Uric Acid: রক্ত থেকে ইউরিক অ্যাসিড শুষে নেবে কমদামি সবজির রস! সস্তায় কিডনি ভাল রেখে গাঁটের ব্যথা কমাতে এভাবে খান পাতিলেবুর রস!

শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার কারণে অনেক গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড একটি বিপাক যা কোষের ক্রমাগত ভাঙনের কারণে গঠিত হয়। শরীরে এর উচ্চ মাত্রা নির্দেশ করে যে এটি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই বিপজ্জনক।

ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে কিডনির ওপরও খারাপ প্রভাব পড়ে। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের বৃদ্ধিকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলে। যা গাউটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি এমন একটি অবস্থা যা জয়েন্টগুলোতে ব্যথা সৃষ্টি করে। এটি রক্ত ​​এবং প্রস্রাবকে খুব আম্লিক করে তুলতে পারে।

গরমে শরীরে জলের অভাব হলে তা সরাসরি রক্তে প্রভাব ফেলে, ফলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়। কম জল পান করলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। এই কারণে, ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না। দেখা দেয় গাউট বা গাঁটের ব্যথার সমস্যা। বলছেন পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা।

ইউরিক অ্যাসিড কমাতে এবং গাউটের সমস্যা এড়াতে লেবু খুবই সহায়ক। ‘সায়েন্স ডাইরেক্ট’-এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমানোর ক্ষমতা লেবুর রয়েছে।

এক গ্লাস জলে একটি লেবুর রস চিপে তাতে আধা চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। দিনে ৩ গ্লাস এই মিশ্রণ পান করলে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

বিটা-গ্লুকান হল মাশরুমে পাওয়া কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরে প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে। প্রদাহে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। তাই গাউট রোগীদের খাদ্যতালিকায় মাশরুম অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

শসাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় এর ব্যবহারে সহজেই ইউরিক অ্যাসিড দূর হয়। শসায় যে জলীয় অংশ পাওয়া যায় তা গাউট রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন এবং লুটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কুমড়োতে পাওয়া যায়, যা প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। এটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও কমাতে পারে। শুধু তাই নয়, কুমড়ায় ফাইবার পাওয়া যায়, যা বিপাকের হার বাড়ায় এবং পিউরিন হজম করতে সাহায্য করে।

পটলে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়, যা খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি খেলে শরীরে পিউরিন মেটাবলিজম ত্বরান্বিত হয়। এটি ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা কমাতে সহায়ক। গাউট ও বাতের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধ করতে পারে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে কমলালেবু, লেবু, কিউই, পেয়ারা, ব্রকলি, ফুলকপি এবং ক্যাপসিকাম।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ফাইবার। আঁশযুক্ত খাবার রক্ত ​​​​প্রবাহে তাদের শোষণ করতে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড দূর করতে পারে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে সবুজ শাকসবজি, ওটস, গোটা শস্য, ব্রকলি, কুমড়ো, নাশপাতি, সেলারি, শসা, ব্লুবেরি, আপেল এবং কমলা।

গাজর, শসা এবং বিটরুটের তাজা সবজির রস শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।