White Hair: দামি হেয়ার কালার কিনবেনই না! কালো চায়ে ‘এই গুঁড়ো’ মেশান জাস্ট ‘২ চামচ’! সাদা চুল কালো থাকবে মাসের পর মাস! পাকা চুলের বংশনাশ!

আজকাল অল্প বয়সে সাদা চুলের সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশিরভাগ তরুণ-তরুণী অকালপক্বতার সমস্যায় ভুগছেন। মানসিক চাপ, খারাপ খাদ্যাভ্যাস, বায়ু দূষণ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং রাসায়নিক ভিত্তিক চুলের পণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে চুলের প্রাকৃতিক রঙ দ্রুত বিবর্ণ হতে শুরু করে।

এমন পরিস্থিতিতে, মানুষ চুলের রঙ এবং রঙ করার পণ্যের দিকে ছুটতে থাকে, যা চুলের গোড়ার আরও ক্ষতি করে। এমন পরিস্থিতিতে, আমরা আপনাকে বলব কীভাবে প্রাকৃতিক চুলের রঙ করবেন এবং কীভাবে চুলকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়। বলছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাভসর।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, রাসায়নিক ভিত্তিক চুলের রঙে অ্যামোনিয়া, হাইড্রোজেন পারক্সাইড এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক উপাদান থাকে, যা চুলকে সাময়িকভাবে কালো করে তোলে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করে। অন্যদিকে ঘরে তৈরি ভেষজ চুলের রঙ কেবল চুলকে প্রাকৃতিক রঙ দেয় না, বরং পুষ্টিও প্রদান করে।

ভেষজ রং চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়াও কমাতে পারে। তবে, প্রাকৃতিক চুলের রঙ তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখায় না। তাই ধৈর্য ধরুন এবং নিয়মিত ব্যবহার বজায় রাখুন। প্রথমবার ব্যবহারের আগে, একটি প্যাচ পরীক্ষা করুন, যাতে অ্যালার্জির ঝুঁকি জানা যায়।

প্রাকৃতিক কালো চুলের রঙ তৈরি করতে আপনার ২ টেবিল চামচ মেহেন্দি গুঁড়ো, ১ টেবিল চামচ ভৃঙ্গরাজ গুঁড়ো, ১ চা চামচ নীল গুঁড়ো, ১ চা চামচ আমলকি গুঁড়ো এবং ১/২ কাপ হালকা গরম জল বা কালো চা লাগবে। সব গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং ৪-৫ ঘণ্টা ঢেকে রাখুন। তারপর চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে ২ ঘন্টা রেখে দিন। পরে সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং শ্যাম্পু করবেন না। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

এই ভেষজ চুলের রঙে উপস্থিত আমলকি চুলকে পুষ্টি জোগায়, মেহেদি মাথার ত্বককে ঠান্ডা করে, ভৃঙ্গরাজ চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং নীল গুঁড়ো চুলকে আরও গাঢ় রঙ দিতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে চুল কেবল কালো এবং চকচকে হয় না, বরং ভাঙা এবং চুল পড়াও কমায়। আমলকির রস, নারকেল তেলে কারি পাতা ফুটিয়ে তৈরি তেল এবং রিঠা-শিকাকাই দিয়ে তৈরি চুল ধোয়া চুল কালো রাখতে খুবই কার্যকর। এর পাশাপাশি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার এবং পর্যাপ্ত জল পান করাও গুরুত্বপূর্ণ।

(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।) (সব ছবি-নেটমাধ্যম)