিয়ার পাস রনির একমাত্রই লক্ষ্য।
#কৃষ্ণনগর: এম বি এ চা ওয়ালা, এম এ পাস লটারি ওয়ালার পরে ভাইরাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার চা ওয়ালা। পড়াশোনা করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন থাকত অতীতে। তবে বর্তমানে অধিকাংশ যুবক-যুবতীরা উচ্চশিক্ষা লাভ করার পর চাকরি না পেয়ে কেউ হতাশায় ভোগেন আবার কেউ জীবনের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যান। ঠিক তেমনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা রনি দাস। তাঁর বাবার কৃষ্ণনগর জেলা শক্তিনগর হাসপাতালে রয়েছে ছোট্ট একটি চায়ের দোকান। তাঁর বাবা দিনরাত চা বিক্রি করে অনেক কষ্ট করে ছেলেকে পড়িয়েছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। স্বপ্ন দেখেছিলেন ছেলে একদিন ভাল ইঞ্জিনিয়ার হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াবে ভালো রোজগার করবে এবং তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে।
advertisement
তবে সে স্বপ্ন অনেকটাই ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে এখন তার। ২০২১ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা পাস করে কোনও চাকরি পাননি বলে জানায় ২১ বছরের রনি দাস। সেই কারণেই পরিবারে আর্থিক অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে বাবার সঙ্গেই চায়ের দোকানে লেগে পড়েছে রনি দাস। প্রতিদিন রোগী এবং রোগীর আত্মীয় পরিজনদের চা ,বিস্কুট, জল, মাস্ক ইত্যাদি পরিষেবা দেয় সে এবং তাঁর বাবা।
advertisement
advertisement
বর্তমানে রীতিমতো ভাইরাল হচ্ছে কৃষ্ণনগরের ইঞ্জিনিয়ার চা ওয়ালা। তাঁর এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়িয়েছে বেশ। একদিকে বেশ কিছু মানুষ মন্তব্য করছেন দেশের যা অবস্থা তাতে ভবিষ্যতে প্রত্যেক শিক্ষিত ছেলেমেয়েদেরই ভবিষ্যতে এই পথ বেছে নিতে হবে। আবার কোন মানুষ ইতিবাচক কথা বলছেন যে বেকার বসে না থেকে বাবার পাশে দাড়ানোকে অনেকেই সাধুবাদ জানাচ্ছেন। এখন দিনরাত পরিশ্রম করে পরিবারের পাশে দাঁড়ানোই ইঞ্জিনিয়ার পাস রনির একমাত্রই লক্ষ্য। Input-Mainak Debnath