ভারতের এই ৫ জায়গা এতই ‘অদ্ভুত’ যে একা গেলে ফিরে আসতে পারবেন না…এর মধ্যে একটা তাজমহলের মতোই বিখ্যাত! 

Last Updated:
Unique historical places in India: ভারতের বুকে এমন পাঁচটি ঐতিহাসিক স্থান আছে, যেগুলির রহস্য আর সৌন্দর্য আপনাকে অবাক করবেই।এমন প্রাসাদ, যেখানে গেলে একা ফেরা যায় না—ভয় নয়, কারণ আসলে আলাদা। জানতে হলে পড়ুন।
1/7
ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতি যতই সমৃদ্ধ, তার প্রতিচ্ছবিও ততটাই বিস্ময়কর ছড়িয়ে আছে দেশের নানা ঐতিহাসিক স্থাপত্যে। তবে কিছু কিছু স্থানের কথা আমরা তেমন জানিই না—কিছু ভৌতিক, কিছু রহস্যময়, আবার কিছু সৌন্দর্যে ভরপুর হয়েও জনপ্রিয়তার আড়ালে রয়ে গেছে। আজ জানুন এমনই পাঁচটি স্থানের কথা—যার মধ্যে একটি আবার ‘মিনি তাজমহল’ নামে খ্যাত! 
ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতি যতই সমৃদ্ধ, তার প্রতিচ্ছবিও ততটাই বিস্ময়কর ছড়িয়ে আছে দেশের নানা ঐতিহাসিক স্থাপত্যে। তবে কিছু কিছু স্থানের কথা আমরা তেমন জানিই না—কিছু ভৌতিক, কিছু রহস্যময়, আবার কিছু সৌন্দর্যে ভরপুর হয়েও জনপ্রিয়তার আড়ালে রয়ে গেছে। আজ জানুন এমনই পাঁচটি স্থানের কথা—যার মধ্যে একটি আবার ‘মিনি তাজমহল’ নামে খ্যাত!
advertisement
2/7
🕌 ১. মিনি তাজমহল: বিবি কা মকবরা, মহারাষ্ট্রতাজমহলের নাম তো সবাই জানেন। সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিতে গড়ে তুলেছিলেন প্রেমের এই অপূর্ব সৌধ। কিন্তু মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদেও রয়েছে তেমনই এক সৌধ—বিবি কা মকবরা। এটি তৈরি করেছিলেন আওরঙ্গজেবের পুত্র আজম শাহ, তাঁর মা দিলরস বানু বেগম-এর স্মৃতিতে। স্থাপত্যে ও মার্বেল কাজের সৌন্দর্যে এটি অবিকল তাজমহলের মতো। একেই বলা হয় ‘দাক্ষিণাত্যের তাজমহল’।
🕌 ১. মিনি তাজমহল: বিবি কা মকবরা, মহারাষ্ট্রের তাজমহলের নাম তো সবাই জানেন। সম্রাট শাহজাহান তাঁর স্ত্রী মমতাজের স্মৃতিতে গড়ে তুলেছিলেন প্রেমের এই অপূর্ব সৌধ। কিন্তু মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদেও রয়েছে তেমনই এক সৌধ—বিবি কা মকবরা। এটি তৈরি করেছিলেন আওরঙ্গজেবের পুত্র আজম শাহ, তাঁর মা দিলরস বানু বেগম-এর স্মৃতিতে। স্থাপত্যে ও মার্বেল কাজের সৌন্দর্যে এটি অবিকল তাজমহলের মতো। একেই বলা হয় ‘দাক্ষিণাত্যের তাজমহল’।
advertisement
3/7
🏰 ২. দিল্লির ভুতুড়ে প্রাসাদ: ভুলি ভাটিয়ারিদিল্লির হান্টেড স্থানগুলির কথা উঠলেই ভুলি ভাটিয়ারি-র নাম প্রথমেই আসে। এটি করোলবাগের কাছে, জঙ্গলের মাঝে লুকিয়ে থাকা এক পরিত্যক্ত প্রাসাদ। এখানে পৌঁছাতে অসুবিধে হয় না, তবে নিঃশব্দ পরিবেশ, নির্জনতা ও রহস্যময়তা একসঙ্গে এই স্থানটিকে ভীতিকর করে তোলে। ইতিহাস বলছে, এটি তৈরি করেছিলেন ফিরোজ শাহ তুঘলক। এটি ছিল একসময়ের শিকারি প্রাসাদ, রাজারা শিকার শেষে বিশ্রাম নিতেন এখানে।
🏰 ২. দিল্লির ভুতুড়ে প্রাসাদ: ভুলি ভাটিয়ারি দিল্লির হন্টেড স্থানগুলির কথা উঠলেই ভুলি ভাটিয়ারি-র নাম প্রথমেই আসে। এটি করোলবাগের কাছে, জঙ্গলের মাঝে লুকিয়ে থাকা এক পরিত্যক্ত প্রাসাদ। এখানে পৌঁছাতে অসুবিধে হয় না, তবে নিঃশব্দ পরিবেশ, নির্জনতা ও রহস্যময়তা একসঙ্গে এই স্থানটিকে ভীতিকর করে তোলে। ইতিহাস বলছে, এটি তৈরি করেছিলেন ফিরোজ শাহ তুঘলক। এটি ছিল একসময়ের শিকারি প্রাসাদ, রাজারা শিকার শেষে বিশ্রাম নিতেন এখানে।
advertisement
4/7
🕯️ ৩. গোল গুম্বজ: কানের ফিসফিসিও শোনা যায়, কর্ণাটককর্ণাটকের বিজাপুরে অবস্থিত গোল গুম্বজ, ১৭শ শতকে মোহাম্মদ আদিল শাহ এই সমাধি তৈরি করেন। এর গম্বুজগুলি এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং স্তম্ভ ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এর কেন্দ্রস্থলে থাকা Whispering Gallery—এখানে এক পাশে ফিসফিস করলে তা অন্য পাশে স্পষ্টভাবে শোনা যায়! এমনকি প্রতিটি শব্দ ৭ বার প্রতিধ্বনিত হয়। এক কথায়, স্থাপত্যের এক বিস্ময়।
