Skin Care: শীতে ত্বককে তুলতুলে রাখতে নারকেলের তেলের জুড়ি নেই, তবে ব্যবহারের রহস্যটাও না জানলেই নয়

একটা সময় যে কোনও বাঙালি পরিবারে নারকোল বা সরষের তেলের বিশেষ ব্যবহার ছিল। বিশেষ করে বাড়ির মহিলারা রান্নায় সরষের তেল এবং চুলে নারকেল তেলের ব্যবহার করতেন। পুরুষ এবং বাচ্চাদের সরষের তেল মেখে স্নানের রেওয়াজ ছিল। কিন্তু এখন অত্যাধুনিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হতে হতে বাড়ি থেকে দুই ধরনের তেলই প্রায় বিদায় নিয়েছে।

তবে সম্প্রতি অনেকেই আবার পুরনো রীতি আপন করে নিচ্ছেন। নারকেল তেল সাধারণত মাথার ত্বকে প্রয়োগ করা হয়। বর্তমানের বাজার চলতি দামি স্কিন কেয়ার প্রডাক্ট, বডি লোশন, ময়েশ্চারাইজারে টাকা খরচ না করে এখন অনেকেই নারকেল তেল ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে শীতের মরশুমে ঠান্ডা ঋতুতে নারকোল তেল সারা শরীরে শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এর কারণে ত্বক শুষ্ক, প্রাণহীন দেখায় না। গরম জল দিয়ে স্নানের পর শরীরে নারকেল তেল লাগানো বিশেষ করে উচিত এই শীতে।

শীতকালে অনেকেই ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভোগেন। ফাটা ঠোঁটে দুই থেকে তিন ফোঁটা নারকেল তেল লাগালে তা ঠোটের জন্য ভাল, এতে ঠোঁট নরম হয় এবং গোলাপি দেখায়। রাতে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে নারকেল তেল ব্যবহার করলে আরও ভাল ফল পাওয়া যায়।

ত্বকে নারকেল তেল লাগালে চামড়ার স্ট্রেচ মার্ক কমে যায়। প্রতিদিন স্নানের পর স্ট্রেচ মার্কগুলিতে নারকেল তেল লাগানো উচিত। এটি ত্বককে টানটান করে তোলে। এই তেল দিয়ে শরীরে ম্যাসাজ করলে শরীরের পেশি শিথিল হয়। বিশেষ করে শরীরে ব্যথা হলে বা ক্লান্ত বোধ করলে নারকেল তেল গরম করে শরীরে ম্যাসাজ করা উচিত।

যাঁদের অল্প বয়সে ত্বকে বলিরেখা, দাগ, পিগমেন্টেশনের সমস্যা বা ত্বকে অত্যন্ত শুষ্কতার সমস্যা রয়েছে তাঁরা নারকেল তেল দিয়ে ত্বকের ম্যাসাজ করতে পারেন। এর জন্য হাতের তালুতে তিন থেকে চার ফোঁটা নারকেল তেল নিয়ে ত্বকে আলতো ভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। অল্প বয়সে ত্বকে বার্ধক্যের লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই নারকেল লাগানো উচিত।

ত্বকের কোথাও চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা লাল ফুসকুড়ির সমস্যা থাকলে সেখানেও নারকেল তেল লাগানো উচিত। স্নানের পর নারকেল তেল লাগালে এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। নারকেল তেল আসলে শীতল প্রকৃতির। এই অবস্থায় তা ত্বকের জ্বালাভাব কমাতে বিশেষ কার্যকরী।(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)