Weekend Trip To Jhargram: ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে জঙ্গলের রোমাঞ্চ, পাহাড়-নদী-সবুজের সমারোহে মোড়া বেলপাহাড়ি!
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Tanmoy Nandi
Last Updated:
Weekend Trip To Jhargram: বৃষ্টি গায়ে মেখে সপ্তাহান্তের ছুটিতে বেলপাহাড়ি ঘুরতে গেলে মন্দ হয়না। দূরের সবুজে ঢাকা পাহাড়, ঝর্ণা, জলপ্রপাত, লেক কী নেই এখানে! প্রকৃতি তার সবটুকু উজাড় করে সাজিয়েছে বেলপাহাড়িকে।
বৃষ্টি গায়ে মেখে সপ্তাহান্তের ছুটিতে বেলপাহাড়ি ঘুরতে গেলে মন্দ হয়না। দূরের সবুজে ঢাকা পাহাড়, ঝর্ণা, জলপ্রপাত, লেক কী নেই এখানে! প্রকৃতি তার সবটুকু উজাড় করে সাজিয়েছে বেলপাহাড়িকে। এই বেলপাহাড়ির রাস্তা ধরে যত এগোবেন অবাক হয়ে দেখবেন প্রকৃতির খামখেয়ালীপনা। চড়াই উতরাই রাস্তা আর দু পাশে সবুজ গাছগাছালির মায়াবী পরিবেশ আপনাকে এক অনন্য অনুভূতি এনে দেবে।
advertisement
বর্ষাকালে এক সময় প্রচুর কাঁকড়া পাওয়া যেত। সেখান থেকেই জঙ্গলের নাম কাঁকড়াঝোড়। বেলপাহাড়ি লাগোয়া কাঁকড়াঝোড় অরণ্য, এই অঞ্চলের পাহাড়ি ভূখণ্ড এবং তার সঙ্গে একাধিক পাহাড়ী জলপ্রপাত ও ঝর্ণা নিয়ে নিজস্ব সৌন্দর্য্যে বিরাজমান । কাঁকড়াঝোড় বন বাংলোয় থাকতেও পারবেন পর্যটকরা।আমলাশোল পাহাড় তার গহীন অরণ্যানী নিয়ে এই সৌন্দর্যের আবহমান কালের সাক্ষী । পূর্ণিমার রাতের এই সৌন্দর্য এক প্রকৃতি প্রেমিকের মনের মনিকোঠায় তার নিজস্ব আসনে বিরাজমান থাকবে । এই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে কাঁকরাঝোড় আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা।
advertisement
আমলাশোলে আমঝর্না টিলার কোলে সুন্দর জলাধারের দৃশ্য মন কাড়বে আপনার। দুই পাশে জঙ্গল, মাঝে পিচঢালা মসৃণ কাল রাস্তা। কাঁকড়াঝোড়ের এই রাস্তা ধরে একটু এগিয়ে গেলেই আমঝর্না। সেই ঝর্না অবধি গাড়ির রাস্তা নেই, জঙ্গুলে রাস্তার এক পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে এক কিলোমিটার হাঁটতে হবে। এখানে পাবেন নানান রকমের পাখি, ট্রেকিং এবং প্রকৃতির মনোরম দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ রয়েছে। (ছবি ও তথ্য - তন্ময় নন্দী)
advertisement
বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমানা সংলগ্ন বাংলার দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিম প্রান্তের জেলা গুলিতে হাতির হানা লেগে থাকে। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার বহু নিরীহ মানুষ হাতির হানায় প্রাণ হারিয়েছেন। নষ্ট হয়েছে তাঁদের ফসল। এদিকে, নানান দুর্ঘটনায় হাতিরও মৃত্যু হয়েছে। সেই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়েও এবার হাতিদের রক্ষার্থে তৈরি হয়েছে প্রকল্প, যার নাম ‘ময়ূর ঝর্ণা।’ ময়ূরঝর্ণা' প্রকল্পের আওতায় ওই এলাকায় হাতিদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, ফলের বাগান, বিচরণের জায়গা, পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা থাকবে। মোট ১২ হাজার একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে হাতিদের জন্য অভয়ারণ্যের মত এই এলাকা।
advertisement
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে প্রায় ৬৪ কিলোমিটার দূরে দিগন্ত – প্রসারিত লালজল পাহাড়। জঙ্গলের মধ্যদিয়ে ঝাঁ-চকচকে চড়াই উতরাই রাস্তা অতিক্রম করে শেষ তিন কিলোমিটার পাহাড়ী পথে লালজল গুহাতে পোছানো যায় । পাহাড়ের ২০০ মিটার উচ্চতায় পাথর কেটে গুহাটি একদা নির্মিত হয়েছিল । অনুমান করা হয় প্রায় পাঁচ হাজার বছর আগে এটা ছিলো আদিম মানুষের আবাসস্থল । গুহার মধ্যে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষায় প্রস্তরায়ূধ পাওয়া গেছে, যা কোলকাতার জাদুঘরে সংরক্ষিত । গুহাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকতে হয় । বর্তমানে সজারু ও বন্য জন্তুর বাস । পাহাড়ের মাথা থেকে দূরের দৃশ্য নয়নাভিরাম ।
advertisement
সিংহডোবা গ্রাম ও বুড়িঝোর গ্রাম পড়বে আর তার পাশেই রয়েছে কেতকী ঝর্ণা। চারিদিক সবুজে ঢাকা। এতো সবুজ দেখেও আপনার চোখটা জুড়িয়ে আসবে। দূরে চোখ গেলে উঁচু পাহাড় আর মাঝখানে এই লেক। বর্ষার মরশুমে কেতকী ঝর্নার আশপাশ হয়ে ওঠে আরও সবুজ। এই সবুজ ঘন ঘাসের মধ্যে আপনার খালি পায়ে হেঁটে বেড়াতে বড়ই ভাল লাগবে। বন্ধু বান্ধবী হোক কিংবা জীবন সঙ্গীর সঙ্গে এখানে আসলে এইটুকু বলতে পারি আপনার এই ছোট্ট ট্রিপ বৃথা যাবেনা। (ছবি ও তথ্য - তন্ময় নন্দী)