Types of Headaches: মাইগ্রেন, টেনশন নাকি সাইনাস— কোন ধরনের মাথা ব্যথা আপনাকে কাবু করছে? কোন লক্ষণ বিপদের ইঙ্গিত দেয়, জেনে নিন
- Published by:Ananya Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Types of Headaches: মাইগ্রেন বা সাইনাস না-থাকলেও মাথা যন্ত্রণার শিকার হন অনেকেই। কাজের চাপ, স্ট্রেসের কারণে মাথা যন্ত্রণা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও অনেক সময় বড়সড় সমস্যাও ডেকে আনতে পারে।
প্রায়শই মাথা ব্যথা হয়! সামান্য মানসিক চাপ পড়লেই মাথা দপদপ, রগের দু’পাশ ধরে যন্ত্রণা, নইলে মাথা-ঘাড় জুড়ে ব্যথা। এ সব থেকে বাঁচতে অনেকেই মুড়ি-মুড়কির মতো পেন কিলার খান। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। মাথা ব্যথা কিন্তু শরীরের অন্যান্য সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে। তাই মাইগ্রেন বা সাইনাস না-থাকলেও মাথা যন্ত্রণার শিকার হন অনেকেই। কাজের চাপ, স্ট্রেসের কারণে মাথা যন্ত্রণা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও অনেক সময় বড়সড় সমস্যাও ডেকে আনতে পারে।
advertisement
advertisement
advertisement
তাই মাঝে মাঝেই মাথা ব্যথা হলে সচেতন হতে হবে বইকি। কপাল জুড়ে মাথা যন্ত্রণা, না কি মাথার পিছন দিকে ধীরে ধীরে ব্যথা ছড়িয়ে পড়া— ঠিক কী ভাবে আর কোথায় যন্ত্রণা হচ্ছে, তার উপরেও নির্ভর করে চিকিৎসা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় ১৫০ ধরনের মাথা ব্যথা হতে পারে। এগুলিকে মোটামুটি দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
advertisement
advertisement
সেকেন্ডারি – যা মারাত্মক হয়ে থাকে। এই পর্যায়ে রয়েছে মস্তিষ্কে টিউমার, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হাই ব্লাড প্রেশারের সমস্যা, সংক্রমণ, ট্রমা ইত্যাদি। এ সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ খাওয়া জরুরি। এ বার দেখে নেওয়া যাক যে, কত ধরনের মাথা ব্যথায় সব থেকে বেশি মানুষ আক্রান্ত হন, তার ধরন এবং প্রকারভেদ।
advertisement
মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা: এই ব্যথা মুখের উপরের দিকে থেকে ক্রমশ নীচের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কপালের এক দিকে যন্ত্রণা শুরু হয়। হঠাৎ করে কমে গিয়ে আবার ফিরে আসে। বমি-বমি ভাব থাকে। এমনকী, চোখ ঝাপসাও হয়ে যায়। এই রকম টানা চলতে থাকলে সেটা অবশ্যই মাইগ্রেনের কারণে মাথা ব্যথার লক্ষণ। এ ধরনের মাথা ব্যথা জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
advertisement
দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা বা টেনশন-টাইপ হেডেক: অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক চাপ বা বিষণ্নতাজনিত মাথা ব্যথাকে টেনশন-টাইপ হেডেক বা দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা বলা হয়। এই ধরনের ব্যথা মূলত কপাল থেকে মাথার পিছন দিক দিয়ে ঘাড়ের দিকে নেমে যায়। মনে হয়, যেন কেউ মাথাটা দু’হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে। রাতের দিকে এই ধরনের মাথা ব্যথা বাড়ে।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
এয়ারপ্লেন হেডেক: আকাশপথে ভ্রমণের সময় প্রেশার বা চাপের পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। মনে হয়, মাথার এক পাশে কিছু বিঁধে আছে বা খোঁচা মারছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিমানযাত্রার সময় প্রতি ১২ জনে ১ জন যাত্রী এয়ারপ্লেন হেডেকে ভোগেন। এই ধরনের ব্যথা কমাতে বেশি করে জলপান এবং মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে পেনকিলারও নেওয়া যায়।
