

•রাতে জমজমাট পার্টির পর সকালটা বেশ বিরক্তিকর লাগছে। এক অদ্ভুত হেডেক বা মাথা ভারি-ভারি ভাব। অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীরে যাওয়ার পর অনেকের ক্ষেত্রে আবার গলা শুকিয়ে যাওয়া, পেশিতে ব্যথা, বমি-বমি ভাব বা অস্বস্তি দেখা যায়। তবে এ নিয়ে খুব একটা চিন্তার কারণ নেই। এ ক্ষেত্রে হ্যাংওভার কাটাতে নজর দেওয়া যেতে পারে এই খাবারগুলিতে।


•কলা ও ওটস-হ্যাংওভার থাকলে শরীরে কিছু পুষ্টিকর খাবার দেওয়াটা জরুরি। এ ক্ষেত্রে শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করতে পারে কলা। কারণ এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম ও সোডিয়াম থাকে। এগুলি শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স অর্থাৎ জলের ভারসাম্য ও পেশিগুলির সঞ্চালনে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে ওটস আর কলা মিশিয়ে খেলে আরও বেশি উপকার পাওয়া যায়।


•ডিম ও অ্যাভোকাডো-শরীরে এনার্জি বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত জরুরি ভিটামিন B12। আর এর অন্যতম উৎস হল ডিম। অতিরিক্ত অ্যালকোহল শরীরে গ্লুটাথায়নের (Glutathione) মাত্রা কমিয়ে দেয়। কিন্তু ডিমে উপস্থিত খাদ্য উপাদান এই গ্লুটাথায়নের মাত্রা বজায় রেখে হ্যাংওভার থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।অ্যালকোহলের ক্ষতিকর দিকগুলির সঙ্গে লড়াই করে লিভার ড্যামেজ থেকে বাঁচাতে পারে অ্যাভোকাডো। আসলে শরীরে জলের মাত্রা ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এটি। এর জেরে হ্যাংওভারের বিরুদ্ধে লড়তে পারে শরীর।


•পালং শাক-এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ লবণ, আয়রন, ফোলেট থাকে। তাই হ্যাংওভারের মোকাবিলায় দারুণ কাজে দেয় পালং শাক।


•শতমূলী (Asparagus), মধু ও বাদামজাতীয় খাবার-অ্যালকোহলের প্রভাব থেকে বাঁচাতে এবং লিভারকে সুস্থ রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী অ্যাসপারাগাস বা শতমূলী। কারণ শরীরে উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে এটি। শতমূলীর পাশাপাশি মধুর মধ্যে ফ্রুক্টোজ ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস থাকে। যা হ্যাংওভার কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। অন্য দিকে, বাদাম বা এই জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম থাকে। তাই হ্যাংওভার কাটাতে আখরোট, বাদাম, কাজু বাদাম খাওয়া যেতে পারে।