ওজন কমাতে বর্ষায় সাঁতার কাটা কতটা নিরাপদ? সংক্রমণের ঝুঁকি কতটা? কীভাবে এড়ানো যায়!
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Swimming In Monsoon: বর্ষাকালে সংক্রমণের ঝুঁকি তো থাকেই। এর সঙ্গে পাবলিক সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার কিছু নিজস্ব স্বাস্থ্য সমস্যার সম্ভাবনাও থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ওজন কমাতে চাইলে সাইক্লিং আর সাঁতারের কোনও বিকল্প নয়। বিশেষ করে সাঁতার। কারণ এতে শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ব্যায়াম একসঙ্গে হয়। কিন্তু বর্ষায় সাঁতার কাটা কতটা নিরাপদ? আসলে এ সময়টা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত। তার ওপর রাস্তা, নর্দমার জমা জল গিয়ে মেশে পুকুর, নদীতে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বাড়ে। প্রতিদিন যাঁরা সাঁতার কাটেন বর্ষাকালটা তাঁদের জন্যও বিপজ্জনক। কারণ এই সময় জলের তাপমাত্রার পরিবর্তন হয়। ফলে একটুতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর সঙ্গে সংক্রমণ তো আছেই।
advertisement
পাবলিক সুইমিং পুলে সংক্রমণের ঝুঁকি: বর্ষাকালে সংক্রমণের ঝুঁকি তো থাকেই। এর সঙ্গে পাবলিক সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার কিছু নিজস্ব স্বাস্থ্য সমস্যার সম্ভাবনাও থাকে। এখান থেকে ডায়রিয়ার মতো সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য ব্যক্তির থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি থাকে। সুইমিং পুলের আশপাশের পরিবেশ থেকেও সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা ষোলো আনা। বিশেষ করে যদি পাশে অস্বাস্থ্যকর জলাশয় থাকে তাহলে পুলের জলের গুণগত মান খারাপ হতে বাধ্য। এটা অনেকগুলি রোগ সৃষ্টিকারী প্যাথোজেনকে আশ্রয় করে।
advertisement
সুইমিং পুল থেকে রোগ: ফরিদাবাদের ফর্টিস এসকর্টস হাসপাতালের পালমোনোলজির পরিচালক এবং ইউনিট প্রধান ডা. রবি শেখর ঝা বলছেন, ‘গড়ে, যে কোনও সময়ে মানুষের শরীরে প্রায় ০.১৪ গ্রাম মল থাকে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি যখন পুলে যায়, এবং সংক্রামিত মল পুকুরে ধুয়ে যায়, তখন যে কেউ সংক্রামিত মল গিলে ফেললে সেও সংক্রমিত হয়’। এছাড়াও ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম, লেজিওনেলা, সিউডোমোনাস, নরোভিরিস, শিগেলা, ই. কোলি এবং গিয়ার্ডিয়ার মতো বিভিন্ন রোগজীবাণু দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
advertisement
সাঁতারুর কান: সাঁতারুর কানেও সংক্রমণ হতে পারে। এটা খুব সাধারণ। কানের বাইরের খোলে দীর্ঘ সময়ের জন্য জল জমে থাকলে এই ধরণের সংক্রমণ হয়। আর্দ্রতা এবং জল জমার কারণে এটা ব্যাকটেরিয়াদের প্রজননস্থল হয়ে ওঠে। শুধু সাঁতারু নয়, কানে জল ঢুকলে এবং সেটা ভালো ভাবে না মুছলে যে কারও এমনটা হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের এবং যাঁরা কান না ঢেকে সাঁতার কাটেন তাঁদের এই ধরনের সংক্রমণ দেখা যায়।
advertisement
কী করা উচিত: সম্পূর্ণ সুস্থ না থাকলে সুইমিং পুলে সাঁতার কাটা উচিত নয়। এর পাশাপাশি যেগুলো লক্ষ্য রাখতে হবে- জলের ক্লোরিন স্তর পরীক্ষা করা, কাটা বা ক্ষত থাকলে জলে না নামা, বিশেষ করে না শুকোলে। জ্বর হলে বা হাঁচি বা কাশি হলে পুলে প্রবেশ করা যাবে না। পুলে প্রবেশের আগে ভাল ভাবে স্নান করা উচিৎ। ডায়রিয়া হলে পুলে প্রবেশ করা যাবে না। পুলের জল পান করা উচিত নয়। পুলে প্রবেশের সময় শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে এমন পোশাক পরতে হবে। সাঁতার সেশনের পরে, কান সঠিকভাবে মুছতে হবে।