World Autism Awareness Day: অটিস্টিক সন্তানকে সাহায্য করুন জীবনে এগিয়ে যেতে

আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস৷ শিশুর অটিজম থাকলে আকাশ ভেঙে পড়ে বাবা, মায়ের মাথায়৷ এই সম্পর্কে জানুন, বুঝুন, সন্তানকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন৷ জানাচ্ছেন সাইকোলজিস্ট শুচিস্মিতা চক্রবর্তী৷

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বাবা, মায়েরা মানতেই পারেন না যে তাদের সন্তান স্পেশাল, তার কোনও সমস্য রয়েছে৷ সত্যিটা স্বীকার করুন৷ সন্তানকে গ্রহণ করুন৷ নিজেদের প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করান অবশ্যই৷

অটিস্টিকরা রেস্ট্রিকটেড ইন্টারেস্ট ও রেস্ট্রিকটেড বিহেভিয়ারের কারণে নিজেদের খেয়াল রাখতে পারে না৷ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে সেল্ফ হেল্প বা সেলফ কেয়ার রুটিন তৈরি করুন ওদের৷ যাতে ধীরে ধীরে নিজেদের কাজ করার অভ্যাস তৈরি হয়৷

অটিস্টিকদের সেন্সরি প্রসেসিং ডিজঅর্ডার থাকে৷ যার ফলে গন্ধ, আলো, আওয়াজ, স্পর্শের প্রতি ওরা সংবেদনশীল হয়৷ উপযুক্ত থেরাপির সাহায্যে যার চিকিৎসা সম্ভব৷ থেরাপিস্টের পরামর্শে বাড়িতেও ওদের যথাযথ যত্ন নিন৷

অটিস্টিক শিশুদের মধ্যে তাপ, ব্যথা এগুলোর অনুভূতি কম থাকে৷ ফলে ওরে অনেক সময় আসন্ন বিপদ আঁচ করতে পারে না৷ একটু ধৈর্য ধরুন৷ ওদের শেখান নিজেদের রক্ষা করতে৷ থেরাপির মাধ্যমে ট্রেনিং সম্ভব৷

অটিস্টিকরা আই কনট্যাক্স করতে পারে না৷ থেরাপির সাহায্যে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব৷ বাড়িতেও দুপ্রকার ডাল মিশিয়ে দিয়ে ওদের আলাদা করতে দিতে পারেন৷ এইসব ছোট ছোট কাজে মনসংযোগ করতে করতে ওদের আই কন্ট্যাক্ট করার অভ্যাস তৈরি হবে৷

সন্তান বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছলে সতর্ক থাকুন৷ ওরা সোশ্যাল কিউ বুঝতে না পারার কারণে কিছু ব্যবহারিক ত্রুটি আসে ওদের আচরণে৷ যার ফলে ওদের আচরণ অসামাজিক মনে হয়৷ রাগ না করে ওদের বোঝান৷ নিজেদের গ্রহণযোগ্য করে তুলতে সাহায্য করুন৷

আইনস্টাইন থেকে মোৎজার্ট, সবাই য়খন এই গণ্ডি ভেঙে বেরোতে পেরেছেন তখন ভয়, দুঃখ, রাগ দূরে সরিয়ে রেখে সন্তানকে নিয়ে আনন্দে থাকুন৷ আপনার হাসিমুখই সন্তানের উন্নতির প্রেরণা৷