Bay Leaf Benefit: বাড়ির খাবারে স্বাদ-সুগন্ধ রেস্তোরাঁর মতো হবে, স্বাস্থ্যও রাখবে ভাল, বাড়ির টবেই চাষ করুন এই পাতা, সংসারের খরচ বাঁচবে

বাজারে যে পাওয়া যায় না, এমনটা নয়। দামও আহামরি কিছু নয়, মোটের উপরে দেখতে গেলে কাঁড়ি কাঁড়িই পাওয়া যায়। তার পরেও যদি কারও ইচ্ছা হয়, তাহলে সহজেই নিজেদের বাড়ির টবে তেজপাতা গাছ লাগানো যেতে পারে। বলে রাখা উচিত হবে যে লাগানোর ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে তেজপাতা গাছ তৈরি হয়ে যায়।

তেজপাতা গাছ ঔষধি গুণে ভরপুর। এর পাতায় এক বিশেষ ধরনের সুগন্ধ পাওয়া যায়, যা খাবারের স্বাদ বাড়ায়। সাধারণত মানুষ বাজার থেকে তেজপাতা ক্রয় করে। তেজপাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়।

কিন্তু, যদি কেউ বাজার থেকে তেজপাতা কিনতে না চান, তাহলে নিজেদের বাড়িতেই লাগানো যেতে পারে। এর জন্য তেমন কিছু হ্যাপাও পোহাতে হবে না। স্রেফ একটা টবে রোপণ করে ঘরে বসেই এই পাতার স্বাদ আর সুগন্ধ নেওয়া যেতে পারে।

তেজপাতা গাছ বীজ বা আরেকটা গাছের কাটা অংশ থেকে তৈরি করা যেতে পারে। যদি কোনও গাছের কাটা অংশ থেকে তৈরি করা হয়, তাহলে এটি দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং শীঘ্রই এর পাতা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়। কাটা অংশ থেকে একটি গাছ জন্মানোও একটু সহজ।

কাটা অংশ থেকে একটি গাছ জন্মাতে একটি গাছ থেকে ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি ডাল কেটে নিতে হবে। এর পরে, নীচের অংশ থেকে পাতাগুলি সরিয়ে ফেলতে হবে। এই কাটিংটি রুটিং হরমোনে ডুবিয়ে মাটি অথবা কোকো পিটে লাগাতে হবে। আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শিকড় আসতে শুরু করবে।

যে টবে তেজপাতা গাছ লাগানো হবে, তার নীচে একটি গর্ত থাকা উচিত। এর জন্য উর্বর মাটি নিতে হবে। পাত্রটিতে মাটি, ভার্মিকম্পোস্ট এবং নদীর বালি সমান অংশে ভরে দিতে হবে। এরপর, পাত্রে প্রস্তুত কাটিংটি লাগাতে হবে এবং হালকা সেচ দিতে হবে।

তেজপাতা গাছে অঙ্কুর বের হতে শুরু করলে মাটি খুঁড়ে ভার্মিকম্পোস্ট ব্যবহার করতে হবে। গাছের ভাল বৃদ্ধির জন্য ৪০ থেকে ৪৫ দিনের ব্যবধানে ভার্মিকম্পোস্ট দিতে হবে। এছাড়াও, পোকামাকড় থেকে গাছকে রক্ষা করার জন্য নিম তেল স্প্রে করতে হবে।

তেজপাতা গাছ ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে বড় হয়। এরপর, এর পাতা ছিঁড়ে ছায়ায় শুকিয়ে নিতে হবে। শুকনো পাতা কৌটোয় ভরে সংরক্ষণ করতে হবে। নিজেদের প্রয়োজন অনুসারে এই পাতাগুলো বের করে পরে ব্যবহার করা যেতে পারে।