West Bardhaman Toursim: ঘন জঙ্গল, গা ছমছমে পরিবেশ, নাম শুনলেই কাঁটা দিত গায়ে! সেখানেই এখন কাতারে কাতারে পর্যটকদের ভিড়! কীভাবে বদলাল গড়জঙ্গল? জানুন
- Reported by:Dipika Sarkar
- hyperlocal
- Published by:Madhab Das
Last Updated:
বছর দশেক আগেও তা ছিল গভীর গড় জঙ্গলে মধ্যে থাকা এক ছোট্ট মন্দির। যেখানে দিনের বেলাতেও মানুষ যেতে ভয় পেতেন।
দুর্গাপুরের কাঁকসার গড় জঙ্গলে ঐতিহ্যবাহী শ্যামরুপা মন্দিরে সপ্তমী থেকেই ভক্তদের ঢল নামতে শুরু করেছে। ঘিঞ্জি শহরের বেড়াজাল ডিঙিয়ে গভীর ঘন জঙ্গলে মাঝে গা ছমছমে পরিবেশে হাজার বছরের প্রাচীন ওই দুর্গাপুজো। প্রকৃতির কোলে লুকিয়ে থাকা ওই পুজোর আনন্দ উপভোগ করছেন অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ। (ছবি ও তথ্য: দীপিকা সরকার)
advertisement
ওই গভীর জঙ্গলে তন্ত্রসাধনা করতেন এক তান্ত্রিক। এক বালককে মা দুর্গার কাছে উৎসর্গ করতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বাধা দেন কবি জয়দেব। সেই তান্ত্রিককে নিরস্ত করতে ভক্ত জয়দেবের আহ্বানে মা দুর্গা কৃষ্ণরূপে দেখা দেন। সেই থেকে কবি মায়ের নামকরণ করেন শ্যামরূপা। রাজা লক্ষ্মণ সেন এখানে প্রথম মা দুর্গার পুজো শুরু করেন। পরবর্তীতে সামন্ত রাজা ইছাই ঘোষই মায়ের আরাধনা করতেন।
advertisement
advertisement
দক্ষিণবঙ্গের ইতিহাসের সঙ্গে ব্যাপক ভাবে জড়িয়ে রয়েছে এই শ্যামরূপা মন্দির। কিন্তু বছর দশেক আগেও তা ছিল গভীর গড় জঙ্গলে মধ্যে থাকা এক ছোট্ট মন্দির। যেখানে দিনের বেলাতেও মানুষ যেতে ভয় পেতেন। রাস্তাঘাট তো দূরের কথা, আলো, জলের ব্যবস্থাটুকু ছিল না। সেই জঙ্গলে ঘেরা নির্জন মন্দির চত্বরই এখন সর্বক্ষণ গমগম করছে। শ্যামরূপা মন্দির সত্যিই যেন প্রকৃতির সিদ্ধপীঠ হয়ে উঠেছে।
advertisement
দুর্গাপুরের মুচিপাড়া-জয়দেব মূল রাস্তা থেকে গভীর জঙ্গলে ছ'কিলোমিটারের ভেতরে এই মন্দির। চলতি বছরে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের উদ্যোগে বিভিন্ন দফতরের অনুমোদন মেলায় তৈরি হয়েছে রাস্তা। জঙ্গলের ভেতর দিয়ে দু’টি রাস্তা তৈরি হয়েছে, মূল রাস্তা থেকে একটি রাস্তা এসেছে শ্যামরূপা মন্দিরে, অন্য রাস্তাটি গিয়েছে মন্দির থেকে দেউল পর্যন্ত।
advertisement








