হার্ট অ্যাটাক হতে পারে কি আপনার? বোঝা যাবে চোখ দেখেই! কী ভাবে চোখের সমস্যা আগেভাগেই জানিয়ে দেয় স্ট্রোকের ঝুঁকি?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Heart Attack and Stroke Warning from Eyes: হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের আগে চোখই জানায় বিপদের সংকেত! চিকিৎসকরা জানালেন, কী ভাবে চোখ বলছে হৃদরোগের ঝুঁকির কথা!
advertisement
চোখের রেটিনা আমাদের শরীরের ভাস্কুলার সিস্টেম বা রক্তনালীগুলির প্রতিফলন। তাই চোখের নানা সূক্ষ্ম পরিবর্তনই অনেক সময় ইঙ্গিত দেয় কার্ডিওভাসকুলার রোগ, উচ্চ রক্তচাপ কিংবা স্ট্রোকের সম্ভাবনা সম্পর্কে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চোখে দেখা দেওয়া কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা — যেমন Hypertensive Retinopathy, Retinal Vein Occlusion, এবং Hollenhorst Plaques — প্রায়শই ইঙ্গিত দেয় যে, শরীরের রক্তনালীতে অস্বাভাবিকতা তৈরি হয়েছে। (Representative Image AI)
advertisement
advertisement
‘চোখের স্ট্রোক’ও এক ধরনের গুরুতর অবস্থা। কোনও কারণে চোখের রক্তপ্রবাহ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেলে রেটিনায় ছোট ছোট জমাট ছোপ পড়ে। এটি অনেক সময়ই হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের প্রাথমিক লক্ষণ। আবার রেটিনার ক্ষতিও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে চোখের চিকিৎসক প্রায়শই পরামর্শ দেন, রোগীর হৃদযন্ত্রেরও পরীক্ষা করানো হোক। (Representative Image)
advertisement
আমেরিকান একাডেমি অফ অফথালমোলজি-র রেটিনা বিশেষজ্ঞ ড. জোসেফ নেজগোদা জানিয়েছেন, আধুনিক চক্ষু পরীক্ষায় অনেক সময় হার্টের অসুখও প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে। বিশেষ করে রেটিনার ইমেজিং বা OCT স্ক্যানে এমন পরিবর্তন ধরা পড়তে পারে যা হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, “এই প্রাথমিক সতর্কতা অনেক জীবন বাঁচাতে পারে, কারণ আগেভাগে রোগ শনাক্ত হলে বড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব।” (Representative Image)
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ধূমপানের অভ্যাস বা পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে সতর্ক থাকা জরুরি। বয়স ৪০-এর বেশি হলে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা উচিত। চোখের রেটিনা পরীক্ষা বা OCT স্ক্যানের মাধ্যমে চিকিৎসক হার্ট ও রক্তচাপ সংক্রান্ত ঝুঁকিও আন্দাজ করতে পারেন। (Representative Image)
advertisement
হৃদরোগ প্রায়শই শুরু হয় নীরবে, কিন্তু চোখ সেটির প্রথম জানালা। তাই যদি চক্ষু বিশেষজ্ঞ হৃদরোগ সংক্রান্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেন, তা হেলাফেলা করা উচিত নয়। সুষম খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপের নিয়ন্ত্রণ—এই চারটি অভ্যাসই সমানভাবে রক্ষা করে চোখ এবং হৃদয় উভয়কেই। (Representative Image)