🕯️ ৩. গোল গুম্বজ: ফিসফিসও শোনা যায়, কর্ণাটক কর্ণাটকের বিজাপুরে অবস্থিত গোল গুম্বজ, ১৭শ শতকে মোহাম্মদ আদিল শাহ এই সমাধি তৈরি করেন। এর গম্বুজগুলি এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং স্তম্ভ ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এর কেন্দ্রস্থলে থাকা Whispering Gallery—এখানে এক পাশে ফিসফিস করলে তা অন্য পাশে স্পষ্টভাবে শোনা যায়! এমনকি প্রতিটি শব্দ ৭ বার প্রতিধ্বনিত হয়। এক কথায়, স্থাপত্যের এক বিস্ময়।
advertisement
5/7
🎨 ৪. রানী কি ভাও: যেন এক মাটির নিচের আর্ট গ্যালারি, গুজরাটগুজরাটের পাটান শহরে অবস্থিত এই প্রাচীন স্টেপওয়েল বা সিঁড়ি কূপ, যার নাম রানী কি ভাও। ১১শ শতকে রাজা ভীমদেব প্রথম তাঁর স্ত্রী রানী উদয়মতীর স্মৃতিতে এটি তৈরি করেন। এখানে ৭ স্তরের সিঁড়ি রয়েছে এবং মাঝে রয়েছে জলাধার। আশেপাশে রয়েছে ৫০০-রও বেশি ভাস্কর্য, যেগুলির প্রতিটিই হিন্দু পুরাণের গল্প বলছে। ২০১৪ সালে একে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
🎨 ৪. রানী কি ভাও: যেন এক মাটির নিচের আর্ট গ্যালারি, গুজরাট গুজরাটের পাটান শহরে অবস্থিত এই প্রাচীন স্টেপওয়েল বা সিঁড়ি কূপ, যার নাম রানী কি ভাও। ১১শ শতকে রাজা ভীমদেব প্রথম তাঁর স্ত্রী রানী উদয়মতীর স্মৃতিতে এটি তৈরি করেন। এখানে ৭ স্তরের সিঁড়ি রয়েছে এবং মাঝে রয়েছে জলাধার। আশেপাশে রয়েছে ৫০০-রও বেশি ভাস্কর্য, যেগুলির প্রতিটিই হিন্দু পুরাণের গল্প বলছে। ২০১৪ সালে একে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
advertisement
6/7
🪨 ৫. ভিমবেটকা শিলা আশ্রয়: ৩০,০০০ বছরের ইতিহাস, মধ্যপ্রদেশমধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলায় অবস্থিত ভিমবেটকা রক শেল্টারস এক বিস্ময়কর জায়গা, যেখানে প্রাগৈতিহাসিক মানবসভ্যতার আঁচ পাওয়া যায়। গুহার মতো গঠন এবং চারপাশে ছড়িয়ে থাকা পাথরের বিশাল গঠন এই স্থানটিকে রহস্যময় করে তোলে। ৩০ হাজার বছরের পুরনো চিত্রকলায় দেখা যায় শিকার, নৃত্য, প্রাণী ও সামাজিক জীবনের চিহ্ন।
🪨 ৫. ভিমবেটকা শিলা আশ্রয়: ৩০,০০০ বছরের ইতিহাস, মধ্যপ্রদেশ মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলায় অবস্থিত ভিমবেটকা রক শেল্টারস এক বিস্ময়কর জায়গা, যেখানে প্রাগৈতিহাসিক মানবসভ্যতার আঁচ পাওয়া যায়। গুহার মতো গঠন এবং চারপাশে ছড়িয়ে থাকা পাথরের বিশাল গঠন এই স্থানটিকে রহস্যময় করে তোলে। ৩০ হাজার বছরের পুরনো চিত্রকলায় দেখা যায় শিকার, নৃত্য, প্রাণী ও সামাজিক জীবনের চিহ্ন।
advertisement
7/7
১৯৫৭ সালে বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. বিষ্ণু শ্রীধর ওয়াকানকর এই স্থানটি আবিষ্কার করেন। ২০০৩ সালে এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পায়।এগুলি শুধু ঘোরার জায়গা নয়, এরা ইতিহাস, রহস্য, এবং রোমাঞ্চের এক জীবন্ত দলিল। ভয়, ভালবাসা, নীরবতা ও শিল্প—সব একসঙ্গে পেতে চাইলে, ভারতের এই ৫টি ‘অদ্ভুত সুন্দর’ স্থান আপনাকে ডাকছে!
১৯৫৭ সালে বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ ড. বিষ্ণু শ্রীধর ওয়াকানকর এই স্থানটি আবিষ্কার করেন। ২০০৩ সালে এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় স্থান পায়। এগুলি শুধু ঘোরার জায়গা নয়, এরা ইতিহাস, রহস্য, এবং রোমাঞ্চের এক জীবন্ত দলিল। ভয়, ভালবাসা, নীরবতা ও শিল্প—সব একসঙ্গে পেতে চাইলে, ভারতের এই ৫টি ‘অদ্ভুত সুন্দর’ স্থান আপনাকে ডাকছে!
advertisement
advertisement
advertisement