World Mental Health Day: সেলিব্রিটি তো কি? মানসিক রোগ থাবা বসায় সেখানেও, বলিউডি তারকারা ভুগছেন এই রোগে

Last Updated:
World Mental Health Day 2022: ১০ অক্টোবর অর্থাৎ আজ বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি, এর উদ্দেশ্যেই পালিত হয় দিনটি৷ বলিউডের অনেক তারকা রয়েছেন, যাঁরা মানসিক স্বাস্থ্য কথা বলতে দ্বিধা করেননি৷ তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে পাগলামি কোনও যোগ নেই৷
1/8
আলিয়া ভাট-২০১৯ সালে প্রথমবার তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। তিনি প্রকাশ করেছেন যে তিনি উদ্বেগ বা anxiety-র শিকার হয়েছিলেন। এক আলোচনায় আলিয়া বলেছিলেন এই বিষয়টি নিয়ে। আলিয়া বলেন, "প্রথম দিকে, আমি একটু বিভ্রান্ত ছিলাম.. আমি ক্রমাগত অনুভব করছিলাম যে আমি ক্লান্ত বা কারও সঙ্গে দেখা করতে চাইছি না"। তিনি বলেছিলেন যে তিনি নিজেকে এটি অনুভব করতে দেন। "সবাই আমাকে বলেছিল যে এটা বুঝতে হবে এরও শেষ রয়েছে।ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই মনের ভাবটাকে মেনে নেওয়া এবং স্বীকার করে নেওয়া যে আপনি ভাল নেই৷ (ছবি: Instagram@aliaabhatt)
আলিয়া ভাট-২০১৯ সালে প্রথমবার তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। তিনি প্রকাশ করেছেন যে তিনি উদ্বেগ বা anxiety-র শিকার হয়েছিলেন। এক আলোচনায় আলিয়া বলেছিলেন এই বিষয়টি নিয়ে। আলিয়া বলেন, "প্রথম দিকে, আমি একটু বিভ্রান্ত ছিলাম.. আমি ক্রমাগত অনুভব করছিলাম যে আমি ক্লান্ত বা কারও সঙ্গে দেখা করতে চাইছি না"। তিনি বলেছিলেন যে তিনি নিজেকে এটি অনুভব করতে দেন। "সবাই আমাকে বলেছিল যে এটা বুঝতে হবে এরও শেষ রয়েছে।ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই মনের ভাবটাকে মেনে নেওয়া এবং স্বীকার করে নেওয়া যে আপনি ভাল নেই৷ (ছবি: Instagram@aliaabhatt)
advertisement
2/8
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একবার নয় বহুবার কথা বলেছেন আনুষ্কা শর্মা। তিনি ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো একটি উদ্বেগজনিত ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেন যে এটি একটি সমস্যা এবং তার পরিবারে বেদনাদায়ক অনেক ঘটনা ঘটেছে সেই সময়। তার একটি ট্যুইট পোস্টে, তিনি ভক্তদের অন্যান্য স্বাস্থ্যের মতো মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার অনুরোধও করেছিলেন। তিনি তার পোস্টে লিখেছেন যে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে আলোচনায় কোনও লজ্জা নেই৷ কোনও শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে আমরা যেমন আমাদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাই, ঠিক একইভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও সমান মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং আমাদের চিকিৎসকদের থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।  (ছবি: Instagram@anushkasharma)
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে একবার নয় বহুবার কথা বলেছেন আনুষ্কা শর্মা। তিনি ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো একটি উদ্বেগজনিত ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াই করার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেন যে এটি একটি সমস্যা এবং তার পরিবারে বেদনাদায়ক অনেক ঘটনা ঘটেছে সেই সময়। তার একটি ট্যুইট পোস্টে, তিনি ভক্তদের অন্যান্য স্বাস্থ্যের মতো মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার অনুরোধও করেছিলেন। তিনি তার পোস্টে লিখেছেন যে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে আলোচনায় কোনও লজ্জা নেই৷ কোনও শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে আমরা যেমন আমাদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাই, ঠিক একইভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও সমান মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং আমাদের চিকিৎসকদের থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। (ছবি: Instagram@anushkasharma)
