Weight Loss Tips: করতে হবে না ডায়েট বা জিম! জাস্ট এই কাজেই হাতেনাতে ফলাফল! কেজি কেজি মেদ ঝরে পড়বে! ১ মাসে মারকাটারি ফিগার

ওজন কমানোর যাত্রার সবচেয়ে কঠিন অংশ হল কোথা থেকে শুরু করবেন তা নির্ধারণ করা। মোটা হওয়া বর্তমানে একটি কঠিন সমস্যা হয়ে উঠেছে যা প্রতিটি মানুষকে উদ্বিগ্ন করে। বেশিরভাগ মানুষ নিজেকে ফিট রাখতে কঠোর ডায়েটের পাশাপাশি জিমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাম ঝরায়। এত কিছু করার পরও অনেক সময় হতাশ হতে হয়।

এমন পরিস্থিতিতে আপনার যদি ব্যস্ত সময়সূচী থাকে এবং জিমে যাওয়ার সময় না পান, তবে ওজন কমানো স্বপ্নের মতো মনে হয়। আপনিও যদি তাদের মধ্যে থেকে থাকেন এবং মোটা থেকে ফিট হতে চান কিন্তু আপনার জিমে যাওয়ার সময় নেই এবং বেশি ডায়েটিং করতে পারছেন না, তাহলে এই সহজ উপায়গুলো ব‍্যবহার করে ফিট হতে পারেন-

ডায়েটিং বা জিমিং ছাড়াই ওজন হ্রাস করুন (জিম এবং ডায়েটিং ছাড়া ওজন হ্রাস করুন)চিবিয়ে খাবার খানখাওয়ার সময় মনে রাখবেন তাড়াহুড়ো করে গিলে খাবেন না। আপনি আপনার খাবার যত বেশি চিবাবেন, আপনার স্বাস্থ্যের জন্য তত বেশি উপকারী হবে। আসলে আপনার মস্তিষ্ক এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করতে সময় নেয়।

অংশ নিয়ন্ত্রণঅংশ নিয়ন্ত্রণ করে, আপনি দ্রুত ওজন কমাতে পারেন। অতএব, যখনই আপনি খাবার গ্রহণ করেন, ছোট ছোট অংশে খান। এতে করে পেট ভরে যাবে এবং অতিরিক্ত খাওয়া হবে না।

প্রোটিন গ্রহণ বাড়ানআপনি আপনার খাদ্যে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়িয়ে আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারেন। তাই আপনি যদি দ্রুত ওজন কমাতে চান তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান। এতে করে আপনার পেট ভরা থাকবে এবং খিদেও কম লাগবে।

বাড়ির খাবার খানওজন কমাতে ডায়েটিং-এর চেয়ে ঘরে তৈরি খাবার অন্তর্ভুক্ত করাটা বেশি জরুরি। খাওয়ার সময় যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকুন এবং যতটা সম্ভব ঘরে তৈরি খাবার খান।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারপ্রোটিনের পাশাপাশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করে। তাই খাবারের অংশ নির্ধারণ করার সময় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারও অন্তর্ভুক্ত করুন।

সারাদিনে অন্তত ৩ লিটার জল পান করুনজল পান শরীরের অনেক সমস্যার সমাধান করে। কিন্তু যখন ওজন কমানোর কথা আসে, তখন শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে ওঠে। তাই আপনি যদি দ্রুত ওজন কমাতে চান তাহলে দিনে অন্তত ৩ লিটার জল পান করা জরুরি।

ক্যালোরি গণনাআপনি ঘরে বা বাইরে যেখানেই খান না কেন, অবশ্যই ক্যালোরি গণনা করুন। এতে করে আপনি জানতে পারবেন কখন আপনি খুব বেশি খাবার খেয়েছেন এবং কীভাবে ব‍্যালন্স করবেন।

৮ ঘণ্টা ঘুমাতে ভুলবেন নাদ্রুত ওজন কমানোর সঙ্গে ঘুমের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তাই সময়মতো ঘুমান এবং কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমের চক্রটি সম্পূর্ণ করুন।

মানসিক চাপ ও উদ্বেগ থেকে দূরে থাকুনফিট এবং সুস্থ থাকার জন্য দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকা খুবই জরুরি। প্রকৃতপক্ষে, মানসিক চাপ এবং উদ্বেগের কারণে, একজনের বেশি খিদে পায় এবং ব্যক্তি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার খান, যা ওজন বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করে।

চিনিকে না বলুনআপনার খাদ্য থেকে চিনি এবং চিনি পণ্য বাদ দিন। আসলে চিনি দিয়ে তৈরি জিনিসে বেশি ক্যালরি থাকে যা ওজন বাড়ায়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)