advertisement
3/8
দীপিকা পাড়ুকোন-২০১৪ সালে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সেই সময় বিষন্নতায় ভুগছিলেন। সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি কেঁদেও ফেলেছিলেন৷ তিনি তখন ক্যারিয়ারের শীর্ষে৷ প্রতিটি শোতে তিনি ছিলেন হিট এবং পুরষ্কার জিতেছিলেন। তবে এরপরও তার মনে আছে প্রতিটি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কান্নাকাটি করা এবং শারীরিকভাবে ক্লান্তিবোধ। তার মা এই লক্ষণগুলো শনাক্ত করেন এবং তাকে একজন পেশাদার মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেন। তারপরে ২০১৫ সালে, দীপিকা লাইভ, লাভ, লাফ ফাউন্ডেশন শুরু করেন সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এবং দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য।
দীপিকা পাড়ুকোন-২০১৪ সালে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি সেই সময় বিষন্নতায় ভুগছিলেন। সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি কেঁদেও ফেলেছিলেন৷ তিনি তখন ক্যারিয়ারের শীর্ষে৷ প্রতিটি শোতে তিনি ছিলেন হিট এবং পুরষ্কার জিতেছিলেন। তবে এরপরও তার মনে আছে প্রতিটি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কান্নাকাটি করা এবং শারীরিকভাবে ক্লান্তিবোধ। তার মা এই লক্ষণগুলো শনাক্ত করেন এবং তাকে একজন পেশাদার মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়ার পরামর্শ দেন। তারপরে ২০১৫ সালে, দীপিকা লাইভ, লাভ, লাফ ফাউন্ডেশন শুরু করেন সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে এবং দুর্বল মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাহায্য করার জন্য।
advertisement
4/8
শ্রদ্ধা কাপুর-মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও মানুষকে সচেতন করেছেন। তিনি এই বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতাও ভাগ করেছেন। ২০১৯ সালে, শ্রদ্ধা কাপুর প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি কীভাবে উদ্বেগজনিত ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "আমিও জানতাম না উদ্বেগ কী। আমরা এটি খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য জানতাম না। আশিকির ঠিক পরে, আমি উদ্বেগজনিত ব্যাধি অনুভব করেছি। কোন শারীরিক সমস্যা ছিল না৷ এটা অদ্ভুত কারণ আমি ভাবছিলাম কেন আমার সেই ব্যথা হচ্ছে। তারপর আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে থাকলাম কেন এমন হচ্ছে। এরপর, চিকিৎসা করে তিনি সুস্থ হন৷ (ছবি: Instagram@shraddhakapoor)
শ্রদ্ধা কাপুর-মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও মানুষকে সচেতন করেছেন। তিনি এই বিষয়ে তাঁর অভিজ্ঞতাও ভাগ করেছেন। ২০১৯ সালে, শ্রদ্ধা কাপুর প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি কীভাবে উদ্বেগজনিত ব্যাধির সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, "আমিও জানতাম না উদ্বেগ কী। আমরা এটি খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য জানতাম না। আশিকির ঠিক পরে, আমি উদ্বেগজনিত ব্যাধি অনুভব করেছি। কোন শারীরিক সমস্যা ছিল না৷ এটা অদ্ভুত কারণ আমি ভাবছিলাম কেন আমার সেই ব্যথা হচ্ছে। তারপর আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে থাকলাম কেন এমন হচ্ছে। এরপর, চিকিৎসা করে তিনি সুস্থ হন৷ (ছবি: Instagram@shraddhakapoor)
advertisement
5/8
 বরুণ ধাওয়ানও একবার ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিলেন। একটি সাক্ষাত্কারে বরুণ ধাওয়ান বলেছিলেন যে 'বদলাপুর' ছবির পর তিনি হতাশায় ভুগতে শুরু করেন৷ কারণ 'বদলাপুর' ছবির গল্পটি এমন ছিল যে এটি তাঁর মনকে প্রভাবিত করেছিল। এই সমস্যা থেকে বরুণ চিকিৎসকের সহায়তায় তা থেকে মুক্তি পান। (ছবির ক্রেডিট: Instagram @arjunkapoor)
বরুণ ধাওয়ানও একবার ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিলেন। একটি সাক্ষাত্কারে বরুণ ধাওয়ান বলেছিলেন যে 'বদলাপুর' ছবির পর তিনি হতাশায় ভুগতে শুরু করেন৷ কারণ 'বদলাপুর' ছবির গল্পটি এমন ছিল যে এটি তাঁর মনকে প্রভাবিত করেছিল। এই সমস্যা থেকে বরুণ চিকিৎসকের সহায়তায় তা থেকে মুক্তি পান। (ছবির ক্রেডিট: Instagram @arjunkapoor)
advertisement
6/8
করণ জোহরও তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে করণ বলেছিলেন, 'আমি একটি মিটিংয়ে ছিলাম এবং আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার হার্ট অ্যাটাক হতে চলেছে৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম৷ তারপর আমি জানতে পারি যে আমি মানসিক চাপে আছি৷ আমার মধ্যে কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। তার বাবার মৃত্যুর পর, তিনি একা হয়ে পড়েছিলেন, যখন তিনি একা থাকেন, তখন তার চারপাশের জিনিসগুলি বিরক্ত করতে শুরু করে। (ছবি:Instagram@karanjohar)
করণ জোহরও তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। একটি সাক্ষাৎকারে করণ বলেছিলেন, 'আমি একটি মিটিংয়ে ছিলাম এবং আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার হার্ট অ্যাটাক হতে চলেছে৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম৷ তারপর আমি জানতে পারি যে আমি মানসিক চাপে আছি৷ আমার মধ্যে কিছুই অবশিষ্ট ছিল না। তার বাবার মৃত্যুর পর, তিনি একা হয়ে পড়েছিলেন, যখন তিনি একা থাকেন, তখন তার চারপাশের জিনিসগুলি বিরক্ত করতে শুরু করে। (ছবি:Instagram@karanjohar)
advertisement
7/8
বলিউডের 'সঞ্জু বাবা' অর্থাৎ সঞ্জয় দত্তও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে লড়াই করেছেন। মুম্বই বোমা বিস্ফোরণে যুক্ত থাকার কারণে জেল সাজা ভোগ করার সময় এটি ঘটেছিল৷ সেই সময় কারাগারে মন খারাপ তাকে গ্রাস করে। এ সময় তিনি ঘুমাতেও পারতেন না। প্রাণায়াম ও যোগাসনের সাহায্যে জেলে থাকা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পান সঞ্জয় দত্ত। (ছবি: Instagram@duttsanjay)
বলিউডের 'সঞ্জু বাবা' অর্থাৎ সঞ্জয় দত্তও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে লড়াই করেছেন। মুম্বই বোমা বিস্ফোরণে যুক্ত থাকার কারণে জেল সাজা ভোগ করার সময় এটি ঘটেছিল৷ সেই সময় কারাগারে মন খারাপ তাকে গ্রাস করে। এ সময় তিনি ঘুমাতেও পারতেন না। প্রাণায়াম ও যোগাসনের সাহায্যে জেলে থাকা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পান সঞ্জয় দত্ত। (ছবি: Instagram@duttsanjay)
advertisement
8/8
বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের কোনও কিছুরই অভাব নেই। তা সত্ত্বেও বিষণ্ণতার শিকার হন শাহরুখও। শাহরুখ খানের কাঁধে গুরুতর চোট ছিল, যার কারণে তিনি তার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত ছিলেন৷ তবে শাহরুখ শীঘ্রই নিজেকে এই সমস্যা থেকে বের করে আনেন।
বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের কোনও কিছুরই অভাব নেই। তা সত্ত্বেও বিষণ্ণতার শিকার হন শাহরুখও। শাহরুখ খানের কাঁধে গুরুতর চোট ছিল, যার কারণে তিনি তার ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তিত ছিলেন৷ তবে শাহরুখ শীঘ্রই নিজেকে এই সমস্যা থেকে বের করে আনেন।
advertisement
advertisement
advertisement